৭ দিনে আয় ৬০০ কোটি! হিন্দি সিনেমার সব রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিল ‘পাঠান’
বক্স অফিসে 'পাঠান' সিনেমার ঝড় যেন থামছেই না। মুক্তির মাত্র সাত দিনে একের পর এক মাইলস্টোন অতিক্রম করছে শাহরুখ খানের এই সিনেমা। ভারতের বক্স অফিসে সবচেয়ে দ্রুত ৩০০ কোটি রুপি আয়ের রেকর্ড ইতিমধ্যেই নিজের করে নিয়েছে 'পাঠান'।
এবার বিশ্ব বক্স অফিসে মাত্র সাত দিনে প্রথম হিন্দি সিনেমা হিসেবে ৬০০ কোটি রুপির বেশি আয়ের রেকর্ড গড়েছে বহুল প্রতীক্ষিত এ সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম সাত দিনে পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের এই সিনেমার আয় ৬৩৪ কোটি রুপি! খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের।
গতকাল (বুধবার) ভারতের বিখ্যাত ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ টুইটারে জানান, বলিউডের ইতিহাসে প্রথম সাত দিনের আয়ে সবচেয়ে এগিয়ে 'পাঠান'। বিশ্ব বক্স অফিসে সিনেমাটির গ্রস কালেকশন ৬৩৪ কোটি রুপি এবং ভারতে ৩৯৫ কোটি রুপি।
আলাদাভাবে ভারতের বাইরে সিনেমাটির মোট আয়ের পরিমাণ ২৩৯ কোটি রুপি। এর ফলে ভারতের বাইরে আয়ের দিক থেকে মাত্র ৭ দিনেই সেরা দশে থাকা 'সুলতান', 'থ্রি ইডিয়টস' ও 'দিলওয়ালে' এর মত সিনেমার অল টাইম কালেকশনকে পেছনে ফেলেছে 'পাঠান'। এবার হিন্দি সিনেমা হিসেবে ভারতের বাইরে মুক্তিপ্রাপ্ত সকল সিনেমাকে আয়ের দিক থেকে ছাড়িয়ে যেতে 'পাঠান' এর কত সময় লাগবে সেটাই দেখার বিষয়।
অন্যদিকে ভারতের বক্স অফিসে মাত্র সাত দিনে ৩০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে 'পাঠান'। ২০১৭ সালের 'বাহুবলি ২: দ্য কনক্লুশন'-এর হিন্দি সংস্করণের ৩০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করতে ১০ দিন সময় লেগেছিল। 'পাঠান' মাত্র ৭ দিনে এই অঙ্কে প্রবেশ করেছে। শাহরুখের এই রাজকীয় প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত 'কিং খান' এর ভক্তরা।
এমনকি মুক্তির সপ্তম দিনেও ভারতে ২২ কোটি রুপির ব্যবসা করেছে সিনেমাটি! আলাদাভাবে 'পাঠান'-এর হিন্দি সংস্করণ সাত দিনে ভারতে আয় করেছে ৩১৮.৫০ কোটি রুপি। তেলুগু ও তামিল ভার্সন মেলালে এই টাকার অঙ্ক পৌঁছাবে ৩২৯ কোটি রুপিতে।
২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'জিরো' সিনেমার ব্যর্থতার পর নিজেকে খানিকটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন শাহরুখ। তবে প্রায় পাঁচ বছর পর 'পাঠান'-এর মাধ্যমে ভারতীয় এ সুপারস্টার দেখিয়ে দিলেন, 'এভাবেও ফিরে আসা যায়'। সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে শাহরুখ জানান, দর্শকের ভালোবাসাই তার অনুপ্রেরণা। 'পাঠান' এর চারদিনের সাফল্য ভুলিয়ে দিয়েছে 'কিং খানে'র গত চার বছরের ব্যর্থতা।
গত ৩০ জানুয়ারি হওয়া এ সংবাদ সম্মেলনে শাহরুখ আরও বলেন, "আমরা সত্যি কৃতজ্ঞ দর্শক এবং গণমাধ্যমের কাছে পাঠানকে এতটা সমর্থন জোগানোর জন্য। এমন অনেক কিছুই ঘটতে পারত যা এই সিনেমার আনন্দদায়ক মুক্তিকে সংকুচিত করতে পারতো…. তবে সবদিক থেকে যে ভালোবাসা এসেছে সেটাই আমাদের এই সাফল্য এনে দিয়েছে। এর জন্য আমরা যতই কৃতজ্ঞতা জানাই সেটা কম হবে। আমি আমার সমস্ত সহকর্মীদের পক্ষ থেকে দর্শকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সিনেমায় আবারও জীবন ফিরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ।"