কোকা-কোলা এবং ইউনিলিভার পারলে আমরাও পারব: প্রাণ-আরএফএল চেয়ারম্যান
১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান গড়ে প্রাণ-আরএফএল এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপ। খাদ্যপণ্য, হাউসওয়্যার, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফার্নিচার, বাইসাইকেল, লিফট, টেক্সটাইল, টয়লেট্রিজ ও ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিংসহ ২৮০০ ধরনের পণ্য উৎপাদন করছে তারা।
দেশের ২০টি স্থানে কারখানা গড়ার পাশাপাশি ভারতেও প্রাণ-আরএফএল গড়ে তুলেছে ৫টি কারখানা। সামনেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে কারখানা গড়ার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রতিষ্ঠানটির চার দশকের পথচলা এবং ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন এর চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন টিবিএস এডিটর ইনাম আহমেদ; সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র রিপোর্টার আব্বাস উদ্দিন নয়ন।
যখনই কোনো বিষয়ে আপনার প্রসঙ্গ আসে তখনই শুনি আপনি কানাডাতে। বিষয়টি আসলে কী?
প্রাণ-আরএফএলকে বিশ্বের বাজারে পরিচিত করানোর জন্য আমাকে বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে বেড়াতে হয়। ব্যবসার প্রসারের জন্য আমি বেশিরভাগ সময় মধ্যপ্রাচ্যে থাকি। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সম্ভাবনা বিপুল। এখনই আমরা এ বাজারটিতে ভালো করছি। আফ্রিকা নিয়েও আমি প্রচন্ড আশাবাদি। সেখানেও আমি প্রচুর সময় কাটাই।
তবে সবচেয়ে বেশি সময় কাটাতে ভালোবাসি ভারতে। কারণ বাংলাদেশের পণ্য-সামগ্রীর জন্য ভারতের বাজার ব্যাপকভাবে উন্মোচিত হচ্ছে। এজন্যই আমার দেশর বাইরে থাকাটাকে মানুষ ভালোবেসে কানাডা বলেন।
আপনি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ভারত এই তিনটি মার্কেটের কথা বলেছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে ভালো সম্ভাবনা কোনটিতে?
আমার কাছে তিনটি বাজারই সম্ভাবনাময়ী মনে হয়। ভারতের জনসংখ্যা এবং বাজার আমাদের তুলনায় বড় হলেও ওদের পণ্য সম্ভার আমাদের মতো সমৃদ্ধ নয়। ভারতে পণ্য চাহিদা বিপুল। ফলে আমরা ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছি।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইদানিং কনজাম্পশন বাড়ছে। ফলে ফুড ইনফ্লাশনও বাড়ছে। তারা ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছে। ফলে সেখানে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আফ্রিকাতেও দ্রুতই মানুষের ফুড ডিমান্ড বাড়ছে। ফলে তিনটা অঞ্চলকেই আমি প্রমিজিং হিসাবে দেখছি।
প্রাণ ধারাবাহিকভাবে ১৭ বার জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে। এটি কিভাবে সম্ভব হলো?
প্রাণ একটি মূল্যবোধের কোম্পানি। আমার বাবা প্রয়াত আমজাদ খান যখন শুরু করেন তখনই বাংলাদেশের কৃষকদের জীবন মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন। মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্যই আমাদের যাত্রা শুরু।
আমরা প্রথম থেকেই চিন্তা করেছি, দেশের মতো বাইরের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করা দরকার। ফলে রপ্তানি শুরু করে আমরা প্রতিবছর নতুন নতুন মার্কেট এক্সপ্লোর করেছি। বিশ্বের নানা দেশের মানুষও আমাদের সাড়া দিয়েছে। সরকারও আমাদের মূল্যায়ন করে পুরস্কৃত করেছে।
আমজাদ খান চৌধুরী একটি ভিশনারি চিন্তা নিয়ে প্রাণ-আরএফএল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান হিসাবে দাঁড় করিয়ে তিনি ২০১৫ সালে প্রয়াত হন। উত্তরসূরি হিসাবে আপনি প্রতিষ্ঠানটিকে কিভাবে এগিয়ে নিচ্ছেন?
ব্যবসায় আমার জীবনের ২৬ বছর চলছে। এর মধ্যে ২০ বছর কাটিয়েছি আমার বাবার সঙ্গে। উনার কাছ থেকেই আমি ব্যবসা শিখেছি। তিনি আমার মেন্টর ও পথিকৃৎ ছিলেন। আমাদের ব্যবসা উন্নতি তার হাত ধরেই হয়।
বাবা চলে যাওয়ার পর আমরা উনার মূল্যবোধকে ধরে রেখে ব্যবসাটাকে আরো এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের কোম্পানিটাকে আমরা গ্লোবাল করার চেষ্টা করছি।
আপনার বাবার শিক্ষা বা মূল্যবোধটা কী ছিল?
আমার বাবার শিক্ষাটা হলো সৎ ও নৈতিকতার সাথে ব্যবসা করা, মানুষের মর্যাদা ও আত্মসম্মানবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা করা, বাংলাদেশের ভোক্তা শ্রেণির ওপর আস্থা রাখা, সুন্দর একটি করপোরেট স্ট্রাকচার গড়ে তোলা।
একজন ব্যক্তি নয়, বরং অসংখ্য মানুষের শ্রমের মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গড়ে উঠে এটা লালন করা। বাংলাদেশের কৃষির ওপর আস্থা রেখে এটাকে একটি বৃহৎ রূপ দেওয়া ছিল বাবার পরিকল্পনা।
আমরা এখন বাবার চিন্তাকে ধরেই এগোচ্ছি। একই সঙ্গে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আমরা এখন সারাবিশ্বের কৃষি নিয়ে ভাবছি। বাংলাদেশের কৃষিতে যে সফলতা আমরা পেয়েছি তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতেই এখন কাজ করছি।
প্রাণের বর্তমান ব্যবসা সম্পর্কে আমাদের যদি ধারণা দিতেন….
প্রাণে বর্তমানে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ সরাসরি কাজ করেন। আমাদের বার্ষিক টার্নওভার ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। এই মূর্হূতে আমাদের রপ্তানি ৪০০ মিলিয়ন ডলার বা ৩২০০ কোটি টাকার মতো। আমাদের প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পণ্য যোগ হচ্ছে এবং রপ্তানি বাস্কেট বাড়ছে।
আমাদের ভবিষ্যত যে গেইম প্লান রয়েছে তাতে প্রাণ উত্তোরাত্তর আরো ভালো করবে। প্রাণের এক্সপোর্টের সম্ভার আরো বাড়বে। প্রাণ একটি ব্র্যান্ড হিসাবে পৃথিবীর বুকে ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাতে কেবল বাংলাদেশের পণ্যই রপ্তানি করবে তা নয়।
প্রাণ প্রথমত বাংলাদেশের পণ্য সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেবে। দ্বিতীয়ত অন্য দেশ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে তাদেরকেই খাওয়াবে। তৃতীয় পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় উৎপাদিত ভালো ভালো পণ্য সংগ্রহ করে তা প্রাণ ব্র্যান্ডের অধীনে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেবো।
আপনাদের ৩ হাজারের বেশি প্রোডাক্ট লাইন। এতো বেশি লাইন নিয়ে ডি ফোকাস্ড হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে কি না?
এটা অনেক সময় মনে হয়। কিন্তু আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন দেশে কিছুই ছিল না। আমাদের চেষ্টার ফলেই এখন কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প বিশাল আকার ধারণ করেছে।
আগে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বিদেশি পণ্য আসতো। এখন আমরা বিদেশী পণ্য আসা বন্ধ করেছি। দেশে এক নাম্বার কোম্পানি হওয়া আমাদের স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন থেকেই আমরা বিশাল পণ্য উৎপাদন লাইন করেছি এবং সফল হয়েছি। দেশ ছাড়িয়ে এখন আমরা বিশ্বের বুকে সবচেয়ে বড় কোম্পানি হওয়ার জন্য কাজ করছি।
কোকাকোলা, নেসলে, ইউনিলিভার পারলে আমরাও পারবো। তবে আমাদের এখনকার চেয়ে একশগুণ বেশি গতিতে কাজ করতে হবে। কোম্পানিকে ট্রান্সফর্ম করতে হবে।
বাংলাদেশি কোম্পানিকে গ্লোবাল কোম্পানিতে রুপান্তর করতে আপনারা এখন কী করছেন?
প্রথমত আমরা প্রাণ-আরএফএলে মেধাবী মানুষদের নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমি নিজে মেধাবীদের সমন্বয় করছি। নিয়োগ পাওয়া মেধাবীদের আমাদের কোম্পানির মূল্যবোধ ও ব্যবসায়ীক আইডিয়া শেখাচ্ছি।
পাশাপাশি ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ উন্নত বিশ্ব থেকেও আমরা মেধাবীদের নিয়ে আসছি। তাদের অভিজ্ঞতা নিজেদের মধ্যে অ্যাডাপ্ট করছি। আমরা লিডারশিপ তৈরি করছি।
বৈশ্বিক হওয়ার জন্য আপনারা নিশ্চয়ই বড় বিনিয়োগে যাচ্ছেন। এই মূহুর্তে দেশের বাইরে আপনাদের প্লান্ট অপারেশন কেমন? ভবিষ্যতে কী করছেন?
এই মূহুর্তে ভারতে আমাদের পাঁচটি কারখানা রয়েছে। নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া, কলকাতা ও শিলিগুড়িতে আমরা ভালোভাবে দাঁড়িয়েছি। ব্যাঙ্গালুরুতেও আমরা কারখানা করছি।
আমাদের পরিকল্পনা হলো ভারতের প্রতিটি প্রদেশে প্রাণের কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠান থাকবে।
এর বাইরে নেপালে আমাদের কন্ট্রাকচুয়াল কারখানা রয়েছে। এই বছর মিডল ইস্টের সৌদি আরবে আমরা কারখানা করার পরিকল্পনা করছি। নাইজেরিয়াতে একটি জুসের কারখানা করার পরিকল্পনাও আমরা করেছি।
দেশের বাইরে থেকেও পণ্য সোর্সিং করে তা বিপণনের কথা বলছিলেন। বিষয়টি কিভাবে হয়?
মানুষের চাহিদা এবং বিপণন ব্যবস্থা সব সময়ই পরিবর্তন হয়। ২০ বছর আগে আমরা কৃষককে বেনিফিটেড করার কথা ভেবেছি। এখন আমাদের স্বপ্ন হলো ফুড সিকিউরিটি নিশ্চিত করা।
এ জন্য শুধু দেশেই নয় অন্য যেসব দেশে কৃষি উৎপাদন বেশি সেখানেই কারখানা করতে চাই। যেখানে গমের উৎপাদন বেশি, রাইসের উৎপাদন বেশি সেখানে ওই ধরনের কারখানা গড়ে দেশের ফুড সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে চাই।
এই মূর্হুতে আপনাদের হাতে কি কি প্রজেক্ট রয়েছে?
আমাদের হাতে সব সময়ই অনেক সুন্দর সুন্দর প্রজেক্ট থাকে। আমরা সব সময়ই নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ভাবি। ঢাকার পাশেই একটি স্টার্চ কারখানার কাজ শুরু করেছি। এই স্টার্চ চিনির বিকল্প হিসাবে কাজে দেবে। চিপস এবং সুতার ক্যামিকেল হিসাবেও ব্যবহার হবে।
এছাড়া ময়দার কারখানা, ফিশ ও এনিমেল ফিড কারখানা করছি। লবণের কারখানা করার কথা ভাবছি। পরিবেশের সুরক্ষায় প্লাস্টিক রিসাইকেল করে ফেব্রিক্স বানানোর জন্য কারখানা করছি। কনফেকশনারীতেও আরো বিনিয়োগ করছি।
বাংলাদেশ থেকে কৃষি পণ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা স্ট্যান্ডার্ডের কথা বলেন ইউরোপ, আমেরিকার ক্রেতারা। চাইল্ড লেবার ও টেস্টিং ল্যাবের দুর্বলতার কথাও বলেন। আপনারা কিভাবে ফেইস করছেন সেদিকটা?
চাইল্ড লেবার নিয়ে তাদের অভিযোগের সঙ্গে আমি একমত নই। বাংলাদেশের শিশুরা এখন স্কুলে যাচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্ষেতের কাজে যান বা সহায়তা করেন এটিকে আমি চাইল্ড লেবার বলবো না।
আমরা উৎপাদনের ক্ষেত্রে কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট মার্কিং করে দেই। আমরা যদি কোথাও রাইস উৎপাদন করি তবে সেটার জন্য ভূমি নির্ধারণ করে দেই। ওখান থেকে যে পণ্য পাবো সেটাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই সে গ্যারান্টি দিয়ে পণ্য নিচ্ছি। লোকাল মার্কেটের জন্য যে পণ্যটা নিচ্ছি তা লোকাল হাট বাজার থেকেও নিচ্ছি।
ল্যাবের ক্ষেত্রে আমাদের এখনো কিছু স্বল্পতা রয়েছে। তবে আমরা যখন রপ্তানি শুরু করেছি এখন এটিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিজেরা বেসরকারিভাবে ল্যাব করছি। সেখানে ভালো মেধাবীদের নিয়োগও দিচ্ছি।
আপনারা বাংলাদেশের বাইরে কারখানা ও বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তুলছেন। সেখানে বাংলাদেশিদের এমপ্লয়েমেন্ট কেমন হচ্ছে?
আমরা যখন আগরতলায় প্রথম কারখানা করেছি তখন বাংলাদেশি মানুষদের নিয়েই শুরু করেছি। আমাদের আফ্রিকার কারখানায় বাংলাদেশিরাই কাজ করছে। সেখানে কারখানা স্থাপন, প্রোডাক্টশন এবং বিপণন সব ক্ষেত্রেই বাঙ্গালীরা কাজ করছে।
আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৮০ শতাংশই বাংলাদেশি। তবে রেগুলেশনের কারণে ভারতে স্থানীয়দের বেশি রাখতে হচ্ছে।
আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, প্রাণের কারণে আজ দেশের বাইরে বাঙালীরা শ্রমিক থেকে মেধাবী মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু জানতে চাই। লোকে বলে আপনি অনেক বেশি ট্রাভেলিংয়ে থাকেন। আসল কতদিন ট্রাভেল করেন আপনি?
আমি মাসে ১৫-২০ দিন ট্রাভেল করি। বাংলাদেশের মধ্যেও প্রচুর ট্রাভেল করি। নতুন নতুন মার্কেট এক্সপ্লোর করি। ব্যবসা আমার রক্তে মিশে আছে। ব্যবসাতে সময় দিতে আমার ভালো লাগে। এজন্যই ট্রাভেলিংয়ে থাকতে হয়।
আপনাকে নিয়ে কথা রয়েছে, বিদেশে গেলে আপনি মার্কেটে ঘুরে বেড়ান। কোনো পণ্য দেখলেই তার স্যাম্পল নিয়ে এসে দেশে এপ্লাই করেন…
বাংলাদেশের মানুষ সব সময় নতুন এবং ভালো প্রোডাক্ট চায়। এই মানুষদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মানকে আমরা আরো সুন্দর করতে চাই। ফলে পৃথিবীর প্রতন্ত অঞ্চল থেকে প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে দেশে আনি। আবার দেশীয় প্রোডাক্ট বিদেশে পৌছে দেই।
আমি বিদেশ যাওয়ার সময় ২-৩টি স্যুটকেস ভরে প্রাণের পণ্য নিয়ে যাই আবার ফেরার সময় বিদেশি পণ্য নিয়ে আসি। আমি নিজেকে একজন দূত মনে করি।
এতো ব্যস্ততার মধ্যে অবসর সময় কী করা হয়?
আমার অবসর সময় যতটুকুই হয় তাতে আমি এক্সারসাইজ করি। আমি সুযোগ পেলেই হাঁটি। আর আল্লাহকে ডাকি। তবে ব্যবসাই আমার একমাত্র অবসর।