সুদান থেকে বাংলাদেশিসহ আরও ১৮৭ জনকে সরিয়ে এনেছে সৌদি আরব
সৌদি আরবের উদ্ধার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে বাংলাদেশিসহ ১৮৭ জনকে উদ্ধার করে জেদ্দায় নিয়ে আসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে একটি জাহাজে করে তারা জেদ্দায় এসে পৌঁছান।
বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। তবে উদ্ধারকৃতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সৌদি গ্যাজেট সূত্রে জানা যায়, বুধবার পর্যন্ত সুদান থেকে ৬৭টি দেশের ২৩৫১ জন নাগরিককে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সৌদি নাগরিক ছিলেন ১১৯ জন।
এদিকে সুদানে বাংলাদেশ মিশনের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স তারেক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সুদানে আটকে পড়া ৬০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরার আবেদন করেছেন। সবাইকে একসঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, সুদান থেকে প্রাথমিকভাবে ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার দিন ঠিক করা হয়। তবে সুদান থেকে জেদ্দায় যাওয়ার জাহাজের শিডিউল কনফার্ম হয়নি, তাই দুয়েকদিন পেছাতে পারে।
সুদানে চলমান সংঘাতে কোনো বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "সংঘাতের কারণে কোনো বাংলাদেশি হতাহত হয়নি। তবে বুধবার (২৬ এপ্রিল) একটি ফ্যাক্টরিতে কয়েকজন বাংলাদেশি শ্রমিকের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।"
দূতাবাসে কেউ আশ্রয় নিয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "দূতাবাসে কেউ আশ্রয় নেয়নি। সেখানে আমরাই থাকতে পারিনি।"
এর আগে বুধবার বাংলাদেশ মিশনের প্রধান বলেন, তারা সুদানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে তিনি বলেন, "যদিও কিছুই চূড়ান্ত নয়, তবে আমরা আশা করছি এই মাসের মধ্যে বা আগামী মাসের শুরুতেই এই কাজ সম্পন্ন হবে। এখনই ফিরে আসতে আগ্রহী প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করছি আমরা।"
এর আগে সুদানের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের সুদান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খার্তুম বিমানবন্দরসহ সুদানের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত অব্যাহত থাকায় এই মুহূর্তে সুদানে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নিরাপদ নয়।
একটি বেসরকারী হিসাব অনুযায়ী, সুদানে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশি বাস করেন।