জন্মহার বাড়াতে ৩০ দিনের সবৈতনিক ‘বিয়ের ছুটি’ দেওয়া হচ্ছে চীনে
বিয়েতে জনগণকে উৎসাহী করে শিশু জন্মহার বাড়াতে, তরুণ নবদম্পতিদের ৩০ দিনের সবৈতনিক ছুটি দেওয়া হচ্ছে চীনের কয়েকটি প্রদেশে। মঙ্গলবার এতথ্য জানিয়েছে চীনের শাসকগোষ্ঠী- কম্যুনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলি হেলথ। খবর রয়টার্সের
চীনে বিয়ের জন্য ন্যূনতম ৩ দিনের সবৈতনিক ছুটি পাওয়া যায়, তবে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষগুলো চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আরো উদারভাবে ছুটিছাটা দিতে পারছে। যেমন উত্তরপশ্চিমের গাংসু প্রদেশ এবং কয়লা-উৎপাদক সাংশি প্রদেশ এখন ৩০ দিনের বৈবাহিক ছুটি দিচ্ছে। সাংহাই দিচ্ছে ১০ দিনের, অন্যদিকে সিচুয়ানে মাত্র তিনদিনেরই দেওয়া হচ্ছে।
চীনের সাউথওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের সামাজিক উন্নয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিন ইয়াং হাইয়াংকে উদ্ধৃত করে পিপলস ডেইলি হেলথ জানায়, 'জন্মহার বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায় হলো বৈবাহিক ছুটি বৃদ্ধি। তবে যেসব প্রদেশ ও শহরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি মন্থর তারাই ছুটি বাড়িয়েছে'। এক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ কর্মী সংখ্যা ও (ছুটিকালীন) ভোগ বৃদ্ধির একটা তাগাদা কাজ করছে বলে মনে করেন তিনি।
ইয়াং জানান, এর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন নীতি সহায়তার আশু দরকার রয়েছে। যেমন আবাসনে ভর্তুকি, পুরুষদের জন্যও পিতৃত্বকালীন ছুটি ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত; গত বছর চীনে ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো শিশু জন্মহারের পতন হয়। দেশটির সরকারি তথ্যমতে, এই ঘটনা দীর্ঘমেয়াদে জনসংখ্যা হ্রাসের সূচক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর দেশটিতে প্রতি এক হাজার জনপ্রতি মাত্র ৬.৭৭ শিশু জন্ম দেওয়ার সর্বনিম্ন হার রেকর্ড করা হয়।
এই পতনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে, ১৯৮০'র দশক থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বলবৎ 'এক সন্তান' নীতি এবং শিক্ষা খরচ বৃদ্ধি। একারণে অধিকাংশ চীনা দম্পতি হয় একটি সন্তান নিয়েছেন, অনেকে আবার একটিও নেননি।