ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়: জর্ডানের বাদশা
জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে আগেও শান্তি বজায় রাখা সম্ভব ছিল না। আর সর্বশেষ ঘটনা দেখায় যে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলের দখল করা ভূমিতে সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া এই অঞ্চল 'স্থিতিশীলতা ও শান্তি' নিশ্চিত করতে পারবে না।
পার্লামেন্টের নতুন সেশন শুরুর আগে একটি ভাষণে এই শাসক আরো বলেন, দুটি পৃথক রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান।
আন্তর্জাতিকভাবে ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টায় সব সময় পৃথক রাষ্ট্রের বিষয়টি সামনে এসেছে। বারবার সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং সর্বশেষ হামলার আগেও এই সম্ভাবনা ক্ষিণ হতে থাকে।
সর্বশেষ সংঘর্ষের শুরু থেকেই জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহ রক্তপাত বন্ধে পশ্চিমা দেশ এবং আঞ্চলিক নেতাদের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছেন।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কলও করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জর্ডানের রাজধানী আম্মান আসলে তার কাছেও বাদশার উদ্বেগের কথা জানানো হবে।
সূচি অনুযায়ী, বুধবার ব্লিনকেন প্রথমে ইসরায়েল যাবেন, সেখান থেকে যাবেন জর্ডান।
পশ্চিম তীরের সাথে জর্ডানের সীমান্ত আছে এবং দেশটির বড় সংখ্যক মানুষই ফিলিস্তিনি।
আব্দুল্লাহ বলেন, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হওয়া উচিত ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধপূর্ব সীমানা অনুযায়ী। যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। আর এর মাধ্যমেই হত্যার চক্র শেষ হবে, যার চূড়ান্ত শিকার হচ্ছে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকরা।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে জর্ডান ইসরায়েলের কাছে পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর হারায়। ইসরায়েলের সাথে জর্ডানের শান্তি চুক্তি অনেক নাগরিকের মধ্যে ক্রোধের জন্ম দেয়, যারা স্বাভাবিককরণকে তাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের অধিকার বিক্রি করা হিসাবে দেখেন।
মঙ্গলবারও আম্মানের সড়কে জড়ো হয়ে মানুষজন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী হামাসের সমর্থনে স্লোগান দেয় এবং সরকারের কাছে আম্মানে ইসরায়েলি দূতাবাস বন্ধ করে শান্তি চুক্তি বাতিলের দাবি জানায়।