‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি’, আদানি নিয়ে উত্তাল ভারতের সংসদ
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/02/03/adani.jpg)
আদানি ইস্যু নিয়ে শুক্রবারও উত্তাল হলো ভারতের সংসদ। পুরো ঘটনায় যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবিতে হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। তার জেরে আগামী সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভা মুলতুবি হয়ে যায়। তারইমধ্যে শুক্রবার আদানি ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের যে বৈঠক হয়, তাতে গরহাজির থাকল তৃণমূল কংগ্রেস।
বাজেট অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আদানি ইস্যু নিয়ে (আদানির বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ ও আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস) আলোচনার আর্জি জানান রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লির্কাজুন খাড়গে, কংগ্রেসের রাজ্যসভা সইদ নাসির হুসেন, শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীসহ বিরোধী দলের সাংসদরা। সেই পরিস্থিতিতে সংসদের দুই কক্ষে তুমুল হই-হট্টগোল শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে দুপুর দুটো পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছিল। অধিবেশন ফের শুরু হওয়ার পরও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। তার জেরে সোমবার পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। পরে রাজ্যসভাও মুলতুবি হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি বলেন, 'শতাব্দীর সবথেকে বড় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২৬৭ ধারার আওতায় নোটিশ দিয়েছিলাম আমরা। আমরা স্রেফ যৌথ সংসদীয় কমিটি বা (ভারতের) প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের আর্জি জানিয়েছি। যখন কোটি-কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, তখন ইডি এবং আয়কর দফতর কোথায় ছিল? সরকারের চোখের সামনে শতাব্দীর সবথেকে বড় দুর্নীতি হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্তের আর্জি জানাচ্ছি। আমরা বরাবর বলে আসছি যে শুধুমাত্র নিজের বন্ধুদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য সরকারি নীতি নেওয়া হচ্ছে।'
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়ালের পালটা বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'গতকালও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে আমরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের জন্য এসেছি। যখন আলোচনা হবে, তখন আমরা যা খুশি করতে পারেন। ওঁরা (বিরোধী সাংসদরা) হয়ত সংসদকে কাজ করতে দিতে চান না। আমরা ওঁদের কাছে সংসদকে কাজ করতে দেওয়ার জন্য আর্জি জানাচ্ছি।'