'ধূমপান-মদ্যপান করি না, ধোঁয়া সহ্য করতে পারি না', পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন কেকে
বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কেকের আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তার ভক্তরা। গায়কের এভাবে আচমকা চলে যাওয়াটা এখনো মেনে নিতে পারছেন অনেকেই। কলকাতায় একটি কনসার্টে পারফর্ম করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের এই জনপ্রিয় গায়ক। গায়কের মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চের আয়োজন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে বিভিন্ন মহলে; চলছে তুমুল বিতর্ক।
এক দশকেরও বেশি সময় আগে রেডিও সিটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেকে জানিয়েছিলেন, সুস্থ থাকার জন্য কী কী সতর্কতা অবলম্বন করেন তিনি। কিভাবে কণ্ঠের যত্ন নেন তিনি, জানতে চাইলে কেকে বলেছিলেন, "আমি আসলে এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করিনা। আমি ধূমপান করি না, মদ্যপানও নয়। কিন্তু আমি জানি না, কলেজে আমার এক বন্ধু ছিল সে দুটোই করত এবং এরপরেও যথেষ্ঠ ভালো গান গাইতো।"
তিনি আরও বলেন, 'যখন আমরা শোতে আসি, তখন আমি নিশ্চিত করি যে ব্যান্ডের লোকেরা যারা সাধারণত ধূমপান করে, তারা যেন আমার আশেপাশে ঘোরাফেরা না করে। কারণ আমি ধোঁয়া সহ্য করতে পারি না।'
কেকের ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে জানা গেছে, তার হৃদযন্ত্রে অনেকগুলো ছোট ছোট ব্লক ছিল। এর মধ্যে বাঁ দিকের আর্টারিতে একটা বড় ব্লক ছিল, যার প্রায় ৭০ শতাংশই ব্লক ছিল। চিকিৎকদের অনুমান, গ্র্যান্ড হোটেলেই কেকে'র হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। প্রচুর দৌড় ঝাঁপের কারণে লিফটের মধ্যে ব্লকের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং হৃদযন্ত্রের চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ফলে অজ্ঞান হয়ে যান শিল্পী। এরপরই হৃদযন্ত্রে কাজ করা বন্ধ হয়ে যায় এবং তার মৃত্যু হয়।
কেকের পরিবার সূত্রের খবর, কিছুদিন যাবত ঘাড়ের পেছনে ও তলপেটে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। এছাড়াও, ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন গায়ক। তবে ৫৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করা কেকে কখনো হৃদরোগ শনাক্ত করতে কোনো পরীক্ষা করিয়েছিলেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি।