এক ঘন্টার মধ্যে ইমরানকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/05/11/screenshot.png)
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে এক ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থা- ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব)-কে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। খবর দ্য ডনের
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ইমরান। এনিয়ে শুনানির পর আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার ও বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ'র সমন্বিত সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
প্রধান বিচারপতি বলেছেন, 'এবিষয়ে আদালত আজ একটি যথাযথ রায় দেবে'। আদালত বিষয়টিকে 'ব্যাপক গুরুত্ব-সহকারে দেখছে' বলেও জানান তিনি।
এদিন ইমরানের আইনি উপদেষ্টা হামিদ খান এজলাসে হাজির হয়ে আদালতকে জানান, গ্রেপ্তার-পরবর্তী জামিনের জন্য তার মক্কেল ইসলামাবাদ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, 'আটককারী আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা ইমরানের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে'। এসময় ইমরান বায়োমেট্রিক তথ্য দিচ্ছিলেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল তাকে জানান, আদালতের রেকর্ডে এবিষয়ে শুনানির জন্য কোনো তারিখ ধার্য করা নেই। জবাবে ইমরানের আইনজীবী বলেন, বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় আদালতে নিয়মমাফিক আপিল করা যায়নি।
একথার প্রেক্ষিতে বিচারপতি মিনাল্লাহ তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ইমরান খান আদালতের চত্বরে প্রবেশ করেছিলেন। গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল বলেন, আগে আদালতের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সম্ভ্রম ছিল। তিনি অতীতের একটি ঘটনার উদাহরণও দেন। তখন সুপ্রিম কোর্টের পার্কিং লট থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল ন্যাব। কিন্তু, আদালত সেই গ্রেপ্তারকে বাতিল করে দেন।
প্রধান বিচারপতি ইমরানের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কতজন রেঞ্জার্স সদস্য ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে এসেছিল। জবাবে আইনজীবী জানান, 'প্রায় ১০০ জন সদস্য আদালত চত্বরে প্রবেশ করে'।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, '৯০ জন যদি আদালত চত্বরে প্রবেশ করে, তাহলে আদালতের কি মর্যাদা অবশিষ্ট থাকে? কীভাবে কাউকে আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা যায়?
'অতীতে আদালতের ভেতরে ভাংচুরের জন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কেউ যদি আদালতে আত্মসমর্পণ করে, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করার অর্থ কী দাঁড়ায়'?
ইমরানের আইনজীবী বলেন, ন্যাব আদালত অবমাননা করেছে। কারণ আটকের আগে তাদের আদালতের রেজিস্ট্রারার এর থেকে অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। গ্রেপ্তারকালে আদালতের কর্মীদেরও নির্যাতন করা হয়েছে।
আদালতে আসার সময় সকল ব্যক্তির নিরাপদ বোধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইমরান খানকে অবিলম্বে ন্যাবের হেফাজত থেকে মুক্তি দানের আবেদন করে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতি ছাড়াই পিটিআই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একথার প্রেক্ষিতে বান্দিয়াল বলেন, যেভাবে আটক করা হয়েছে তাতে আদালত অবমাননা হয়েছে কিনা –বর্তমানে সেবিষয়টিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।