ট্র্যাজেডি-উপন্যাস-চলচ্চিত্র: ৬০ বছর রাস্তায় পড়ে থাকা 'ইনটু দ্য ওয়াইল্ড' বাস যাচ্ছে জাদুঘরে
শন পেনের বহুল প্রশংসিত চলচ্চিত্র 'ইনটু দ্য ওয়াইল্ড'-এ মানুষ না হয়েও যেন একটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে পরিণত হয়েছিল বাসটি। চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ক্রিস্টোফার ম্যাকক্যান্ডেলসের রোমাঞ্চপূর্ণ জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গি হয়ে জড়িয়ে ছিল চার চাকার ওই যান। সেটিকে নতুন ঠিকানা হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এক জাদুঘর। বৃহস্পতিবার এ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
ডেনালি ন্যাশনাল পার্কের কাছে ৬০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বাসটিকে গত মাসে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছে আলাস্কা রাজ্য কর্তৃপক্ষ। সেটিকে ফেয়ারব্যাঙ্কসে অবস্থিত দ্য ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কা মিউজিয়ামে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১৯৯৬ সালে প্রকাশিত জন ক্রেকারের 'ইনটু দ্য ওয়াইল্ড' উপন্যাস পড়ে ১৯৪০-এর দশকের যুগের ওই বাসের প্রতি অনুরাগীদের আগ্রহ তৈরি হয়। ওই উপন্যাস অবলম্বনে ২০০৭ সালে চলচ্চিত্রটি বানানো হলে সেই আগ্রহ বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
মূলত ১৯৯২ সালে অনাহারে মারা যাওয়ার আগে ১১৪ দিন ওই পরিত্যক্ত বাসে জীবন কাটিয়েছিলেন সত্যিকারের ম্যাকক্যান্ডেলস। উপন্যাস ও চলচ্চিত্রের পর ওই বাস দেখতে অসংখ্য পর্যটকের ভিড় জমেছে বছরের পর বছর।
২৪ বছর বয়সী মার্কিন অভিযাত্রী ম্যাকক্যান্ডেলসের জীবনের সঙ্গে '১৪২' নম্বর খচিত ওই বাসের জীবনের এমন যোগসূত্র অনেক খ্যাপাটে তরুণ-তরুণীকে বাসটির ভেতর জীবন কাটানোর প্রেরণা দেয় এবং সেই ঝুঁকিপূর্ণ চেষ্টা তারা হরদম করেন। এ প্রচেষ্টায় প্রাণহানীও ঘটেছে একাধিক। ওই বাসকে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার সেটিও কারণ।
নিরাপদ আশ্রয়
আলাস্কার ন্যাচারাল রিসোর্স কমিশনার কোরি ফেইজ বলেন, "আমি বিশ্বাস করি, ইউএ মিউজিয়ামই 'বাস-১৪২'-এর জন্য একটা দীর্ঘকালীন আবাসস্থল হিসেবে ভালো জায়গা; কেননা, সেখানে বাসটিকে এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা গল্পগুলোকে ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখা যাবে।"
- সূত্র: রয়টার্স