গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা; খাবার, জ্বালানি কিছুই ঢুকতে দেবে না ইসরায়েল
গাজা উপত্যকায় 'সর্বাত্মক অবরোধের' ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, খাদ্য ও জ্বালানিতে নিষেধাজ্ঞাসহ গাজা সর্বাত্মক অবরোধের আওতায় থাকবে। গাজায় খাদ্য ও জ্বালানি ঢুকতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, 'আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাস—সেখানে সবকিছুই বন্ধ থাকবে। আমরা মানবপশুদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।'
গাজা উপত্যকায় এখন আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে অবরোধ জারি রয়েছে। ২০০৭ সালে এ অবরোধ আরোপ করা হয়।
মিসর ও ইসরায়েল ইতিমধ্যে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে নানা মাত্রার অবরোধ আরোপ করেছে। ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে এসব অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।
২.২ মিলিয়ন জনসংখ্যার গাজা গত ১৫ বছর ধরে ইসরায়েলের হাতে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে অবরুদ্ধ হয়ে আছে।
গাজায় বেকারত্বের হার ৪৫ শতাংশের বেশি। ইউনিসেফের তথ্যানুসারে, গাজায় সরবরাহ করা ৯৬ শতাংশ পানিই পানের অযোগ্য।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে গাজার অধিবাসীরা মাত্র ১৩ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ পেয়েছে।
২০০১ সালে ইসরায়েলের বোমা বর্ষণে ইয়াসির আরাফাত বিমানবন্দর ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর গাজায় কোনো বিমানবন্দরও চালু নেই।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। কয়েক হাজার রকেট হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। ওই হামলায় ইসরায়েলের ৭০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
এর জবাবে গাজায় বিমানহামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।