গাজায় মানবিক বিরতির নতুন প্রস্তাবেও ভেটোর হুমকি আমেরিকার
গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান সম্বলিত একটি খসড়া প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপনের জন্য জমা দিয়েছে আলজেরিয়া। এই প্রেক্ষাপটে, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এই প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটির জন্য এলে তাঁর দেশ সেখানে ভেটো দেবে। ওয়াশিংটন এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে না।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড গতকাল শনিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে ভেটো প্রদানের এই হুমকি দেন। এসময় তিনি বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তির জন্য কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র; যার আওতায় বন্দি বিনিময় এবং ছয় সপ্তাহের জন্য লড়াইয়ের বিরতি কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, "গত সপ্তাহব্যাপী প্রেসিডেন্ট বাইডেন একাধিকবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, এবং মিশর ও কাতারের নেতাদের সাথে এই চুক্তি এগিয়ে নিতে কথা বলেছেন। (সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে চুক্তির বিষয়ে) ব্যবধান থাকলেও, মূল বিষয়গুলো এখন আলোচনার টেবিলে।"
"আমাদের বিশ্বাস এই চুক্তি জিম্মিদের তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবার সর্বোত্তম সুযোগ তৈরি করবে, এবং একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলমান লড়াইয়ে বিরতি টানবে। সেই সুযোগে, গাজার ফিলিস্তিনিদের কাছে জীবনদায়ী খাদ্য, পানি, জ্বালানি, ওষুধ ও অন্যান্য নিত্যপণ্য সরবরাহ করা যাবে, যা তাঁদের জরুরি ভিত্তিতে দরকার"- যোগ করেন গ্রিনফিল্ড।
আলজেরিয়ার খসড়া প্রস্তাবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো এই প্রস্তাব সে তুলনায় এ ধরনের ফলাফল অর্জন করতে পারবে না। বরং, তার পরিপন্থী হবে, এজন্যই যুক্তরাষ্ট্র এই খসড়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে কোনো ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করছে না। তাই এটি খসড়ায় যেভাবে আছে, সেভাবেই (অপরিবর্তিভাবে) ভোটাভুটির জন্য তোলা হলে, এটি গৃহীত হবে না।"
গাজায় মানব ইতিহাসের ভয়াবহতম এক গণহত্যা ও ধবংসযজ্ঞ চলমান থাকার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তের কথা জানালো। সাম্প্রতিক সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলকে সব ধরনের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের জাহাজ চলাচলে বাধা দেওয়ায় এমনকি ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও বিমান হামলা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের গণহত্যায় ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হয়েছে- এমনটি খোদ আমেরিকার শান্তিকামী সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরাও বলছেন।