দ্য গেস্ট: ইসরায়েল আক্রমণের পেছনে কে এই ফিলিস্তিনি মাস্টারমাইন্ড
মোহাম্মদ দেইফ নিজ গুণে ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধের প্রকৃতি বদলে দিয়েছেন। যুদ্ধজয়ের লক্ষ্যে গেরিলা রণকৌশলকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়। ইসরায়েলভক্ত পশ্চিমি সংবাদ মাধ্যমের ভাষায়, যুদ্ধজয়ে 'সন্ত্রাস'কে প্রয়োগ করছেন নতুন আঙ্গিকে। এ নিয়ে ফিনান্সিয়াল টাইমসে 'হু ইজ দ্য 'গেস্ট: দ্যা প্যালিস্টাইনিয়ান মাস্টারমাইন্ড বিহাইন্ড ডেডলি ইসরায়েল ইসকারসিওন' নিবন্ধ লিখেছেন দৈনিকটির সাইবার নিরাপত্তা সাংবাদিক মেহুল শ্রীবাস্তবা। এর আগে তিনি বিদেশ সংবাদদাতা হিসেবে ইস্তাম্বুল এবং জেরুজালেমেও দায়িত্ব পালন করেন।
ভিডিও বার্তায় শোনা গেল তার কণ্ঠস্বর। মোহাম্মদ দেইফ বলছেন, ফিলিস্তিনি মানুষের বিরুদ্ধে অব্যাহত অপরাধ তৎপরতা প্রেক্ষাপটে, অব্যাহত ভাবে আন্তর্জাতিক আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে জঘন্য দখলদারিত্ব বজায় রাখার আলোকে, দখলদারদের প্রতি আমেরিকা ও পশ্চিমিদের অব্যাহত মদদের ঘটনাবলীতে, আমরা এ সব অমানবিক তৎপরতা ইতি ঘটানোর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। দখলদাররা যেন বুঝতে পারে জবাবদিহি ছাড়া তারা আর হীন তৎপরতা অব্যাহত রাখতে পারবে না। ভিডিও আলোছায়া পরিপূর্ণ। দেইফের কণ্ঠস্বর শান্ত, সমাহিত। বেছে বেছে শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে। বার্তার মধ্য দিয়ে ভয়াবহ তথ্য দেওয়া হয়েছে। বার্তা শুনে যে কেউ কেঁপে উঠবে।
৭ অক্টোবর ২০২৩। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে প্রায় জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে নজিরবিহীন হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরের কথা। ভিডিও বার্তায় শোনা গেল এমন কণ্ঠস্বর। বার্তাটি দিয়েছেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ।
হঠাৎ এমন ব্যাপক হামলায় হতভম্ব হয়ে গেছে গোটা ইসরায়েল। রণকৌশলের প্রধান উপাদান দুশমনকে ভড়কে দেওয়া, সে কাজটি নিপুণ ভাবে করেছে হামাস। ইসরায়েলের চৌকস সেনা বাহিনী, ধুরন্ধর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা ব্যাপক ভাবে বিশ্বের কাছে উন্মোচিত হয়ে যায়। বেমক্কা অবস্থায় বিশ্বের কাছে প্যান্ট খোলা অবস্থায় যেন ধরা পড়ল তেল আবিব। লজ্জা ঢাকার জন্য রইল না জলপাই পাতাও!
এ অভিযানের মধ্য দিয়ে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কয়েক দশকের ফিলিস্তিনি লড়াইকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন দেইফ।
তার এ বার্তা প্রকাশের মুহূর্তেই শত শত জানবাজ হামাস যোদ্ধা গাজায় পেতে রাখা ইসরায়েলের ভয়াবহ কাঁটাতারের বেড়া এবং প্রতিবন্ধকতা গুঁড়িয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় ইসরায়েলে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে হাজার হাজার রকেট ছুঁড়ে ইসরায়েলকে দৃষ্টি সরিয়ে রাখে। এ সব রকেট হামাস যোদ্ধাদের জন্য আচ্ছাদনের কাজটি করেছে।
নজিরহীন প্রথম হামলা চালিয়েই ব্যাপক সংখ্যক ইসরায়েলিকে বন্দী করতে পেরেছে হামাস। সামরিক-বেসামরিক, নারী-পুরুষ মিলিয়ে এ সংখ্যা হবে কমসে কম একশ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা দেখেছি প্যারাগ্লাইডিং করে হামাস ছত্রীসেনারা নামছে দখলীকৃত ভূমি ইসরায়েলে। এ ভাবে কমান্ডো নামানোর নজির চলচ্চিত্রে থাকতে পারে। আধুনিক রণ-কৌশলে সমৃদ্ধ কোনও দেশ হয়ত তা প্রয়োগ করেনি।
আরবি ভাষায় 'দেইফ' মানে 'অতিথি।' হামাস কমান্ডার কী ভাবে এ ডাক নামে পরিচিত হলেন? হ্যাঁ ইসরায়েলি গুপ্তঘাতকদের চোখে ধুলা দেওয়ার জন্য হামাস বা অন্যান্য ফিলিস্তিনি গেরিলা গোষ্ঠীর নেতারা কখনোই এক জায়গায় রাত কাটান না। তারা চুপিসারে, সবার অগোচরে রাতের অতিথি হয়ে যান ঘনিষ্ঠজনদের বাসায়। এমন তৎপরতার মধ্য দিয়ে 'অতিথি' নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন মোহাম্মদ দেইফ।
কয়েক দশক ধরে তাকে 'শিকার' করার চেষ্টার কসুর করেনি ইসরায়েলের ঘাগু গোয়েন্দা ও গুপ্তঘাতকের দল। ২০ বছর আগে এক বোমা হামলায় প্রায় প্রাণ হারানোর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। ইসরায়েলি এ হামলায় হারান তিনি একটি বাহু একটি পা। এরপর তার বাহন হয় হুইল চেয়ার। ইসরায়েলি হত্যা বা গ্রেফতার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করেই দেননি বারবার। বরং ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা চালানোর ক্ষেত্রেও পরিচয় দেন দক্ষতার। পশ্চিমি মাধ্যমের ভাষায়, সামরিক ও বেসামরিক উভয় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতার মধ্য দিয়ে হয়ে ওঠেন ফিলিস্তিন যোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভাজন।
৭ নভেম্বর হঠাৎ অভিযান চালিয়ে গোটা ইসরায়েলি বাহিনীকেই ভড়কে দেন। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ গোষ্ঠীর তৎপরতাকে ম্লান করে দেন। আর ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের শিখর তার কাছে ধরা দেয়।
আল কুদস তুফান নামের এবারের অভিযানের অনেক আগে থেকেই হামাস ও ফিলিস্তিনিরা তাকে গণ্য করতেন শুদ্ধ এবং শ্রদ্ধাভাজন হিসেবে। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মাখইমার আবসাদা এ কথা জানান। আল কুদস তুফান 'অতিথি'কে ফিলিস্তিনি তরুণদের কাছে প্রবাদের নায়কের স্বর্ণ-সিংহাসনে বসিয়ে দেবে।
এ অভিযানের উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা বলতে যেয়ে পশ্চিমি গণমাধ্যম আঞ্চলিক এক কূটনীতিকের বরাতে বলছে, ব্যাপক সংখ্যক ইসরায়েলি বন্দী আটক করতে পেরেছে হামাস। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে একজন মাত্র ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্ত করতে তেল আবিবকে এক হাজারের বেশ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিতে হয়েছিল। ঠেলার নাম কতো বড়ো বাবাজি হয়ে দেখা দেবে এবারে তা দেখার পালা।
কূটনীতিবিদ বলেন, ইসরায়েলি বন্দীদের আটক রাখায় তেল আবিবে কি ঘটবে তা হামাসের ভালো করেই জানা আছে। এ ক্ষেত্র শুধু সবুর করতে হয়। সময় যাওয়ার সাথে ইসরায়েলের মানুষ তেল আবিবের ওপর অসহনীয় চাপ বাড়াতে থাকবে। হামাসকে খালি সবুর করতে হবে।
ফিলিস্তিন বিশ্লেষকসহ যে সব মানুষ দেইফকে চেনেন তারা বলেন, খুবই শান্ত প্রকৃতির মানুষ দেইফ। নিজের কাজের প্রতি পুরো মনোযোগ নিবন্ধ রেখেছেন। ফিলিস্তিনিদের ভেতর দলাদলিতে তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। বরং ইসরায়েলি ও আরবদের মধ্যকার সম্পর্কের প্রকৃতি বদলে পণ করেছেন। শক্তি প্রয়োগ ছাড়া এমন কাজ করা যাবে না। তাও ভালো ভাবেই জানেন তিনি।
২০০০'এ দেইফের সাথে সাক্ষাৎ করেন ফিলিস্তিনি সাবেক এক যোদ্ধা যিনি পরবর্তীতে মধ্য পর্যায়ের রাজনীতিবিদ হয়েছিলেন। তাকে দেইফ বলেন, ইসরায়েলিদের সাথে ইসরায়েলের ভেতর থেকে লড়াই করতে হবে। অধিকৃত ভূমিতে তারা নিরাপদ বলে গাল-গপ্প গড়ে তোলা হয়েছে তা চুরমার করে দিতে হবে।
ইসরায়েলয়ের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের লক্ষ্যে দ্বিতীয় যুদ্ধের সূচনা করার চেষ্টা করছেন দেইফ। ইসরায়েলি রিজার্ভ বাহিনীর কর্নেল এবং গাজার ওপর নজরদারির সাবেক দায়িত্ব পালনকারী আরো বলেন, দেইফের প্রধান লক্ষ্য ধাপে ধাপে ইসরায়েলকে ধ্বংস করা। ৭ তারিখের হামলার মাধ্যমে প্রথম পদক্ষেপের- সূচনা মাত্র।
লোকশ্রুতি, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাথেই পাল্লা দিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে পারঙ্গম দেইফ। দেইফের দক্ষতার উদাহরণ হিসেবে ২০২১ এর ১১ দিনের যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করা হয়। এ যুদ্ধে নিচু প্রযুক্তির রকেট ছুঁড়ে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নাকাল করে ফেলা হয়েছিল। যুদ্ধ বিরতির আগে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গোলাবারুদের ভাণ্ডার প্রায় শূন্য হওয়ার দশায় ঠেকেছিল।
১৯৯০ এর দশকে সই করা অসলো চুক্তি সই হয়। এ চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা বলেই মনে করেন দেইফ। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের বদলে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার কসরত চালু করা হয়।
দেইফ এককালে বোমা বানাতের। এ ছাড়া, গাজায় ফিলিস্তিনিদের গোপন সুড়ঙ্গ-জাল বিস্তারের এক দশকের যে কর্মসূচি চলছে তার মূল পরিকল্পনাকারীও তিনি। ১৯৬০'এর দশকে খান ইউনুসের মুহাজির শিবিরে তার জন্ম হয়। দেইফের নিরাপত্তা নথি দেখেছেন এমন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা এ তথ্য দেন। তিনি আরো জানান, সে সময় তার নাম রাখা হয়েছিল মুহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরি।
গাজা সে সময় মিশরের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শেইন বেতে রক্ষিত নথির বরাত দিয়ে এই ইসরায়েলি কর্তা আরো বলেন, ৭ তারিখ শনিবার দেইফের নেতৃত্বাধীন হামাস যোদ্ধারা গোপনে ঢুকে অভিযান চালান। ১৯৫০'এ দশকে একই ভূখণ্ডে চালানো হামলায় অংশ নেন দেইফের বাবা বা চাচা।
দেইফকে ঘিরে আছে রহস্যময় পরিমণ্ডলে। তার নামকে ঘিরে রয়েছে রহস্য। ১৯৮০'এর দশকে তার সাথে যাদের সাক্ষাৎ হয়েছে তাদের অনেকেই বলেন তখন থেকেই তিনি দেইফ নামে পরিচিত। কেউ কেউ বলেন, তাকে চিনতেন তারা আসল নামেই । দেইফের অনেকটা ঝাপসা একটা ছবি ছাড়া আর কোনও ছবিও খুঁজে পাওয়া যায় না।
দেইফ নিজে নাটক পাগল। গাজার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে অভিনয় দলে যুক্ত হন। নাটক নিয়ে তার আগ্রহ এতে আরো বেড়ে যায়। গাজার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় তখন খুব তৎপর ছিল মিশরের ইখওয়ানুল মুসলেমিন বা মুসলিম ব্রাদার হুড। ১৯৮০'এর দশকের শেষ দিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রথম ইনতিফতা গণ জাগরণের পথ ধরে হাসাস সৃষ্টি হয়। দেইফের বয়স তখন ২০ এর কাছাকাছি।
সে সময়ে কারাগারে যেতে হয় দেইফকে। বর্তমানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর অন্যতম সদস্য গাজি হামাদের সাথে একই কারাকক্ষে ছিলেন তিনি।
হামাদ বলেন, হামাসের সাথে জড়িত হওয়ার পর থেকেই সামরিক তৎপরতার দিকে ঝুঁকে পড়েন দেইফ। তাকে খুবই দয়ালু মনের অধিকারী উল্লেখ করে হামাদ আরো বলেন, দেশপ্রেমিক এ তরুণটি ছোট ছোট কার্টুন সৃষ্টি করে আমাদের হাসাতেন।
দয়ালু হৃদয়ের এ তরুণকেই ইসরায়েল দায়ী করে আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য। অসলো চুক্তিকে তছনছ করে দেওয়ার লক্ষ্যে এ সব বোমা হামলা হয়েছিল। হামলায় কয়েক ডজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া, ১৯৯৬'এর দিকেও বোমা হামলায় যে ঢেউ বয়ে যায় ইসরায়েলে তার পেছনের মানুষটি দেইফ। এ হামলায় ইসরায়েলি ৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছিল।
বলা হয়, 'প্রকৌশলী হিসেবে পরিচিত ইয়াহিয়া আইয়াশ নামের এক বোমা নির্মাণকারীর কাছে বোমা তৈরির নিয়ে অধ্যয়ন করেছেন দেইফ। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে বিস্ফোরক ভরা মোবাইল ফোন দিয়ে আইয়াশকে গুপ্তহত্যা করে ইসরায়েল।
হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম বিগ্রেডে উঁচু পদে যোগ দেন দেইফ। ফিলিস্তিনিরা প্রথম যে সব সাধারণ মানের রকেট তৈরি করেছে তার সাথে জড়িত ছিলেন দেইফ। হামাসের অস্ত্র ভাণ্ডারে এখন লাখো রকেট রয়েছে। আল কুদস তুফান অভিযানে সূচনায় সাড়ে তিন হাজার রকেট ছোঁড়া হয়।
ইসরায়েলি কর্তাদের দাবি, অধিকৃত ভূমিতে ইসরায়েলিদের বসতি এবং সেনা অবস্থান, জেরুজালেম-তেলআবিব গামী বাসের মতো লক্ষ্যবস্তু হামলাই দেইফের লক্ষ্য। এ সব হামলার প্রভাব অনেকদূর পর্যন্ত বর্তায়। ইসরায়েল বোমার আশ্রয় কেন্দ্র লক্ষ্য করে মাঝে মাঝেই যে সব রকেট হামলা হয় তার দেখাশোনার কাজটিও করেন দেইফ।
তহবিল এবং গাজার মানুষদের অধিকহারে কাজে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার বিনিময়ে লড়াই বন্ধ রাখার একটা নীতি হামাসের ভেতর আছে। দেইফ মোটেও তা পছন্দ করেন না। এ নীতির কারণে যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে কথা প্রচলিত আছে। কিন্তু তারপরও ২০০৯, ২০১১ এবং ২০২১'এ লড়াই হয়েছে। প্রতিবারই বিজয়ের দাবি করেছে হামাস।
ইসরায়েলি সেই কর্মকর্তা বলেন, ৭ অক্টোবরের হামলার মধ্য দিয়ে সেই নীতি চিরকালের জন্যে খতম। আর কোনো যুদ্ধ বিরতি নয়। এখন তেলআবিবের প্রতিশোধ নেওয়ার পালা।
দেইফও ঠিক এই চেয়েছেন।
সূত্র: এফটি, রয়টার্স