দুর্নীতির দায়ে সেনা নিয়োগে জড়িত সব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন জেলেনস্কি
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত সব কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে এসব কর্মকর্তাদের বরখাস্তের ঘোষণা দেন তিনি।
যুদ্ধকালীন সরবরাহ সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত এক কেলেঙ্কারিতে চলতি বছরের শুরুতেই ইউক্রেনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। প্রায় একই সময়ে গণমাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভায়াচেস্লাভ শাপোভালভও পদত্যাগ করেন।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি সর্বশেষ বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, "আমি মাত্রই জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের একটি বৈঠক সম্পন্ন করেছি।"
"বৈঠকের একটি মূল বিষয় ছিল সামরিক নিবন্ধন (নতুন সেনা নিয়োগ) এবং এর তালিকাভুক্ত অফিসগুলো পরিদর্শনের ফলাফল নিয়ে।"
সামরিক নিবন্ধনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ১১২টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জেলেনস্কি আরও বলেন, অভিযোগগুলোর মধ্যে ঘুষ গ্রহণ, অবৈধভাবে প্রাপ্ত অর্থ বৈধকরণ, বেআইনি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ, সীমান্তের ওপারে সামরিক পরিষেবা দেওয়া ব্যক্তিদেরকে অবৈধ পরিবহন সুবিধা প্রদান ইত্যাদি বিষয় রয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই সমস্ত আঞ্চলিক সামরিক কমিশনারদের বরখাস্তের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়।
জেলেনস্কি বলেন, নিয়োগ ব্যবস্থা এমন লোকদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত যারা যুদ্ধের অর্থ জানেন এবং যুদ্ধের সময় ঘুষ আদান-প্রদান কেন রাষ্ট্রদ্রোহিতা, তা বোঝার ক্ষমতা রাখেন।
তিনি আরও জানান, "যে সব সেনারা ফ্রন্টলাইনে কাজ করেছেন, যুদ্ধে যাদের শারীরিক ক্ষতি হয়েছে, যারা অঙ্গ হারিয়েছে, কিন্তু এসবের পরেও নিজেদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখেছেন... তাদেরকে এই নিয়োগ ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।"
এছাড়া, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।