হামলার শিকার কুবির বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতারা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রলীগ কমিটির তিন নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পাকিস্তানি মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন কুবির দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী। এদের মধ্যে এনায়েত ও সালমানকে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা জানার সাথে সাথে এখানে এসেছি এবং দ্রুত পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। এনায়েতকে যারা মেরেছে, তারা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না।'
এ বিষয়ে হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা সালমান চৌধুরী বলেন, 'আমি আল আমিন ভাইয়ের দোকানের সামনে আসছি, তখন আমাকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সেক্রেটারি বিপ্লব ডাক দিয়ে বলেন, "তুই বহিষ্কৃত, তোর ক্যাম্পাসে কী?" তখন অর্থনীতি ৮ম ব্যাচের কাওসার আমাকে ঘুষি মারেন এবং আল আমিন ভাইয়ের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে আমার গায়ে, হাতে ও পায়ে আঘাত করে। এরপর আরেকজন আমাকে ধাক্কা দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এনায়েত ভাইকে মাথায় আঘাত করার সময় আমার হাতে লেগে যায়।'
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, 'আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি এবং ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।'
এদিকে এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিচারের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন।