ইরানের হুমকির পর মধ্যপ্রাচ্যে আরো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরান এবং তার মিত্রদের যুদ্ধ 'বিস্তৃতির' হুমকির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে তারা আরো বেশি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাবে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড জে. অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা- থাড ব্যাটারি ও প্যাট্রিয়ট- পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কোথায় এবং কত ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হবে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি অস্টিন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউ.এস.এস. ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার বিমানবাহী রণতরীকে এখন সেন্ট্রাল কমান্ডের অধীন এলাকায় পাঠানো হবে। যে অঞ্চল ইসরায়েল এবং লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ অংশকে কাভার করে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং পরবর্তীতে ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যে এই অঞ্চলে সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্ভাব্য স্থল আক্রমণের জন্য ইসরায়েলে সামরিক সহায়তাও দিয়েছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ভাষণে ইরান ও তার মিত্রদের যুদ্ধে না জড়াতে সতর্ক বার্তা দিয়েছে এবং ইসরায়েলের জন্য অতিরিক্ত ১৪ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তাও চাইবেন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ।
গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র আরো সহায়তা দিলে নতুন ফ্রন্ট শুরুর হুমকিও দিয়েছে। গত সপ্তাহে উত্তর লোহিত সাগরে ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করে মার্কিন রণতরী। যুক্তরাষ্ট্রের অনুমান, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। এ ঘটনার পর পেন্টাগন মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের আশঙ্কা করছে।
লেবানন থেকে ইতোমধ্যে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলা হয়েছে। এছাড়া ৭ অক্টোবরের পর ইরানের মিত্রদের কাছে অস্ত্র সরবরাহে ব্যবহার হওয়া একটি বিামনবন্দর অবরোধ করেছে ইসরায়েল।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে আরো ২,০০০ নাবিক ও নৌ সেনা পাঠিয়েছে। শনিবার কতজনকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।