ফিট আর ফ্লেক্সিবল হতে মালাইকার টিপস!
ওয়ার্ক ফ্রম হোমে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে ভুলে যাচ্ছেন? সারাদিন কম্পিউটার, ল্যাপটপের সামনে? তার ওপর করোনার জন্য লকডাউন!
এবার শরীরের দিকে নজর রাখতে সকলে যোগব্যায়াম করার কথা বললেন বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা। নিজেকে ফিট রাখতে যোগাসনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা তুলে ধরলেন এই অভিনেত্রী।
বাড়িতে বসে তিনটি যোগসন করার টিপস দিলেন তিনি ইনস্টাগ্রামে।
সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এই তিন আসন করে অনায়াসেই নিজের শরীরকে ফ্লেক্সিবেল রাখা সম্ভব।
অঞ্জনায়সন
পদ্ধতি
একটি প্রসারিত অবস্থায় শুরু করুন এবং মাদুরের বিপরীতে ধীরে ধীরে পিছনের পা নিচে নামান। মনে রাখবেন, হাঁটুতে পায়ের আঙুলের স্পর্শ না করা উচিত। নিচে পিছনে আপনার একটি নিরপেক্ষ অবস্থান রয়েছে তা নিশ্চিত করুন এবং তারপরে ৪ থেকে ১০ বার গভীর শ্বাস নিন। ৪-৫ বার বা যতবার আপনার মনে হয় প্রয়োজনীয়, পুনরাবৃত্তি করুন।
উপকারিতা
যোগব্যায়ামটি নিতম্বের অবস্থান খোলে, পেশিগুলি প্রসারিত করে এবং দেহের নিচের অংশ ভালো উপায়ে সক্রিয় করে।
পার্বোত্তানাসন
পদ্ধতি
দু'হাত পিছনে নিয়ে একসঙ্গে কোমরের কাছে রেখে ডান পা ডান দিকে রাখুন। সেদিকে মুখ করে কোমর পর্যন্ত শরীরের অর্ধেক হেলিয়ে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ থাকুন। আবার ধীরে ধীরে এভাবে বাম দিকে করুন।
উপকারিতা
এটি পিঠের শিরদাঁড়া এবং পায়ের ব্যায়াম। দেহের ওই অংশকে ফ্লেক্সিবেল করে। দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং দেহকে আরও সক্রিয় করে।
ত্রিকোনাসন
পদ্ধতি
প্রথমে শরীর সোজা রেখে দাঁড়ান। এবার দুই পা আড়াই থেকে তিন ফুট পরিমাণ ফাঁক করুন। এরপর হাত দুটো শরীরের দুপাশে কাঁধ বরাবর উঁচু করুন। হাতের তালু নিম্নমুখী করে রাখুন। এবার পা থেকে কোমর পর্যন্ত শরীর সোজা রেখে সামনে-পেছনে ঝুঁকে আস্তে আস্তে ডান দিকে বাঁকা করুন। খেয়াল রাখুন, যেন হাঁটু না ভাঙে। এবার আস্তে আস্তে ডান দিকে বাঁকিয়ে ডান পায়ের পাতা স্পর্শ করতে চেষ্টা করুন। সহজভাবে যতটুকু হাত যায় ততটুকুই রাখুন। কিছুদিন অভ্যাস করলে আসনটি সঠিক ভঙ্গিমায় করতে পারবেন।
এভাবে প্রথমে ডানদিকে, পরে বামদিকে করুন। একবার ডানে আর একবার বামে মিলে হয় এক প্রস্থ। এভাবে তিন থেকে পাঁচ প্রস্থ করতে পারেন।
প্রত্যেক পাশে অবস্থানে সময় নিন ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড। দম স্বাভাবিক রাখুন। যেদিকে বাঁকাবেন, সেদিকের হাত নিচে ও অপর হাত মাথার ওপরে তুলে রাখুন। দৃষ্টি থাকবে ওপরের হাতের আঙুলে।
উপকারিতা
কোমরের চর্বি কমিয়ে কোমরকে সরু ও সুন্দর করে তোলে। মেরুদণ্ড নমনীয় ও কমনীয়তা বজায় থাকে। মেরুদণ্ডে রক্ত চলাচল বাড়ায়, পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। পিঠের মাংসপেশি মজবুত রাখে। ফলে পিঠে ব্যথা বেদনা হতে পারে না।