রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন: ‘পাঠান’ এর সাফল্যে বলিউডকে হুঁশিয়ারি কঙ্গনার!
পাঁচ বছর পর 'পাঠান' সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় ফিরেছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। মুক্তির আগে ছবিটি নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও, সবকিছুকে ছাপিয়ে বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসাসফল হয়েছে 'পাঠান'। বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে পরিচালকরা পর্যন্ত শাহরুখ খানের এই রাজকীয় প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশংসার ঝড় তুলেছেন। সম্প্রতি তাদের দলে যোগ দিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতও। তিনিও 'পাঠান'কে ভালো সিনেমা বলেছেন; তবে একই সাথে বলিউডকেও ছেড়ে কথা বলছেন না 'কুইন' তারকা!
'পাঠান'-এর সাফল্যে খুশি গোটা বলিউড। করণ জোহর থেকে আলিয়া ভাট— সবার একই মত, "পাঠানের বক্স অফিস সাফল্য ঘৃণার ঊর্ধ্বে উঠে ভালোবাসার জয়।" কিন্তু কঙ্গনা প্রশ্ন তুলেছেন- কার ঘৃণা আর কার ভালোবাসা? যারা দাবি করছেন 'পাঠান' ঘৃণাকে হারিয়ে দিয়ে ভালবাসা পেয়েছে, তারা যদি আর একবার এই কথা বলেন, তাদেরকে রীতিমতো শিক্ষা দেবেন বলেই হুঙ্কার দিয়েছেন কঙ্গনা!
টুইটারে কঙ্গনা লিখেছেন, "বলিউডের লোকজন এমন একটা ন্যারেটিভ তৈরি করেছে যেন এই দেশে (ভারতে) হিন্দুদের বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব দ্বারা তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি যদি আরেকবার শুনি যে 'ঘৃণার বিরুদ্ধে ভালোবাসার জয়'; তাহলে আমাকে আবারও সেই আগের মতোই ক্লাস নিতে হবে।"
ধারণা করা হচ্ছে, বলিউড চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহরের উদ্দেশ্যেই এই কথাগুলো বলেছেন কঙ্গনা। কারণ 'পাঠান' এর সাফল্যের পর করণ তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে তা উদযাপন করেছিলেন, সাথে ক্যাপশনে লিখেছিলেন- "ভালোবাসা চিরকালই ঘৃণাকে ছাড়িয়ে যায়।"
এর আগে কঙ্গনা অভিযোগ করেছিলেন যে 'পাঠান' সিনেমায় পাকিস্তানকে ইতিবাচকভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে; কিন্তু ভারতের সহনশীল চেতনার কারণেই এই সিনেমা বাণিজ্যিকভাবে এত সফলতা পেয়েছে।
কঙ্গনা আরও মনে করেন, ছবিটির নাম শুধু 'পাঠান' না হয়ে 'ইন্ডিয়ান পাঠান' হওয়া উচিত ছিল, যেহেতু ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ, আফগানিস্তানের মতো ধর্মতন্ত্র কায়েম নেই এখানে। আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের দিকে ইঙ্গিত করে কঙ্গনা লেখেন, "আসল কথা হচ্ছে ভারত কোনোদিন আফগানিস্তান হবে না, আমরা সবাই জানি আফগানিস্তানে কী কী হচ্ছে, ওই দেশটা এখন নরকের মতো... তাই 'পাঠান' সিনেমার স্টোরিলাইন অনুযায়ী এটার নাম হওয়া উচিত ছিল 'ইন্ডিয়ান পাঠান'।"
সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত এবং শাহরুখ খান-দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত 'পাঠান' সিনেমা মুক্তির মাত্র তিন দিনের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ৩০০ কোটি রূপি আয় করেছে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস