‘বয়স হয়ে গেলে কি ভাল থাকার অধিকার হারিয়ে যায়’: ক্ষুব্ধ আশিস বিদ্যার্থী
৬০ বছর বয়সে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন বলিউড অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। ২২ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে ফের বিয়ে; বিয়ের সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই ধেয়ে এসেছে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য।
এত ধরনের মন্তব্য পড়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উগরে দিয়েছেন তার যাবতীয় ক্ষোভ। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, "দীর্ঘ ২২ বছরের দাম্পত্য কীভাবে শেষ করতে পারলেন আশিস?" প্রাক্তন স্ত্রী এবং আশিসের একটি পুত্রসন্তান আছে। তিনি বিদেশে চাকরি করছেন এই মুহূর্তে। আশিসের বিয়ে প্রসঙ্গে তার ছেলের কী মত সে কথাও জানতে চেয়েছেন অনেকে।
এ সমস্ত প্রশ্ন এবং অনুরাগীদের ভাবনা দেখে বিস্মিত আশিস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "বুড়ো, খিটখিটে এমন অনেক অবমাননাকর কথা শুনেছি। আমি বুঝতে পারি না তাহলে কি বয়স হলে গেলে মানুষের বাঁচার অধিকার থাকে না? অখুশি হয়ে মরতে হবে বয়স্কদের? আমি নিজে কষ্ট করে রোজগার করি, নিজের খরচ মেটাচ্ছি। নিজের মনের মতো মানুষের সঙ্গে জীবন কাটানোর অধিকার কি অন্যদের থেকে নিতে হবে? কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় হবে এমন আলোচনা! এমন সমালোচনা আমি আশা করিনি। সত্যিই বিস্মিত আমি।"
বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখনও লাইভে এসে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেন অভিনেতা।
আশিস বলেন, ''দিনের শেষে আমরা সবাই কিন্তু খুশি থাকতে চাই। আর এই খুশির জন্য আজ থেকে ২২ বছর আগে আমি ও পিলু (প্রাক্তন স্ত্রী) একে অন্যের হাত ধরেছিলাম। আমাদের জীবনে আমাদের সন্তান অর্থ আসে। তারও এখন বয়স ২২। কিন্তু এত সুন্দর একটা সময় কাটানোর পর আমরা বুঝতে পারি আমরা ভাল নেই। আমরা বুঝতে পারি, আমরা ভবিষ্যৎটা আমাদের চোখে আলাদা। তখনই এই সিদ্ধান্ত নিই। কারণ, ভাল থাকার অধিকার সবার আছে।"