ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় মা হওয়া নিয়ে অনুশোচনা নেই আলিয়ার
মাত্র ২৯ বছর বয়সে মা হয়েছেন আলিয়া ভাট। অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থেকে বিয়ে-সন্তান নেওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না অনেক নায়িকা। তবে নিজের সিদ্ধান্ত দিয়ে সবাইকে একেবারে চমকেই দিয়েছিলেন 'গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি' অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানিয়েছেন, জীবনের সব ক্ষেত্রেই তিনি আগে নিজের মন কী বলছে তা শোনেন; সেটা কর্মক্ষেত্র হোক বা ব্যক্তিগত জীবন। অভিনেত্রী আরও জানান, এখনকার মতো এত খুশি তিনি আগে কখনোই ছিলেন না।
২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল বিয়ে করেন বলিউডের পাওয়ার কাপল রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। পাঁচ বছর প্রেমের পর নতুন পরিণতি পায় তাদের সম্পর্ক। রণবীরের মুম্বাইয়ের বাড়ি 'বাস্তু'তেই বসেছিল বিয়ের আসর। বিয়ের দু মাসের মাথাতেই সন্তানের আসার খবর দেন এই দম্পতি। নভেম্বরে জন্ম হয় রাহার।
বিয়ের কয়েক মাস পরেই সন্তানের প্রসবের খবর জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করেন আলিয়া। সিংহ, সিংহী ও শাবকের ছবির নিচে লেখা ছিল, "আমাদের জীবনের সেরা খবর। আমাদের সন্তান হয়েছে.. ও এক মায়াবী কন্যা। আমরা ভালোবাসায় পরিপূর্ণ- আশীর্বাদপ্রাপ্ত এবং আবেগী পিতা-মাতা!! আলিয়া এবং রণবীরের পক্ষ থেকে রইল অনেক অনেক ভালোবাসা."
সম্প্রতি বম্বে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলিয়া ভাট বলেন, "জীবনে কোনো ভুল-সঠিক হয় না। আমার ক্ষেত্রে যা কাজ করে তা অন্য কারো ক্ষেত্রে ভালো কাজ নাও করতে পারে। আমি এমন একজন মানুষ যে সারাজীবন নিজের হৃদয়ের কথা শুনে এসেছি। আপনি নিজের জীবন নিয়ে সবকিছু পরিকল্পনামাফিক করতে পারবেন না। বরং জীবন নিজের পরিকল্পনায় আপনাকে চালাবে। সিনেমা হোক বা অন্য কিছু, আমি নিজের হৃদয়ের কথা শুনে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবসময়।"
'রাজি' অভিনেত্রী আরো যোগ করেন, "হ্যাঁ, ক্যারিয়ারের শীর্ষ সময়ে আমি বিয়ে ও বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কে বলে বিয়ে আর বাচ্চা আমার জীবনকে বদলে দেবে? আর যদি সেটা হয়ও, আমার কিছু যায় আসবে না। আমি এটুকু বলতে পারি, বাচ্চা নেওয়ার জন্য আমি কখনোই অনুশোচনা করব না। আমার নেওয়া সেরা সিদ্ধান্ত ছিল এটা। আগে কোনোদিন এর থেকে খুশি আর পরিপূর্ণ বোধ করিনি।"
আলিয়ার ভাষ্যে, "মা হওয়ার প্রতিটা মুহূর্ত ভীষণ অর্থপূর্ণ। আর অভিনেত্রী হিসেবে আমার নিজের উপরে যথেষ্ট বিশ্বাস আছে। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করেন তাহলে আপনার কাছে কাজ আসবেই। আর যদি কাজ না আসে, তাহলে না আসবে। হতে পারে এটা আমার সময় না। আমি সত্যি এমন মানুষ নই যে এটা নিয়ে খুব বেশি ভাববো। আমি আমার কাজকে গুরুত্ব দেই, সেই সাথে জীবনকেও গুরুত্ব দেই। এই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য রেখেই চলতে চাই সারা জীবন। নিজের মন যা বলবে তাই কর উচিত আমাদের।"