যে কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোটাভুটি পেছাল
গাজায় সংঘাত বন্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরেকটি ভেটো এড়ানোর প্রচেষ্টায় আরব-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি বিষয়ক প্রস্তাবে ভোটাভুটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পিছিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
গতকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় এ প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ে ভোটাভুটি হচ্ছে না বলে জানানো হয়।
সে সময় কূটনীতিকরা জানিয়েছিলেন, প্রস্তাবের পক্ষে 'হ্যাঁ' জানানো কিংবা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়ে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চলছে।
এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি হলো গাজায় কীভাবে অতি জরুরি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় এবং সেটি বজায় রাখা যায়।
গতকাল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) অভিযোগ করে জানায়, পানি, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার মানুষকে ক্ষুধার কষ্ট দিচ্ছে। সংস্থাটি এটিকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গাজার ৫৬ শতাংশ মানুষ 'তীব্র ক্ষুধার কষ্টে' রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে যা ছিল ৩৮ শতাংশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কূটনীতিকরা বলেন, প্রস্তাবটিতে গাজায় জন্য অতি জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য 'দ্রুত ও দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরত'র কথা বলা হয়েছে। তবে এতে যুদ্ধ বন্ধ বা যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট হবে কি না তা নিশ্চিত নয়।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবটিতে পরিষদের প্রায় সব সদস্য রাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু দেশ সমর্থন দিয়েছিল।
গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।