২০২৪ সালে টিকটকের সবচেয়ে বড় তারকা ‘লাইফ হ্যাক’ স্টার খাবি লেম; আয় কত?
বছরের প্রথমার্ধে ১৬২ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার নিয়ে টিকটকের সবচেয়ে বড় তারকায় পরিণত হয়েছেন খাবানে 'খাবি' লেম। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চার্লি ডি'আমেলিও-র চেয়ে তার অনুসারীর সংখ্যা ৭ মিলিয়ন বেশি।
নিজের ভিডিওতে দুই হাত দিয়ে একটি বিশেষ ভঙ্গি করে উদ্ভট বা অকাজের লাইফ হ্যাকগুলোকে ব্যঙ্গ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন খাবি লেম। বেশিরভাগ ভিডিওতেই তিনি কোনো কথা বলেন না। কিন্তু নিজের অঙ্গভঙ্গি ও অন্যান্য বার্তার মাধ্যমে দর্শকদের ব্যাপক আনন্দ দিয়ে থাকেন তিনি।
গত বছর 'ফোর্বস টপ ক্রিয়েটর' তালিকায় ১১তম স্থান পাওয়া খাবি লেম সেনেগালিজ-ইতালিয়ান সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। টিকটকে নিজের ভিডিওতে বিভিন্ন লাইফ হ্যাক ভিডিওর অনুকরণ করে ওই সব ভিডিওর জটিল ধরন তুলে ধরে জনপ্রিয়তা পান তিনি।
২০২২ সাল থেকেই টিকটকে সবচেয়ে বেশি অনুসারী পাওয়া ব্যক্তিত্ব খাবি লেম। এর আগে সবচেয়ে বেশি অনুসারী ছিল চার্লি ডি'আমেলিওর। নাচের ভিডিওর জন্য তুমুল খ্যাতি পেয়েছেন ডি'আমেলিও। টিকটকের সুবাদে তিনি বনে গেছেন ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের অনুসারীর হিসাব রাখা সাইট সাইট সোশ্যালব্লেড-এর তথ্য বলছে, গত জুলাইয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত টিকটকে লেমের অনুসারীর সংখ্যা ২ মিলিয়ন বেড়েছে। তবে ডি'আমেলিও নতুন অনুসারী পেয়েছেন ৪.৩ মিলিয়ন। ফলে দুজনের মধ্যে ব্যবধান কমে এসেছে।
গত এক বছরে অনুসারীর দিক থেকে শীর্ষ পাঁচ টিকটকারের তালিকায় খুব একটা হেরফের হয়নি। লেম ও ডি'আমিলো প্রথম দুই স্থান ধরে রাখলেও পরের তিনটি অবস্থানে রদবদল এসেছে। মি. বিস্ট ও বেলা পোর্চ দুই ধাপ ওপরে উঠে এসেছেন। আর অ্যাডিসন রে পঞ্চম স্থানে নেমে গেছেন।
অনুসারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হলেও টিকটকে সবচেয়ে বেশি লাইক পাওয়ার দিক থেকে খাবি লেম শীর্ষস্থানের ধারেকাছেও নেই। ২.৪ বিলিয়ন লাইক নিয়ে এ তালিকায় ২৬তম অবস্থানে আছেন তিনি। আর ১১.৭ বিলিয়ন লাইক নিয়ে এ ক্যাটাগরিতে সবার ওপরে আছেন ডি'আমেলিও।
বিপুল অনুসারীর সুবাদে খাবি লেমের আয়ও হয় মোটা অঙ্কের। ফোর্বসের প্রাক্কলন অনুসারে, ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেমের আয় ১৬.৫ মিলিয়ন ডলার।
এ সময় টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কোনো পণ্যের প্রচারণা করার জন্য প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ডলার পেয়েছেন।
২০২২ সালে ফরচুন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাবি লেইম জানিয়েছিলেন, টিকটকে প্রতি পোস্টের মাধ্যমে তিনি ৭৫ হাজার ডলার আয় করেন।
লেম জানান, তার বেশিরভাগ আয় আসে অনলাইন কন্টেন্ট আকারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে।
সেনেগালের ডাকার থেকে বাবা-মা ও ভাইবোনের সঙ্গে ২০০১ সালে ইতালির তুরিনের শহরতলি চিভাসোতে অভিবাসিত হন খাবি লেম। হাইস্কুল পাশ করার পর মহামারি আঘার হানার আগপর্যন্ত একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। কিন্তু মহামারি আঘাত হানার পর তার চাকরি চলে যায়।
২০২০ সালে স্রেফ শখের বসে টিকটকে যোগ দেন খাবি লেম। কিন্তু পরে এটিই হয়ে ওঠে তার জীবিকা উপার্জনের উপায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই টিকটকে লাখ লাখ অনুসারী পেয়ে যান তিনি। দুই বছরের মধ্যে শীর্ষ টিকটকার হিসেবে পরিচিতি পান।
টিকটকে যাদের অনুসারী সবচেয়ে বেশি (২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত)
খাবি লেম: ১৬২.৬ মিলিয়ন
চার্লি ডি'আমেলিও: ১৫৫.৪ মিলিয়ন
মিস্টার বিস্ট: ৯৬.৯ মিলিয়ন
বেলা পোর্চ: ৯৪.২ মিলিয়ন
অ্যাডিসন রে: ৮৮.৮ মিলিয়ন