বগুড়ায় 'মধুবন সিনেপ্লেক্সে'র উদ্বোধন ডিসেম্বরে
বগুড়ায় গত ঈদুল ফিতরে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল 'মধুবন সিনেপ্লেক্সে'র। কিন্তু করোনাভাইরাস বাস্তবতায় কিছু নির্মাণ আর সাজ-সজ্জার কাজ শেষ না হওয়ায় তা হয়নি। তবে বাংলা ছবি দিয়েই ডিসেম্বরে নতুন করে পথচলা শুরু করতে চায় মধুবন।
মধুবন সিনেপ্লেক্স প্রোপাইটার আরএম ইউনুস রুবেল এ কথা জানিয়ে বলেন, 'নবাব এল.এল.বি.' বা 'মিশন এক্সট্রিম' কিংবা এ ধরনের ছবি দিয়েই সিনেপ্লেক্সটির যাত্রা শুরুর ইচ্ছা কর্তৃপক্ষের।
১৯৭৪ সালের ১০ অক্টোবর ৮৮৭ আসনের 'মধুবন' উদ্বোধন করা হয় 'ডাকু সুলতান' ছবি দিয়ে। সিনেপ্লেক্স যুক্ত হলেও বাংলা ছবিই এ বিনোদন কেন্দ্রে প্রাধান্য পাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি হলিউডের চলচ্চিত্রও প্রদর্শনের পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।
বগুড়া শহরের চেলোপাড়া এলাকায় ১৯৬৯ সালে এ সিনেমা হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় কাজ বন্ধ থাকায় উদ্ধোধন করা হয় ১৯৭৪ সালে, আর দর্শকদের রুচির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৭ সালে সংস্কার কাজ শুরু হলে আবারও বন্ধ হয়ে যায়।
দেশে যখন চলচ্চিত্র মন্দাবস্থায়, তখন বগুড়ার মতো একটি শহরে এ বিনোদন কেন্দ্র কীভাবে ব্যবসাসফল হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আরএম ইউনুস রুবেল বলেন, দেশের দর্শকরা এখনো সিনেমা হলমুখি। আর সে কারণেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর বগুড়াতেও ৩৪০ আসনের মধুবন সিনেপ্লেক্স লাভজন হবে।
'শহরের অন্যান্য সিনেমা হলকে সিনেপ্লেক্স করার জন্য উৎসাহিত করব; কারণ একটি প্রতিষ্ঠান কখনো বাজার তৈরি করতে পারে না,' বলেন তিনি।
বিনোদন কেন্দ্রটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা সায়েখউজ্জামান জানান, 'যদিও কর্তৃপক্ষ ঈদুল ফিতরে নুতন রূপে সিনেপ্লেক্সটি দর্শকদের সামনে আনতে চেয়েছিল, কিন্তু করোনার পাশাপাশি আরও কিছু কারণে তা সম্ভব হয়নি।'
আগামীতে স্ক্রিনের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকেই 'সিনেপ্লেক্স' নাম দেওয়ার হলেও মধুবন সিনেমা হলে আপাতত একটি স্ক্রিনই থাকছে।
এখানে বিনোদন পিয়াসীরা গোল্ড-ট্রাকে চা-কফি কেকসহ হাল্কা খাদ্যসামগ্রী পাবেন; তবে বিনিময়ে গুনতে হবে ৪০০ টাকা। প্রিমিয়ার ট্রাকে যারা ছবি দেখবেন, তাদের দিতে হবে ২০০ টাকা আর সামনের লাইনে যারা বসবেন, তাদের টিকেটের মূল্য ১০০ টাকা। অবশ্য চীন থেকে আনা সবগুলো আসনের মান একই জানিয়ে আরএম ইউনুস রুবেল বলেন, কম টাকায় ছবি পাওয়া গেলে টিকেটের মূল্যও কমানো হবে।
সিনেপ্লেক্সটির জন্য বেলজিয়াম থেকে মেশিন, আমেরিকা থেকে সাউন্ড সিস্টেম এবং মুম্বাই থেকে গ্যালালাইট মেটাল কোডেট পর্দা আনা হয়েছে। হলজুড়ে থাকছে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা; দর্শকদের জন্য পার্কিং সুবিধার পাশাপাশি থাকছে ফুডকোর্ট।
শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন ৪টি করে শো হবে এ সিনেপ্লেক্সে; আর শুক্রবার শো হবে ৩টি।