পশ্চিম তীরে দুই দশকের মধ্যে ইসরায়েলের বৃহত্তম সামরিক অভিযান, নিহত অন্তত ৮
পশ্চিম তীরে দুই দশকের মধ্যে বৃহত্তম সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে জেনিন শহরে ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া, শত শত ইসরায়েলি সেনার সাথে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বন্দুকযুদ্ধও চলছে।
জেনিনের আকাশে ড্রোন বিমানের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে স্পষ্ট। ড্রোন থেকে হামলার চালানোর পরও শহরজুড়ে গুলি বিনিময় ও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে। জেনিনে রয়েছে উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের একটি শরণার্থী শিবির। এই শিবিরের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের গ্রুপগুলোর জোট – জেনিন ব্রিগ্রেডস ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। ইতোমধ্যে একটি ড্রোন বিমান ভূপাতিত করার দাবিও করেছে তারা।
আজ থেকে দুই দশক আগে দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থান বা ইন্তিফাদা হয় ফিলিস্তিনে, তারপর এই প্রথম পশ্চিম তীরে এত বড় পরিসরে সামরিক অভিযান শুরু করলো ইসরায়েল।
সোমবার (৩ জুলাই) সকালের দিকেই অন্তত ছয়টি ড্রোনকে জেনিন শহর ও নিকটবর্তী শরণার্থী শিবিরের উপর চক্কর দিতে দেখা যায়। প্রায় ১৪ হাজার ফিলিস্তিনি আধা বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই ক্যাম্পে গাদাগাদি করে বসবাস করে।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে জেনিন শরণার্থী শিবির। এনিয়ে আগেও উদ্বেগ দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র ও আরব বিশ্বে। তবে সংলাপের মাধ্যমে উত্তেজনা নিরসনের প্রচেষ্টা তারা করেনি।
এই অবস্থায়, গত এক বছর ধরে জেনিনের মতো পশ্চিম তীরের কিছু শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলা নিত্যদিনের রুটিন ঘটনায় রূপ নেয়। পাল্টা প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলিদের ওপর হামলা করেছে। আবার ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোর ওপর হামলা করেছে ইহুদি বসতিস্থাপনকারীরা।
সংঘাতের এই পেক্ষাপটেই পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক সেনাবাহিনী ও সমরসজ্জা নিয়ে সাম্প্রতিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালক খালেদ আলহামেদ রয়টার্সকে জানান, "জেনিন শিবিরে যা হচ্ছে, তা হলো আসল যুদ্ধ। ক্যাম্প লক্ষ্য করে আকাশ থেকে হামলা চালানো হচ্ছে। প্রতিবার আমরা পাঁচ থেকে সাতটি আম্বুলেন্স নিয়ে সেখানে যাচ্ছি, আর গাড়িভর্তি আহতদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটছি।"