‘নীতি পুলিশ’ বাহিনী বিলুপ্ত করলো ইরান, আন্দোলনকারীদের বড় জয়
গত ১৬ সেপ্টেম্বর নীতি পুলিশের মারধরে নিহত হন ইরানি তরুণী মাসা আমিনি। এই মৃত্যুতে দেশটিতে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। দুই মাসের বেশি সময় আগে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ থামার কোনো লক্ষণ নেই। এই বাস্তবতায় বিতর্কিত 'নীতি পুলিশ' বাহিনী বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মন্তেজারি। খবর এএফপির
তাকে উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
ইরানের একটি সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ মারফৎ খবরটি প্রকাশ্যে এসেছে। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, ইরানের নীতি পুলিশ 'গস্ত-এ-এরশাদ'কে বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার জাফর মন্তেজারি বলেছিলেন, '(নীতি পুলিশের) বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্ট ও বিচার বিভাগ উভয়েই কাজ করছে'। তার একদিন পরেই শনিবার এক ধর্মীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, 'বিচার ব্যবস্থার সাথে নীতি পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে'।
'গস্ত-এ-এরশাদ' এর আক্ষরিক অর্থ 'পথপ্রদর্শক বাহিনী'। ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ২০০৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এসময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, 'শালীনতা ও হিজাবের সংস্কৃতি বিস্তার'- হবে এ বাহিনীর লক্ষ্য।
বাহিনীটি বিলুপ্তির ঘোষণা নিঃসন্দেহে ইরানি নারীদের রাজপথের আন্দোলনে প্রথম বড় জয়।