নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সাবেক মাওবাদী গেরিলা-প্রধান
গতমাসের নির্বাচনের ফলাফলে নেপালে তৈরি হয়েছে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের পরিস্থিতি। অর্থাৎ, কোনো দলই লাভ করেনি একক সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা। এই বাস্তবতায়, দেশটির প্রধান বিরোধী দলের সাথে জোট গড়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন সাবেক মাওবাদী গেরিলা নেতা পুষ্প কমল দহল। খবর রয়টার্সের
নেপালের সাবেক রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক দশকব্যাপী গেরিলা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন দহল। এজন্য তিনি 'প্রচণ্ড' নামেও পরিচিত দেশবাসীর কাছে। বিরোধী দল- কম্যুনিস্ট ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট অ্যান্ড লেনিনিস্ট পার্টি (ইউএমএল) এবং অন্য কয়েকটি ছোট দলকে সাথে নিয়ে- তিনি এই জোট সরকার গঠন করতে চলেছেন। নতুন সরকারে প্রথম আড়াই বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন তিনি।
এরপর ২০২৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন পুষ্প কমল দহল। তখন ইউএমএল দলের নির্বাচিত প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রে রয়টার্স জানিয়েছে।
নতুন জোটের বৈঠকের পর সাবেক এই গেরিলা নেতার দল– মাওইস্ট সেন্টার পার্টির মহাসচিব দেব গুরুং রয়টার্সকে জানান, 'আলোচনায় এবিষয়ে সম্মতি দিয়েছে সকলে। খুব শিগগিরই অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও পদ ভাগাভাগির বিষয়টি নির্ধারিত হবে'।
তিনি আরো জানান, খুব শিগগিরই নেপালের প্রধানমন্ত্রী বিদ্যা দেবি ভাণ্ডারীর কাছে গিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের দাবি জানাবেন প্রচণ্ড।
ইউএমএল এর মহাসচিব শঙ্কর পোখরেল বলেছেন, নির্বাচনের এক মাসাধিককাল পর নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে সরকার গঠনের পথ তৈরি হয়েছে।