ন্যাটোর ৩১তম সদস্য ফিনল্যান্ড, আর কোন কোন দেশ এ জোটের অন্তর্ভুক্ত?
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে নর্ডিক দেশ ফিনল্যান্ড। ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদরদপ্তরে এখন অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পতাকার পাশাপাশি ফিনল্যান্ডের পতাকাও শোভা পাচ্ছে। খবর রয়টার্স-এর।
ফিনল্যান্ড যোগ দেওয়ার ফলে রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সীমান্ত প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার ফিনিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেকা হাভিস্তো ন্যাটোর সদরদপ্তরে মার্কিন সেক্রেটারি অভ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে ৩১তম দেশ হিসেবে ন্যাটোর সদস্যপদপ্রাপ্তি সম্পন্ন করেন।
গত বছর রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর নর্ডিক দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন একসঙ্গে ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করে।
তবে তুরস্ক ও হাঙ্গেরির আপত্তি থাকায় সুইডেন এখনো ন্যাটোতে যোগ দিতে পারেনি। ন্যাশনাল নিউজ-এর বরাতে জেনে নেওয়া যাক ন্যাটোর বাকি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নাম।
১৯৪৯ সালে ন্যাটো গঠিত হওয়ার সময় প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।
এরপর পঞ্চাশের দশকে যোগ দেয় তিনটি দেশ — ১৯৫২ সালে গ্রিস ও তুরস্ক এবং ১৯৫৫ সালে জার্মানি।
এর দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পরে ১৯৮২ সালে স্পেন ন্যাটোর সদস্য হয়। তারপর ১৯৯৯ সালে চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি এবং পোল্যান্ড ন্যাটোর সদস্যপদ পায়।
২০০৪ সালে অনেকগুলো দেশ ন্যাটোভুক্ত হয়। এ দেশগুলো হচ্ছে বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়া।
আলবেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া ন্যাটোতে যোগ দেয় ২০০৯ সালে।
এরপর ২০১৭ সালে মন্টিনিগ্রো এবং ২০২০ সালে নর্থ মেসিডোনিয়া ন্যাটো সদস্যপদ লাভ করে। সর্বশেষ মঙ্গলবার ন্যটোর নবতন সদস্য হলো ফিনল্যান্ড।
এরপর সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে দেশটির সদস্য হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক ও হাঙ্গেরি।
ইউক্রেনকে ন্যাটোর 'সহযোগী দেশ' হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, কিন্তু দেশটি এখনো ন্যাটোর সম্পূর্ণ সদস্য নয়। ভবিষ্যতে হয়তো ন্যাটোতে যোগ দেবে রুশ আগ্রাসনের শিকার দেশটি।
২০০৮ সালে রাশিয়ার আক্রমণের মুখে পড়া জর্জিয়াও ন্যাটোর সহযোগী দেশ। দেশটি দীর্ঘসময় ধরে ন্যাটোর পূর্ণ সদস্যপদ পেতে চাইছে।
ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড নিরপেক্ষ থাকার সাংবিধানিক অঙ্গীকারের কারণে ন্যাটোর সদস্য হয়নি।
এছাড়া বলকান অঞ্চলের কসোভো, সার্বিয়া এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাও ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত নয়।