প্রবাসীদের জন্য ২০২৩ সালের সবচেয়ে ভালো ও খারাপ ১০ শহর
বিদেশে বসবাস কিংবা কাজের জন্য যাওয়া বেশ বড় সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে পরিবারসহ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়, "কোথায় যাওয়া উচিত হবে?"
সেক্ষেত্রে আপনি ভিয়েনা, জুরিখ কিংবা অকল্যান্ডের মতো শহরে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কেননা এই শহরগুলো গ্লোবাল কন্সালটিং ফার্ম মার্সারের চলতি বছরের প্রবাসীদের জীবনযাত্রার মানের জরিপে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে।
চলতি বছরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। এর আগে ২০১৯ সালে সর্বশেষ তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এতে শহরগুলোর প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক দৃশ্য, স্থাপত্য এবং ইতিহাসকেও তুলে আনা হয়।
অন্যদিকে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের শহর জুরিখ। শহরটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উচ্চ মানের অবকাঠামোর জন্য বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
আর তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের শহর অকল্যান্ড। শহরটি উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা ও সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য বেশ প্রশংসিত হয়েছে। ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন আর সুইজারল্যান্ডের শহর জেনেভা আছে যথাক্রমে তালিকার চার ও পাঁচ নম্বরে।
তালিকার শীর্ষ দশের বেশিরভাগ শহরই পশ্চিম ইউরোপের। এক্ষেত্রে নর্থ আমেরিকার একমাত্র শহর হিসেবে ভ্যানকুভার আছে আট নম্বরে।
তালিকার মোট ২৪১ টি শহরের নাম উঠে এসেছে। সেক্ষেত্রে এশিয়ার শহর হিসেবে সবচেয়ে শীর্ষে আছে সিঙ্গাপুর সিটি; তালিকায় যার অবস্থান এডিলেডের সাথে যৌথভাবে ২৯ নম্বরে। আর হংকংয়ের অবস্থান ৭৭ নম্বরে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শহর নিউ ইয়র্ক তালিকায় ৪০ তম অবস্থানে রয়েছে। আর যুক্তরাজ্যের লন্ডনের অবস্থান ৪৫ তম।
মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শীর্ষে আছে দুবাই। তালিকায় শহরটির অবস্থান ৭৯ নম্বরে। আর আফ্রিকার শীর্ষ শহর হিসেবে মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইস আছে তালিকার ৮৮ নম্বর অবস্থানে।
শীর্ষ ১০ এ জায়গা করে নিয়েছে সিডনি; তালিকায় শহরটির অবস্থান ৯ নম্বরে। অন্যদিকে মেলবোর্ন আর পার্থ আছে যথাক্রমে ২১ ও ২২ নম্বর অবস্থানে।
তালিকার সবচেয়ে নিচে অর্থাৎ ২৪১ তম অবস্থানে আছে সুদানের রাজধানী খার্তুম। আর ২৪০ তম অবস্থানে রয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ।
তালিকাটি সম্পর্কে মার্সারের গ্লোবাল হেড অব মোবিলিটি ইভন ট্রাবার বলেন, "বর্তমান বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ দ্বারা প্রভাবিত। এই বিষয়গুলোই শহরগুলির প্রতি আকর্ষণ ধরে রাখার ক্ষেত্রে প্রভাব হিসেবে কাজ করে।"
ইভন ট্রাবার আরও বলেন, "অনেক কর্মীই নিজেদের বসবাস, কাজের জায়গা ও পরিবারকে প্রদত্ত জীবনমানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ফিয়ে পুনর্বিবেচনা করছেন।"
তালিকাটি প্রস্তুতের ক্ষেত্রে মার্সার মূলত ৪৫০ টি শহরকে মূল্যায়ন করেছে। সেক্ষেত্রে তারা রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন, আবাসনসহ মোট ৩৯ টি ফ্যাক্টরকে বিবেচনা করেছে।
তালিকার শীর্ষ ১০ শহর:
১। ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
২। জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
৩। অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
৪। কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
৫। জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
৬। ফ্রাঙ্কফুট, জার্মানি
৭। মিউনিখ, জার্মানি
৮। ভ্যানকুভার, কানাডা
৯। সিডনী, অস্ট্রেলিয়া
১০। ডুসেলডর্ফ, জার্মানি
তালিকার তলানিতে থাকা ১০ শহর:
২৪১। খার্তুম, সুদান
২৪০। বাগদাদ, ইরাক
২৩৯। ব্যাঙ্গুই, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক
২৩৮। সানা, ইয়েমেন
২৩৭। পোর্ট-অ-প্রিন্স, হাইতি
২৩৬। এনজামেনা, চাদ
২৩৫। দামেস্ক, সিরিয়া
২৩৪। উয়াগাদুগু, বুরকিনা ফাসো
২৩৩। ত্রিপলি, লিবিয়া
২৩২। ব্রাজ্জাভিলে, কঙ্গো রিপাবলিক