নতুন বছরের কাউন্টডাউনের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবেন ৩০টির বেশি দেশের অধিকারকর্মীরা
ইংরেজি নতুন বছরের শুরু হচ্ছে আজ রোববার (৩১ ডিসেম্বর) মাঝরাতের পর। চলছে রাত ১২টা ১ মিনিটের ক্ষণ গণনা (কাউন্টডাউন)। দেশে দেশে যখন নতুন বছরকে বরণ করার নানান আয়োজন চলছে, তারমধ্যে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা আবারো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রচারকারীরা। বিভিন্ন দেশের মানুষের প্রতি তাঁরা নতুন বছরের কাউন্টডাউনকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কাউন্টডাউনে রূপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈশ্বিক এক প্রচারাভিযানে।
'কাউন্টডাউনটুসিজফায়ার' নামে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এটি লন্ডন-ভিত্তিক ফিলিস্তিনপন্থীদেরও জোট।
এক বিবৃতিতে 'কাউন্টডাউনটুসিজফায়ার' বলেছে, 'ইংরেজি নতুন বছরের আগের রাত বিশ্বব্যাপী এক উদযাপনের মুহূর্ত। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য নতুন শপথ নেওয়ারও সুযোগ এনে দেয়। (গাজায়) যখন ১০ হাজারের বেশি শিশুসহ প্রায় ৩০ হাজার বেসামরিক হত্যা করা হয়েছে– তখন নতুন বছরের একমাত্র রেজ্যুলেশন হতে পারে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান।"
"আমাদের লক্ষ্য নববর্ষের প্রচলিত কাউন্টডাউনকে গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রভাবশালী ও জোরালো কাউন্টডাউনে রূপ দেওয়া।"
আয়োজকদের মতে, ইতোমধ্যেই এই ক্যাম্পেইনে যুক্ত হচ্ছেন সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, তাঞ্জিনিয়া, মেক্সিকো ও জার্মানি-সহ ৩০টির বেশি দেশের অধিকারকর্মীরা।
রাত ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে করা অনুষ্ঠানগুলো কাউন্টডাউনটুসিজফায়ার- এর সামাজিক মাধ্যমগুলোর একাউন্টে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।