ইউটিউবের সিইওর সাফল্যের মূল রহস্য কী: ক্যারিয়ারের শুরুতেই যা তার কাম্য ছিল!
আমরা কে না চাই সফল হতে? আমরা যেই কাজটিই শুরু করি না কেন, আমাদের সবারই লক্ষ্য থাকে কাজটিতে সফল হওয়া। সফল হওয়ার জন্য আমরা বিভিন্নজনের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা বা পরামর্শ নিয়ে থাকি, সফলদের নানা গল্প শুনে থাকি।
এ বিষয়ে ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নীল মোহন বলছেন, যারা সফল হতে চান তাদের জন্য ছোট্ট একটি পরামর্শ হলো- 'নিজের প্রতি সত্যবাদী হন।'
সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই দৃষ্টিভঙ্গি বা মনোভাবটি 'শুনতে গতানুগতিক' হলেও তিনি মনে করেন ছোটবেলায় এই কথাটি তিনি হৃদয়ে গেঁথে নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, '[এটি] সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যারা আমাকে জিজ্ঞাসা করেন কিংবা আমার কাছে জানতে চান যে এই প্ল্যাটফরমটিতে সফল নির্মাতা হওয়ার গোপন রহস্য কী? আমি তাদের এই উপদেশই দেই যে, নিজের প্রতি সত্যবাদী হন।'
তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কেউ আমাকে এই উপদেশ দিয়েছিলেন।'
মোহন ২০০৮ সালে গুগলের সাথে কাজ শুরু করেন। এর সাত বছর পর সেখান থেকে ইউটিউবের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার হিসেবে যোগ দেন। গত বছর থেকে তিনি ভিডিওভিত্তিক এই প্ল্যাটফরমটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মোহন বলেন, ইউটিউবে তার অভিজ্ঞতা তাকে সত্যতার মূল্য সম্পর্কে শিখিয়েছে। তার অনুমান হলো- ইউটিউবে যারা সবচেয়ে সফল নির্মাতা, তারা তাদের বাস্তব জীবন সম্পর্কে স্বচ্ছ এবং ভিডিওগুলোতে তাদের ব্যক্তিত্ব দেখান।
মোহন বলেন, 'তারা ক্রীড়া নির্মাতাই হোক, আর সঙ্গীতশিল্পী কিংবা অন্য যেকোনো শিল্পীই হোক না কেন… অবশ্যই তারা অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান এবং তারা জানে কীভাবে গল্প বলতে হয়। আর তারা নিজেদের প্রতি সত্যবাদী।'
সত্যতা শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ারদের আকৃষ্ট করতেই সহায়ক নয়, বরং অফিস এবং অন্যান্য কর্মক্ষেত্রেও এটি সহায়ক।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব কর্মকর্তা কর্মক্ষেত্রে সত্যবাদী ও সহানুভূতিশীল, তারা তাদের কর্মীদের সাথে আরো ভালভাবে মিথস্ক্রিয়া করতে পারেন। আর এর ফলাফল: সেই কর্মচারীরা কাজের প্রতি আরো বেশি যত্নবান হন।
ব্যবস্থাপনা পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান গার্টনার ২০২২ সালে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহ ও যত্নবান হওয়ার কারণে উৎপাদন বাড়ে। কাজের সাথে কর্মীরা গভীরভাবে জড়িত থাকার ফলে তাদের দলগত অর্জনের সক্ষমতা ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে।
অনুষ্ঠানে মোহন বলেন, 'আপনি দায়িত্বে না থাকলেও কাজের প্রতি যথার্থ হওয়া আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে। আর এটি বিশেষ করে তরুণদের ক্ষেত্রে যারা সবেমাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মোহন বলেন, 'নিজের লক্ষ্য বা পথ নির্ধারণের বিষয়ে শক্তভাবে চিন্তা করুন...দীর্ঘমেয়াদী। প্রশ্নগুলোর কেবল সত্যিকারের উত্তরগুলো দেওয়ার চেষ্টা করুন...আমার কাছে অন্যের প্রত্যাশার বিপরীতে আমি যা চাই তা কীভাবে সত্যিকার অর্থে হতে চলেছে?'