পকেট ও প্যাকেট দুই-ই ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে
চিপস, টমেটো সস, চানাচুর, বিস্কুট, শ্যাম্পু, ডানো মিল্ক পাউডারের মিনি প্যাক- সবকিছুর দাম এক থাকলেও সাইজ ছোট হয়ে গেছে। সাইজ ছোট মানে কমেছে পরিমাণও। রাস্তার ধারের হোটেলগুলোতে যে সিঙ্গারার দাম ছিল ৫ টাকা, সেটা এক থাকলেও ছোট হয়েছে সাইজ। আগে যেখানে দুটো সিঙ্গারা খেয়ে এক গ্লাস পানি খেলে একজন সাধারণ শ্রমিকের পেট ভরতো, এখন দুটোর জায়গায় তিন/চারটা খেতে হচ্ছে। অথচ পকেটের অবস্থাও সিঙ্গারার সাইজের সাথে পাল্লা দিয়ে ছোট হয়ে গেছে।
এছাড়াও আগে ১০ টাকা দামের রুচি বারবিকিউ চানাচুরের প্যাকেটে থাকত ৩৫ গ্রাম, যা এখন মাত্র ২৫ গ্রাম এবং আগে ১০ টাকা দামের মিস্টার কুকি বাটার কোকোনাট বিস্কিটে থাকত ৫৫ গ্রাম, যা এখন মাত্র ৩৯ গ্রাম। এভাবে বাজারের সব বড় বড় ব্র্যান্ডেরই বিভিন্ন পণ্যের পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, অথচ মূল্য রয়েছে আগের মতোই। দোকানে ঝুলানো এই পণ্যগুলো লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে প্যাকেট কিভাবে ছোট হচ্ছে ক্রমশ।
দাম অপরিবর্তিত রাখার জন্য ব্যবসায়ীরা এ এক ভাল কৌশল বের করেছেন। মাস ছয়েক আগেও এক কেজি আলু আর এক কেজি আটা দিয়ে ২০-২৫টি সিঙ্গারা বানাতেন যে দোকানি, লাভের মুখ দেখার জন্য সমপরিমাণ কাঁচামাল দিয়ে ৩০-৩৫টি সিঙ্গারা বানাচ্ছেন তিনি। এটা শুধু সিঙ্গারার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, প্রযোজ্য পুরি, সমুচা, আলুর চপ, কাটা ফল, চা, আখের রস, পিঠাসহ সকল ক্ষেত্রে। বছরখানেক ধরে দ্রব্যমূল্য এতটাই বেড়ে গেছে যে, সবাই এভাবেই 'ব্যালান্স' করছেন। ক্রেতাও কিনতে পারছেন, ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না।
আমি সুপারশপ বা বড় বাজারের আলোচনায় যাচ্ছি না, যাচ্ছি সাধারণ মানুষ যেখান থেকে কেনাকাটা করেন, সেসব বাজারের আলোচনায়। এই দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষক, শ্রমজীবি, ছোট চাকুরিজীবি ও ব্যবসায়ী। এরা যেখানে কেনাকাটা করেন, দুপুরে খাওয়াদাওয়া করেন এবং অবসরে বসে চা-সিঙ্গারা খেয়ে গল্পসল্প করেন সেরকম প্রতিটি স্থানেই সবকিছুর সাইজ ছোট হয়ে গেছে।
মাছের বাজারেও ভাগ আছে, বড় মাছ বা ছোট মাছের ভাগ নয়। তাজা, কম তাজা ও মরা বা একটু পচা মাছের ভাগ। ডিম, সবজি ও মুরগির বাজারেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে মাংসের বাজারে দামের তেমন কেন হেরফের নেই। যাদের পকেট ছোট হয়ে এসেছে, তারা ভিড় করছেন দ্বিতীয় গ্রুপের বাজারে। অবশ্য আমাদের এই দেশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা দামদরের ধার ধারেন না, প্যাকেট ও পকেটের সাইজ নিয়েও ভাবেন না।
এরকম মানুষের সংখ্যা অবশ্য শহরে বেশি, গ্রামগঞ্জে কম। কারণ শহরে কালো টাকা উড়ে বেশি, পাড়া-প্রতিবেশির মধ্যে জানাশোনা কম, তেমনভাবে কেউ কারো পকেটের খবর ও হাঁড়ির খবর জানেন না। প্রতিবেশি মানুষটি ঠিক কত টাকার, কতটি বাড়ি অথবা গাড়ির মালিক তাও জানা যায় না অনেকক্ষেত্রে। ধারণা করলেও ভুল ধারণা করা হয় কখনো কখনো। যেমন আপনি হয়তো জানেন যে আপনার প্রতিবেশি একটি ছোটখাট চাকুরি করেন, কিন্তু হঠাৎ যদি দেখেন বাজারের সবচেয়ে বড় মাছটা উনি আপনার নাকের ডগা দিয়ে কিনে ফেললেন, তাহলেও অবাক হওয়া যাবে না। কারণ তার চাকুরি ছোট কিন্তু পকেটটা বড়। এমনও দেখা গেছে সরকারি অফিসে ছোট পদে চাকুরি করেন যিনি, ভবনের গ্যারেজে রাখা সবচেয়ে দামি গাড়িটি তারই। এখানেও ধরে নিতে হবে লোকটির পকেট বড়, কাজ ছোট।
দাম না বাড়িয়েও যে দাম বাড়ানো যায়, ছোটখাট মাপের কেনাকাটা করেন যে ক্রেতারা, তারা সেটা বুঝতে পারেন। যদিও বুঝেও করার কিছু থাকেনা। যারা প্রচুর পরিমাণে অথবা একবারে অনেককিছু কেনার ক্ষমতা রাখেন, তারা এটা বুঝবেন না বা বোঝার দরকারও বোধ করেন না। এভাবে কোনো পণ্যের পূর্বের দাম অপরিবর্তিত রেখে পণ্যের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার চর্চাকে বলা হয় 'শ্রিংকফ্লেশন'। দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর জন্য বেশ চৌকস একটি কৌশল মনে করা হয় এটিকে। কারণ আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় দ্রব্যের দাম একই থাকছে। কিন্তু আদতে ওজনের প্রতি এককের দাম ঠিকই বেড়ে যাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক ড. নাসরিক আক্তার শ্রিংকফ্লেশনকে ব্যাখ্যা করলেন এক ধরনের মার্কেটিং কৌশল হিসেবে, যেটি বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দা চলাকালীন ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা এবং কোম্পানির লাভের মাঝে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যবহৃত হয়। "তবে কোনো কোম্পানিই চায় না হুট করে পণ্যের পরিমাণ অনেকখানি কমিয়ে দিতে। তারা ধীরে ধীরে পরিমাণ কমাতে থাকে, যাতে ব্যাপারটা মানুষের নজরে না আসে।" (সূত্র- দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)
জানিয়ে রাখা ভালো, আজকাল অর্থনীতিবিদরা 'স্ক্রিম্পফ্লেশন' নামেও একটি পরিভাষা ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে পণ্যের পরিমাণ না কমানো হলেও, উৎপাদনের ক্ষেত্রে কাঁচামালের গুণগত মান কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে উৎপাদন খরচটাও কমে যায়। এটা সিঙ্গারা, চপ, চিপস, চানাচুরের জন্য বিপদজনক নয়। কিন্ত ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে বা চিকিৎসা সামগ্রী, দুধ, মশলা টুথপেস্ট, সাবান, শ্যাম্পু, নুডুলসের গুণগত মান কমলে কিন্তু ভয়াবহ ব্যাপার হবে। বিশেষ করে গুণগত মান কমিয়ে দিয়ে পণ্য বানালে, তা ক্রেতাদের সাথে পুরোপুরি প্রতারণা করারই শামিল।
সে যাক, পকেট ছোট হওয়ার সাথে সাথে রাজনীতির প্রতি সহজাত আগ্রহও কমে গেছে মানুষের। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, বেতন বাড়ছে না বরং কোন কোন ক্ষেত্রে কমছে, সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে, দেশে দুর্নীতি বেড়েছে, কালো টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে এসব নিয়ে যতোটা আলোচনা সাধারণ মানুষ করছে, ততোটা আলোচনা করছে না দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। তবে হ্যা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি বড় দলের হুমকি-পাল্টা হুমকির রাজনীতি নিয়ে মানুষ বেশ ভীত হয়ে পড়ছে। ২৮ তারিখে ঢাকায় কী হবে? নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাত হবে কিনা এসব নিয়ে ভাবছেন মানুষ।
ভীত হলেও খোলামেলা আলোচনা, গালগল্পে বাজার গরম করা, মতামত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে একধরণের নির্লিপ্ততা ভর করেছে। মানুষজনের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে বিশেষ কোনো আলাপ নেই। সামনের জাতীয় নির্বাচন, ভোট প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা, ভোটারদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের এইসময় প্রচুর কথা বলার কথা। কিন্তু তা দেখা যাচ্ছে না। সবার লক্ষ্য রাজধানী ঢাকার দিকে। কবে, কোন দলের, কী কর্মসূচি এই নিয়েই শোরগোল চলছে। রাজনৈতিক নেতারা কেউ এখনো নির্বাচনী এলাকায় যাননি। বরং দুই দলের নেতারা পরস্পরের প্রতি তীর ছোঁড়া নিয়েই ব্যস্ত।
এদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সরকারের ওপর জনগণের নয়, বরং বেশি চাপ দেখা যাচ্ছে বিদেশিদের। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচন বিষয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ সহ প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত। কিন্তু মাঠপর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত জনগণের কাছে যেয়ে নিজেদের কথাবার্তা বলার রাজনৈতিক তৎপরতা চোখে পড়ছে না। ফলত রাজনৈতিক দল ও নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীকে ঘিরে মানুষের মধ্যেও যে উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকার কথা, সেটা একেবারেই অনুপস্থিত।
সাধারণ মানুষ পরিচিত গণ্ডির মধ্যে বা নিজেদের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করছেন ঠিকই কিন্তু সেটাও খুব নিষ্প্রাণ। রাজনৈতিক আলাপ আছে নিজ নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে, তাদের দলীয় অফিসের ভেতরে বা নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায়। কিন্তু মানুষ, যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, কিন্তু রাজনৈতিক চর্চায় আগ্রহী তারা চুপচাপ হয়ে আছেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষ। অনেকের সাথে বিভিন্নভাবে আলাপ করে বুঝলাম এই শ্রেণির মানুষের পছন্দের দল আছে কিন্তু পছন্দের নেতা নাই। এরা ভোট চান কিন্তু মারামারি চান না। চাইছেন নেতারা দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলুক কিন্তু সংঘর্ষ যেন না হয়।
গ্রাম ও শহর দুই জায়গাতেই কারো কারো সাথে কথা বলে বুঝলাম, সাধারণ মানুষ উন্নয়ন চাইছেন এবং যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তাতে খুব খুশি। কিন্তু উন্নয়ন করতে গিয়ে যে টাকা লোপাট হয়েছে বা হচ্ছে, ব্যাংক খালি হচ্ছে, ঋণের বোঝা বাড়ছে সেটাতেও মানুষ চিন্তিত ও বিরক্ত। রংপুরের ব্যবসায়ী সাদেক সাহেব খুব ইন্টারেস্টিং একটি কথা বলেছেন। উনি বললেন, "হামলারা কিযে করি বোধে পাছো না। এমরালাক (সরকার) না পাছি গিলতে, না পারোছো ফেলিতে। শেখের বেটিক নাম্ভে দিলে কাক বসাবেন কনতো দেখি। কাহো নাই চারিপাখে।"
সমাবেশ, যানজট, পরিবহন ধর্মঘট, দুই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচীকে মানুষ এখন ভয় পায়। এগুলোর কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকেই। মানুষ উন্নয়ন যেমন চায়, তেমনি সমাজ পরিবর্তনও চায়, চায় ক্ষমতার পরিবর্তনও আসুক নিয়ম মেনে। কিন্তু কোনভাবেই দুর্ভোগ চায় না। রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কমলাপুরের একজন ফেরিওয়ালা বললেন, "আফা জিনিসপত্রের দাম বাড়তেছে মাইনা নিছি, খাওন কম মাইনা নিছি কিন্তু হরতাল, মারামারি, আগুন, বোমাবাজি আর চাই না। রাজনীতি নিয়া কথা কইতেও অহন আর মন চায় না।"
আমরা যারা সচেতন বলে নিজেদের মনে করি, পড়াশোনা করেছি, নিজেদের ধান্ধায় চলি ও মতামত দেই, তাদের চাইতে সাধারণ মানুষ কম কিছু জানেন না। বরং তারা প্রতিটি জমানার মধ্যে ভালোরকমের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে পারেন। তবে এটাও সত্যি জীবনযাত্রার ব্যয়ভার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখছে। নির্বাচন নিয়ে কথা বলাটা তাদের অনেকের কাছেই বাড়তি কাজ বা সময় নষ্ট বলে মনে হচ্ছে। অথচ এই রাজনৈতিক আলাপটা গ্রামগঞ্জের মানুষের একধরনের আনন্দের মতো ছিল। ইলেকশন কাছে এলেই দেশের বাড়ির দিকে ছুটতো ছাত্ররা এবং শহরের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
রাজনীতি, পরবর্তী নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাজারে আগুন, পারিবারিক ব্যয় বৃদ্ধি, শ্রিংকফ্লেশন ও স্ক্রিম্পফ্লেশন এসব নিয়ে যাদের সবচাইতে বেশি উত্তেজনা ও প্রতিবাদ জানানোর কথা, তারাই এখন সবচেয়ে নীরব। এরা হলো আমাদের যুব ও তরুণ সমাজ, নতুন ভোটার ও ছাত্রছাত্রীরা। তরুণদের মধ্যে এতটা ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা, এতটা নিস্পৃহতা, রাজনীতি নিয়ে নির্মোহ ভাব দেখে আমার শুধু এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের কথা মনে হয়। কতটা ফারাক এই দুই সময়ের তারুণ্যের মধ্যে।
শিশু থেকে বয়সী মানুষ সবাই মোবাইল, গেমস, চ্যাটিং, টিকটক, পাবজি ও রিলস নিয়ে ব্যস্ত। পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী, আশপাশের মানুষ, পরিবেশ, প্রতিবেশ, ঝড়-বাদল, জমি দখল, নদী দখল, বায়ুদূষণ এবং আগামীর নির্বাচন কিছু নিয়ে তাদের কোন হেলদোল নেই ও ভাবনার দরকার নেই। কোনো কিছু নিয়ে তাদের যেন সচেতন হওয়ারও দরকার নেই। সাধারণ ছেলেমেয়েরা কোনভাবে পড়াশোনা শেষ করে একটি চাকরি, বিয়ে এবং হাতে মোবাইল পেলেই খুশি।
আর আরেকটা শ্রেণির তরুণ-যুবকরা পকেটে কিছু টাকা, হাতে অস্ত্র ও মাদক হলেই খুশি। এখন চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে, দেশের প্রায় ৫ কোটির মত তরুণ জনগোষ্ঠীকে ইতিবাচক রাজনীতিতে সক্রিয় ও সরব করে তোলা। নয়তো অধিকাংশ মানুষের পকেট ও প্যাকেট ক্রমশ ছোট হতেই থাকবে, আর বেলুনের মতো ফুলে উঠতেই থাকবে দুর্নীতিবাজ ধনিক গোষ্ঠীর পকেট ও প্যাকেট।
- লেখক- যোগাযোগকর্মী ও কলামিস্ট
বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফল। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।