ক্যান্সারে আক্রান্ত 'মুন্নাভাই'খ্যাত অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত
একের পর এক ধাক্কা বলিউডে। চলতি বছরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে ক্রমাগত খারাপ খবর উড়ে আসছে, যা থামার কোনও লক্ষণ নেই। সেই একরাশ খারাপ খবরের তালিকায় যুক্ত হল সঞ্জয় দত্তের নাম। জানা গেছে, মারণ রোগ ক্যান্সারে ভুগছেন সঞ্জয় দত্ত। তাও আবার প্রাথমিক পর্যায়ে নয়। তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়েছে স্টেজ-ফোরে।
শ্বাসকষ্ট এবং বুকে যন্ত্রণা নিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেতা। সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।
মঙ্গলবার চিকিৎসার কারণে কাজ থেকে কয়েক দিনের জন্য ছুটি নিচ্ছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন সঞ্জয় দত্ত। পরে জানা যায় তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন।
শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলেই দ্রুত ৬১ বছর বয়সী বলিউড তারকার করোনা টেস্ট করা হয়। তবে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্টে দেখা যায় তিনি করোনা নেগেটিভ।
করোনা আক্রান্ত নন, এটা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেই উপসর্গ দেখে সঞ্জয় দত্ত ক্যান্সারে ভুগছেন কিনা যাচাই করা হয়। যার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে সঞ্জয় দত্তের চিকিৎসা করছিলেন যে ডাক্তার, তিনি রোগীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
সঞ্জয় বলরাজ দত্তের জন্ম ১৯৫৯ সালের ২৯ জুলাই। এই জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি অভিনয়শিল্পী দম্পতি সুনীল দত্ত ও নার্গিস দত্তের সন্তান।
তার অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে খলনায়ক (১৯৯৩), বাস্তভ - দি রিয়েলিটি (১৯৯৯), মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস. (২০০৩) অন্যতম। তিনি আমির খানের সাথে মিলে ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পিকে ছবিতে অসাধারণ এক পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন। ৩৭ বছরের অধিক চলচ্চিত্র জীবনে তিনি দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, দুটি আইফা পুরস্কার, দুটি বলিউড মুভি পুরস্কার, দুটি স্ক্রিন পুরস্কার, তিনটি স্টারডাস্ট পুরস্কার ও একটি করে গ্লোবাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম পুরস্কার ও বঙ্গ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার অর্জন করেছেন।
১৯৯৩ সালের এপ্রিলে দত্তকে সন্ত্রাসী ও সংহতি নাশমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রেফতার করা হয়। তার উপর আনা চার্জ মওকুফ হলেও তাকে বেআইনি অস্ত্র রাখার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সাজা ভোগকালীন ভাল ব্যবহার ও আচরণের জন্য ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সূত্র: জি নিউজ