অবিকল মানুষের মতো হলেও, আসলে এরা মানুষ নয়
বাচ্চা হাতিটি ট্রেনের ধাক্কায় আহত হওয়ার পর আরো বেশ কিছুক্ষণ বেঁচে ছিল। ওর চোখ দুটো ব্যথায় ছলছল করছিল। শরীর থেকে গড়িয়ে পড়ছিল রক্ত। ভিডিওতে ওকে দেখে মনে হলো যেন বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে আমাদের কাছে। কিন্তু কেউ কিছু করতে পারেনি। রাতে যতোবার চোখ বন্ধ করেছি, আমি সেই বাচ্চাটির চোখ দুটি দেখতে পেয়েছি। কেন যেন নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছিল। মনে হলো সুজাতা নামের ছোট্ট একটি মেয়ে একটি বন্য হাতিকে বাঁচিয়েছিল, কিন্তু আমরা পারিনি।
আব্বা ছোটবেলায় প্রগতি প্রকাশনীর একটি বই এনে দিয়েছিল, নাম 'সুজাতা ও তার বুনোহাতি'। ছোট মেয়ে সুজাতা ও একটি বুনো হাতির মধ্যে কিভাবে বন্ধুত্ব হলো, কিভাবে তারা পরস্পরকে বাঁচালো, সেই কাহিনী লেখা ছিল। বইটি বহুবার পড়েছি। এখনো আছে আমাদের বাসায়। আমার মেয়েও পড়েছে বইটি। এই সেদিন দেখলাম 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারারস' ছবিটি অস্কার পেয়েছে। একটি পরিবার একটি বন্য হাতির মধ্যে মায়া ও ভালবাসার সিনেমা এটি।
মায়ের সাথে এই বাচ্চা হাতিটিকে মূলত ঢাকা শহরে ঘুরে ঘুরে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করা হত। কাজেই বলতে পারি, ঢাকার উত্তরার কোটবাড়ি রেলগেট এলাকায় এই বাচ্চা হাতির মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটা অবহেলা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে ঘটা একটি হত্যাকাণ্ড। অদক্ষ মাহুত ও সবার অবহেলার কারণে মারা গেল বাচ্চাটি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেল চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে মৃত হাতিকে রেললাইন থেকে সরিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার আট ঘণ্টা পরেও রাত ১০টা পর্যন্ত বনবিভাগের কেউ আসেনি।
যারা পশুপাখির প্রতি অত্যাচার করে এবং অত্যাচার মেনে নেয়, সেই অমানুষগুলো দেখতে অবিকল মানুষের মতো হলেও, আসলে এরা মানুষ নয়। একদল লোক হাতির বাচ্চাকে ২-৩ মাসব্যাপী 'প্রশিক্ষণ' এর নামে নানা কলাকৌশল শেখাতে গিয়ে নির্মম নির্যাতন চালায়। এ সময় হাতি শৃঙ্খলমুক্ত হতে জোর চেষ্টা চালায়, শুড় উঁচিয়ে কাতরায়। কখনও নির্যাতনে হাতি শাবক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, তবুও নির্যাতন থামে না। সাতজনের হাতে থাকা সাতটি লোহার রড দিয়ে অবিরাম খোঁচানো হয় হাতি শাবককে। এই নিষ্ঠুর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার নাম 'হাদানি'।
শুধু বশ মানানোর জন্যও পরে এদের ব্যবহার করার জন্য, মায়ের কাছ থেকে বাচ্চা হাতিকে বিচ্ছিন্ন করে অসম্ভব অত্যাচার করা হয়। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পোষ মানাতে হাতি শাবককে মান্ধাতার আমলের নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়। পশুর প্রতি এ ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ এবং কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা যেমন অমানবিক, তেমনি বেআইনিও। অথচ কখনো দেখিনি কারো বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
লাইসেন্স দেয়া হাতি কোথায় আছে, কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, হাত বদল হচ্ছে কিনা- এসব মনিটর করার দায়িত্ব বনবিভাগের। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ক্যাপ্টিভ (বন্দী) হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির চিত্র ও অবৈধ ইজারার সিন্ডিকেটের ব্যাপারে বহুবার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরেও বন বিভাগের নেয়া কোন পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত চোখে পড়েনি। জনসমক্ষে গাড়ি থামিয়ে দোকানে দোকানে হাতি দিয়ে চাঁদা সংগ্রহ করা একটি নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা একধরণের মানসিক বিকৃতি বা অসুস্থতা। ছোটবেলায় একটা বইয়ে পড়েছিলাম, মানুষই এ জীবজগতে সবচেয়ে বেশি নৃশংস। কারণ একমাত্র মানুষই পারে অপ্রয়োজনে বা তুচ্ছ কারণে ভয়ংকরভাবে মানুষ ও পশুপাখিকে হত্যা করতে। আর কোনো জীব তা পারেনা। এমনকি খুব বিষধর সাপও হঠাৎ মানুষকে আক্রমণ করে না। একথাটা সেসময় শুধু পড়েছিলাম, যতো দিন যাচ্ছে মানুষের সেই কদর্য চেহারাটা ততো চোখে দেখতে পারছি।
এদেশে মানুষও হত্যা করা হয় পেশাদার খুনি দিয়ে, হাতিও তাই। মানুষ হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হচ্ছে, মানুষের চাইতে ১০০ গুণ বড় হাতিকেও হত্যা করে মাটিচাপা দিচ্ছে। কী ভয়ংকর মানসিক অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি আমরা। খবরে পড়লাম বন দখলকারী একটি চক্র ভাড়াটে খুনি দিয়ে হাতি হত্যা করছে। শেরপুর, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামে এই কায়দায় হাতি হত্যা চলছে। এ যেন এক হত্যার উৎসব।
২০০৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বছরে তিন থেকে চারটি হাতি হত্যা করা হয়েছে, ২০২০ সালে হত্যা করা হলো ১২টি। আর ২০২১ এ হাতির মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩ এর বেশি। প্র্রতি তিনদিনে ১ টি করে হাতি হত্যা করা হচ্ছে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এভাবে চলতে থাকলে ইদুঁর, তেলাপোকা হবে এদেশের প্রধান বন্যপ্রাণী। ওনার এই আশংকা খুব একটা অমূলক নয়। হাতিদের আশ্রয়স্থল কেড়ে নিয়েছে মানুষ। গাছ কেটে বন সাফ করেছে। হাতি চলাচলের পথে মানুষ বসতি গড়েছে। তাহলে এই নিরীহ প্রাণীগুলো কোথায় যাবে, কোন পথে চলবে? কী খাবে?
দেশের ২৬২টি হাতিকে রক্ষার জন্য সরকার একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করলেও সব শেষ হয়ে যেতে বসেছে। কারণ বনের ভেতরে গাছ কাটার পর সেখানে চোরাকারবারি বা বনউজাড়কারীরা ফসলের চাষ করছে। আর ওই ফসল পেকে ওঠার পর তা রক্ষায় তারা জমির চারপাশে বিদ্যুতের তার দিয়ে দিচ্ছে। হাতি চলাচলের মৌসুমে ওই পথে তারা বিদ্যুতের তার দিয়ে আটকে রাখছে। চলাচলের সময়ে সেখানে বাধা পেয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা পড়ছে হাতি।
হাতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেরপুরের শালবনের বড় অংশ এখন আর বনভূমি নেই। সেখানে গাছ কেটে কৃষিকাজ হচ্ছে। এভাবে হত্যা চলতে থাকলে দেশ থেকে হাতি বিলুপ্ত হতে সময় লাগবে না। সরকার ২০১৮ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে হাতির সংখ্যা দ্বিগুণ করার যে পরিকল্পনা নিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন আদৌ হবে কি, নাকি দেশ হাতিশূন্য হয়ে যাবে?
২০২০ সালে ভারতের কেরালায় একটি গর্ভবতী হাতির বোমা ভরা আনারস খাওয়া ও তিনদিন পানিতে দাঁড়িয়ে থেকে মারা যাওয়ার ঘটনাটি জানার পর চারিদিকে তোলপাড় হয়েছিল। সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে পশুর বিরুদ্ধে এই জঘন্য আচরণের প্রতিবাদে একের পর স্কেচ, ছবি ও স্ট্যাটাস শেয়ার করেছে অগণিত মানুষ।
ঢাকাতেও বন্দী হাতির উপর নির্যাতন ও বন বিভাগ কর্তৃক লাইসেন্সকৃত হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে বন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য প্রাণী অধিকারকর্মী। সামাজিক মাধ্যমও সোচ্চার হয়েছে এই অপরাধ ও হত্যার বিরুদ্ধে। কারণ আমরাও মনে করি এটা ভয়ংকর অপরাধ। মানুষ খুন আর হাতি খুনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যদিও হাতি হত্যা বা বাঘ হত্যা নিয়ে আমাদের উচ্চপদস্থ অনেকেরই কোন মাথাব্যথা নেই। এদের কেউ কেউ মনে করেন, 'সৌদি আরবে তো বাঘ নাই, সেদেশের কি উন্নতি হয়নি?'
হাতির জন্য যে বনভূমি, যাতায়াতের যে পথ, মানুষ তা সবই দখল করেছে বলেই আজ তারা নিরুপায় হয়েই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। হাতির বিচরণ ক্ষেত্রে মানুষ বসতি গড়ছে, বনবিভাগের জমিতে চাষাবাদও করছে। যখন হাতি সেখানে ঢুকছে, তখন বিদ্যুতের শক দিয়ে বা গুলি করে তাদের মারছে। আইইউসিএন বহু আগেই জানিয়েছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরের ভেতর দিয়ে হাতির যাওয়ার একটি করিডর তৈরির পাশাপাশি দেশে হাতির বিচরণের অন্য পথগুলো সুরক্ষিত করতে হবে।
বনবিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন সংরক্ষক স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, বন বিভাগের একার পক্ষে হাতি রক্ষা করা যাবে না। কারণ বনের ভেতর অবৈধ দখলদারেরা কীভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়, ফসলের চাষ করে, আর অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে, তা দেখার দায়িত্ব একা বনবিভাগের নয়। সরকারের অন্যান্য সংস্থাগুলোর সহযোগিতা ছাড়া হাতি বাঁচানো যাবে না।
কিন্তু বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই এতটুকু জানেন যে, দলছুট বা মা হারা অথবা লাইসেন্স বাতিল করে জব্দ করা হাতির সংখ্যা কত? হরিণ ও হাতি লালনপালন বিধিমালা ২০১৭ বাতিল করার বিষয়টির কী অবস্থা, নতুন করে কোন হাতিকে লাইসেন্স না দেয়া এবং বন্দী হাতিদের জব্দ করে বাংলাদেশে একটি হাতির অভয়ারণ্য তৈরি করার পরিকল্পনাটির খবর কী?
আইইউসিএন এর লাল তালিকাভুক্ত প্রাণী হিসেবে এশিয়ান হাতি বর্তমানে মহাবিপদাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই হাতিকে বনবিভাগ কেন ব্যক্তিমালিকানায় নেয়ার লাইসেন্স দেয়? সাধারণত শৈশব থেকেই মা হাতির কাছ থেকে শাবককে ছাড়িয়ে নিয়ে নির্মম অত্যাচারের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় হাতির মাহুত চাঁদাবাজির সময় একটি ধাতব হুক হাতে নিয়ে বসে থাকে, যা দিয়ে সে হাতির শরীরের বিভিন্ন দুর্বল স্থানে আঘাত করে চাঁদাবাজিসহ মানুষের উপর চড়াও হতে বাধ্য করে।
অথচ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ধারা ১১ এর উপধারা ২ অনুযায়ী- "লালন-পালনযোগ্য বন্যপ্রাণীর জন্য নিবন্ধন সনদ ইস্যুর পূর্বে নিশ্চিত হইতে হইবে যে, আবেদনকারী আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং উক্ত বন্যপ্রাণী লালন-পালনের জন্য ক্ষেত্রমত, প্রয়োজনীয় স্থান, জলাধার, পরিবেশ, ফিডিং স্পট ও পরিচর্যাকারী লোকবল, লালন-পালন সম্পর্কে জ্ঞান ও সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রহিয়াছে।"
প্রশ্ন হচ্ছে, হাতির মালিকরা কী এই নিয়ম মানছেন? বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি হাতি হত্যা করেছে বলে প্রমাণিত হলে কঠোর দণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানিনা কেউ কখনো এই অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছে কিনা?
দেশের বিভিন্ন স্থানে হাতিকে ব্যবহার করে চাঁদা তোলা হচ্ছে আইন রক্ষাকারী সংস্থার সামনে দিয়েই। যানবাহনের পাশে গিয়ে যখন রাজকীয় প্রাণী হাতি ৫০ টাকার জন্য শুঁড় পেতে দেয়, তখন লক্ষ্য করে দেখবেন, তার চোখে কী অব্যক্ত বেদনা! টাকা না চাইলে পিঠে বসে থাকা 'অমানুষ'টি বেত দিয়ে মাথায় গুঁতা মারে। হাতি অনেক বুদ্ধিমান প্রাণী, দলগতভাবে বিচরণ করে, বাচ্চাকে খুব ভালবাসে, নিজের মতো চলাফেরা করে, বাধা পেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেই রাজকীয় প্রাণীকে মানুষ 'ভিক্ষুক' বানিয়ে ছেড়েছে।
প্রাণী অধিকার রক্ষায় জনগণকে সবচেয়ে আগে সচেতন করতে হবে। পশুপাখিকে ভালবাসতে হবে। আর এই কাজে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো তারকাদের কাজে লাগাতে হবে। সবাই একসাথে বলবেন প্রাণীকুল ও প্রকৃতি আমাদের বাঁচায়, আসুন আমরা তাদের বাঁচাই।
একটা গল্প দিয়ে নিহত বাচ্চা হাতিটির প্রতি ভালবাসা জানাই। ব্রাজিলের একটি দ্বীপে এক বুড়োর পোষা একটি পেঙ্গুইন ছিল। বুড়ো জোয়াও পেরিরার পেঙ্গুইনটির নাম ছিল ডিনজিম। ৮/৯ বছর আগে হঠাৎ জোয়াও দেখলো একটি ছোট পেঙ্গুইন সমুদ্রে তেলের মধ্যে আটকা পড়েছে।
বুড়ো তাকে তুলে নিয়ে এসে তার কাছেই রেখে দিলেন। কয়েকদিন পর তিনি ডিনজিমকে সমুদ্রে ছেড়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি দেখলেন তার উঠানে আবার ডিনজিম এসে হাজির। ডিনজিম প্রায় ১১ মাস তার বন্ধু হয়ে থেকে গেল। এরপর ডিনজিম তার স্বজাতির কাছে উত্তরে চলে যায়, আবার প্রতি জুন মাসে জোয়াও পেরিরার কাছে ফিরে এসে দেখা করে যায়। কারণ পেঙ্গুইনটা বন্ধু জোয়াও এর কাছে কৃতজ্ঞ যে সে তার প্রাণ বাঁচিয়েছে, যা আমরা পারিনি।
- লেখক: যোগাযোগকর্মী
বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফল। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।