গাজার হাসপাতালে ‘মরদেহের বন্যা’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, শহরটির হাসপাতালগুলোয় 'মৃতদেহের বন্যা বয়ে যাচ্ছে'।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়লয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৫ হাজার ৮৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আর যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের বেশি মারা গেছেন। দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এর স্থল আক্রমণের পরিধি বাড়িয়েছে।
এদিকে সোমবার প্রথমবারের মতো একদল ফিলিস্তিনি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য কাতারে পৌঁছেছে। দেশটির আমিরের মালিকানাধীন একটি চিকিৎসা-সহায়তা বিমানে করে তাদেরকে কাতারে নেওয়া হয়।
কাতারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এ তথ্য জানিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলার ভুক্তভোগীদের ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু। যুদ্ধের পর থেকে আহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজারে।
গাজার একটি প্রধান টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা কোম্পানি জানিয়েছে, গাজা সিটি ও উত্তরে সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে।
নতুন করে আক্রমণ শুরুর পর ইসরায়েল দক্ষিণ গাজায় অবস্থান নেওয়া ফিলিস্তিনিদের আবারও সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
চলমান যুদ্ধ শুরুর পর দক্ষিণ গাজাকে নিরাপদ এলাকা হিসেবে উল্লেখ করেছিল ইসরায়েল। উত্তর গাজায় বসবাসকারীদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দেশটি।
কিন্তু এবার দক্ষিণ গাজা ছাড়ার নির্দেশের পর এ ফিলিস্তিনিদের আদতে নিরাপদ আশ্রয়ের কোনো স্থান রইল না।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এটি গাজার চিকিৎসা সংকট বিষয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর একটি জরুরি বৈঠকে বসতে ১৫টি দেশের কাছ থেকে অনুরোধ পেয়েছে।