গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়াল
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা রবিবার জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৮ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা গেছে। জায় ইসরায়েলের হামলার তিন মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে নিহতের সংখ্যা ২৫ হাজার ১০৫ জনে পৌঁছেছে।
ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে আল জাজিরার তথ্য অনুসারে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণ অঞ্চলে হামাসের অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ১১৩৯ জন নিহত হওয়ার পরে ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা শুরু করে। ফিলিস্তিনি এই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরও ২৫০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে।
দক্ষিণ গাজার রাফাহ থেকে আল জাজিরার রিপোর্টার হানি মাহমুদ বলেন, রবিবার খান ইউনিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের কাছে তীব্র স্থল যুদ্ধ হয়েছে।
প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তথ্য অনুসারে, আগের দিন উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পূর্বে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ২১ জন আহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষের 'হৃদয়বিদারক' মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন।
উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় জি৭৭+চীন শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গুতেরেস বলেন, "ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অনেক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে এবং সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে আমার সময়ে নজিরবিহীনভাবে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে।"
গুতেরেস আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরে চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের সমাধান রয়েছে "ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র অধিকার এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের" মধ্যে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬২,৬৮১ জন আহত হয়েছে। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ উপকূলে জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় 'দুর্ভিক্ষের মতো' পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে কারণ ২৩ লাখ জনসংখ্যার চারজনের মধ্যে অন্তত একজন খাদ্য সংকটে ভুগছে।
যুদ্ধ সহায়তার উপর ইসরায়েলের কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রয়োজনীয় ত্রাণের একটি বড় অংশ গাজায় সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
জাতিসংঘের মতে, চলমান যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে নারী ও শিশুরা।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইসরায়েলও অন্যান্য স্থানেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে যা আঞ্চলিকভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।