গাজার মানবিক বিপর্যয়: জ্বালানির অভাবে হাসপাতালের বিভাগগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ
চিকিৎসার মৌলিক সরঞ্জামের প্রচণ্ড অভাব। এমনকি নেই ব্যথানাশক ওষুধ, যথেষ্ট পরিমাণ ব্যান্ডেজ। অথচ ইসরায়েলের বর্বর হামলায় প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে আহত, নিহতের সংখ্যা। গাজার চিকিৎসকরা এরমধ্যে আসুরিক এক লড়াই করছেন জীবন বাঁচানোর। কিন্তু, সবকিছুই তো তাদের বিপক্ষে। ইসরায়েল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নও করেছে।
সীমিত জ্বালানির মজুত দিয়ে কোনোরকমে এতদিন চালানো হয়েছিল হাসপাতালের জরুরি বিভিন্ন বিভাগ। এখন সে উপায়ও না থাকায় বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালের বিভাগগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
গাজায় মানবেতর পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই ছিল ইসরায়েল ও পশ্চিমা দুনিয়ার একমাত্র লক্ষ্য। তাতে সফল হয়েছে তারা। গাজার স্বাস্থ্য সেবার এমনই নাজুক অবস্থা যে, যে চিকিৎসকরা প্রতিটি জীবন রক্ষার ব্রত নিয়েছেন, তাদেরকে কোন রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন, আর কাকে বাঁচানো সম্ভব নয়– এমন নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। একাজ করতে গিয়ে তাদের মানসিক অবস্থা কেমন দাঁড়াচ্ছে– তা বর্ণনা করা হয়তো সম্ভব নয়।
অর্থাৎ, হতাহতের ভিড়ে দম ফেলার ফুরসৎ নেই তাদের। অপ্রতুল চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে কার জীবন বাঁচানো যায়– সেই সিদ্ধান্তের গুরুভার বইতে হচ্ছে তাদের। এরমধ্যে জানা গেল, বিদ্যুতের অভাবে দরকারি বিভিন্ন বিভাগ বন্ধ রাখার খবর।
গাজার খান ইউনিস এলাকার নাসের হাসপাতালের চিকিৎসকরা আল জাজিরাকে জানান, বিভিন্ন ধরনের সম্পদ, বিশেষত জ্বালানির অভাবে পুরো একটি বিভাগের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে তাদের।
এই বিভাগের রোগীদের আপাতত অন্যান্য বিভাগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেগুলোও রোগী দিয়ে ভর্তি। তবে এগুলো সচল রাখার মতো জ্বালানি আপাতত তাদের কাছে আছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদক ইয়ুমনা এল-সাইয়েদ জানান, 'গাজা উপত্যকার বেশিরভাগ হাসপাতালেই এখন এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।'