এলিট আফগান সৈন্যরা এখন নাপিত, জিম ট্রেইনার
ঘড়িতে সময় বেলা ৫ টা বেজে ৪০ মিনিট। নয়াদিল্লির ব্যস্ত নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির একটি হেয়ার সেলুনে গ্রাহকেরা ভিড় করেছে। চারপাশে হেয়ার স্প্রে ও আফটারশেভের ঘ্রাণ।
বাদামি চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন ২৯ বছর বয়সি এক নাপিত; নাম জাকি মারজাই। বেশ দক্ষতার সাথে একজনের চুল কাটছেন তিনি।
সেলুনের দেয়ালে কাঠের তাকে সাজানো আছে শ্যাম্পুর রঙিন বোতলসহ নানা প্রসাধনী সামগ্রী। আয়নায় দেখা যাচ্ছে মারজাইকে, বেশ মনোযোগ দিয়ে চুল কাটছেন তিনি।
তবে মারজাইয়ের সেলুনে চুল কাঁটার কথা ছিল না। তার নিয়তিই তাকে এখানে নিয়ে এসেছে। নাহলে তার হাতে আজ ক্ষুর নয়, বরং রাইফেল থাকার কথা ছিল।
তিন বছর আগেও মারজাই আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর এলিট স্পেশাল ফোর্সের একজন সৈনিক ছিলেন। নাইন ইলেভেনের হামলার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর আক্রমণের সাথে সাথে আফগানিস্তানে শুরু হওয়া যুদ্ধে পরবর্তীতে তিনি সৈন্য হিসেবে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
পশ্চিমা-সমর্থিত আফগান সরকার ২০ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষে ছিল। মারজাই ২০১৫ সালে একজন সার্জেন্ট হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। সেক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই তার একজন কমিশন্ড অফিসার হওয়ার কথা ছিল। তবে ২০১৮ সালের ২০ জুন যেন নিমিষেই সবকিছু বদলে যায়।
সেদিন রাত দুইটার দিকে মারজাই দেশটির গজনি প্রদেশের একটি ক্যাম্পের বাইরে অবস্থান করছিলেন। তখন আচমকা বুলেটের একটি ব্যারেজ তাকে ও তার সহযোদ্ধাদের আঘাত করে।
মারজাই ও তার সাথে থাকা বাকিরা কিছু বুঝতে পারার আগেই ২৫ জন সৈন্য ঘটনাস্থলে নিহত হন। আর আহত হয় ছয়জন। হামলায় মারজাইয়ের থুতনি ও ডান পায়ে গুলি লেগে মারাত্মকভাবে আহত হন।
ঐ স্মৃতি স্মরণ করে আল-জাজিরাকে মারজাই বলেন, "আক্রমণটি এতটাই তীব্র ছিল যে, আমরা কিছুই করতে পারিনি। চারদিক থেকে গুলি আসছিল। তালেবানরা পুরো শিবির নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল।"
জাতিসংঘের ইনস্টিটিউট অফ পিসের তথ্যমতে, আফগানিস্তানে দুই দশকের যুদ্ধে আনুমানিক ৭০ হাজার আফগান সামরিক সদস্য ও পুলিশ প্রাণ হারিয়েছেন।
ঐদিন আহতদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে ব্যাকআপ পৌঁছাতে আট ঘণ্টা লেগেছিল। তখন মারজাইকে প্রচুর রক্তক্ষরণ অবস্থায় প্রথমে গজনীর নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কাবুলের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
প্রায় এক বছর চিকিৎসার পরও তার চোয়াল বিকৃত অবস্থায় ছিল। তাই আফগান সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠায়। দেশে মা-বাবা, এক বোন ও সাত ভাই রেখে ভারতে যান তিনি।
২০১৯ সালে মারজাই নয়াদিল্লির নিকটবর্তী শহর গুরগাঁওয়ে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে যান। পরে তাকে শহরটির অন্য আরও দুটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মারজাই আশা করেছিলেন ২০২১ সালের আগস্টের মধ্যে তিনি আফগানিস্তানে ফিরে যেতে পারবেন। কিন্তু ততদিনে আফানিস্তানের শাসনব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসে পড়েছে।
তখন আগস্টের প্রথম দিকে দেশটির একের পর এক প্রদেশ তালেবানের দখলে চলে যেতে থাকে। নিজের ফোনে ইউটিউব, টুইটার ও ফেসবুকে সেই খবর স্পষ্ট দেখছিলেন মারজাই। আর ক্রমেই তার নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা যেন ফিকে হয়ে আসছিল।
তারপর ঐ বছরের ১৫ আগস্ট তালেবানরা কাবুল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে। মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী অনেকটা বিশৃঙ্খলভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।
তখন মারজাই ফোনে তার পরিবার ও সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
নিমিষেই কাবুলের পতন দেখে অন্য সবার মতো মারজাইও হতবাক হয়েছিলেন। তিনি অন্তত কিছুটা হলেও সেনাদের পক্ষ থেকে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ আশা করেছিলেন।
ঐ ঘটনা সম্পর্কে মারজাই বলেন, "তালেবানরা যখন আফগানিস্তান দখল করে নেয় তখন আমি সারা রাত কেঁদেছিলাম। আমি মনে মনে ভেঙে পড়েছিলাম। কেননা আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার এবং সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু এখন আমি এখানে (ভারতে) আটকে আছি।"
মারজাই শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের অধ্যুষিত আফগান প্রদেশ গজনি প্রদেশের বাসিন্দা। যেটি দীর্ঘদিন ধরে প্রধানত সুন্নি তালেবানদের দ্বারা নির্যাতিত।
মারজাই পূর্ববর্তী সরকারের সৈনিক হওয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন না। কেননা ঐ সরকারকে তালেবানরা মনেপ্রাণে শত্রু মনে করে। ফলে তিনি দেশে ফেরত গেলে বিপদে পরতে পারেন।
যদিও ক্ষমতা দখলের পর তালেবান সরকার সৈন্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) জানিয়েছে যে, তালেবান সরকার ক্ষমতা দখলের পর অন্তত ২০০ জন প্রাক্তন আফগান সৈন্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে মারজাই ভারতে একমাত্র আফগান সৈনিক নন, যিনি দেশে ফিরতে পারেননি। বরং একই পরিণতি হয়েছে আরও অনেকের।
৩৭ বছর বয়সি খলিল শামাস তেমনি একজন। আফগানিস্তান সেনাবাহিনীর এই প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট এখন নয়াদিল্লির এক রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ করছেন।
খলিল ২০২০ সালে ভারতের দেরাদুনে ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে (আইএমএ) প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ও তার সহকর্মীরা কোর্সটি শেষ করার আগেই তালেবান আফগানিস্তানের দখল নিয়ে নেয়।
খলিল জানান, আইএমএ-তে প্রায় ২০০ আফগান সৈন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এদের মধ্যে পরবর্তীতে কয়েকজন আফগানিস্তানে ফিরে যান। আবার অনেকে ইরান, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পাড়ি জমানো।
কিন্তু তাদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন ভারতে রয়ে গেছেন। কেননা তারা পশ্চিমা দেশগুলোতে যেতে পারেনি এবং জীবন শঙ্কায় আফগানিস্তানেও ফিরে যাননি।
তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আফগান সৈন্যদের ভারতে থাকতে অর্থ প্রদানও বন্ধ করে দেয়। মারজাই বলেন, "২০২১ সাল থেকে আমরা দূতাবাস থেকে কোনো সাহায্য পাইনি। আমাদের নিজেদেরকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হয়েছে।"
এমতাবস্থায় নিজেদের সমস্ত সঞ্চয় শেষ করার পরে এবং কোন সাহায্য না আসায় মারজাই ছয় মাসের চুল কাটার একটি কোর্সে ভর্তি হন। পরবর্তীতে সেলুনে নাপিত হিসেবে কাজ করা শুরু করেন।
মারজাই দক্ষিণ দিল্লির জনাকীর্ণ ভোগল এলাকায় আরও তিনজন আফগানের সাথে দুই কক্ষের একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। যা স্যাঁতসেঁতে, গন্ধযুক্ত এবং দেয়াল থেকে রং ছিঁড়ে যাচ্ছে এমন।
অন্যদিকে খলিক ভোগাল থেকে বেশ দূরে মালভিয়া নগর এলাকায় একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্টে সাত আফগান বন্ধুর সাথে থাকছেন।
তিনি বলেন, "নিজ দেশের সরকারের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা ছাড়াই বিদেশের মাটিতে বসবাস করা চ্যালেঞ্জিং। আমাকে যে শুধু নিজের দেখাশোনাই করতে হয়েছে, বিষয়টি এমন নয়। বরং আমার পরিবারের জন্যও টাকা পাঠাতে হয়েছে।"
খলিলের বড় ভাই আলি শামাস তার নিজ শহর গাজির একজন জেলা গভর্নর ছিলেন। তালেবান যোদ্ধারা তাকে ২০১৮ সালে অতর্কিত হামলা করে হত্যা করে। ঘটনার পর পরিবারটি নিরাপদ পরিবেশের সন্ধানে কাবুলে চলে যায়।
এদিকে ২০২২ সাল থেকে ভারতও ধীরে ধীরে তালেবানের সাথে তার সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে। একই বছরের জুনে ভারত সরকার পুনরায় কাবুলে অবস্থিত তাদের দূতাবাস চালু করে। একইসাথে দূতাবাস ও তার মিশন পরিচালনার জন্য 'প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের' একটি দল মোতায়েন করেছে নয়াদিল্লী।
অন্যদিকে গত বছরের নভেম্বরে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আফগান দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দেয় তালেবান প্রশাসন। এক্ষেত্রে ভারত সরকার আর সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করে কাবুল।
এখন মিশন থেকে আর আর্থিক সহায়তা পাওয়া তো দূরেই থাক বরং নিজেদের কাগজপত্র প্রমাণের জন্য আফগান সৈন্যদের সহযোগিতা পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তারা যে এক সময় দেশটির সেনাবাহিনীর অংশ ছিল তা প্রমাণ করাই যেন কঠিন হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে ১৫ হাজারেও বেশি আফগান শরণার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার আফগান ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সাল থেকে প্রায় ১৬ লাখ আফগান দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। যাতে করে প্রতিবেশী দেশগুলিতে আফগানদের মোট সংখ্যা ৮২ লাখে পৌঁছেছে।
ভারতে থাকা তেমনি এক আফগান সৈন্য আসিল। দক্ষিণ দিল্লির লাজপত নগর এলাকায় তিনি একজন জিম ট্রেইনার হিসেবে কাজ করছেন। এলাকাটিতে রয়েছে শতাধিক আফগান অভিবাসীর বাড়ি; যারা সেখানে রেস্তোরাঁ, দোকান এবং ফার্মেসি খুলেছেন।
প্রতিদিন সকাল ৭ টায় কালো স্পোর্টস টি-শার্ট ও ট্রাউজার পরে আসিল কাজে বের হন। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা তার কাছ থেকে জিমের টিপস নিয়ে থাকেন।
আসিল বলেন, "আমি জিমের মালিককে বলেছিলাম, আমাকে একটি সুযোগ দিতে। সেখানে ছয় মাস বিনামূল্যে কাজ করেছি। আমি যদি চাকরিটি না পেতাম, তবে আমি জানি না আমি এখানে কীভাবে বেঁচে থাকতাম।"
ভারতে থাকা প্রাক্তন আফগান সৈন্যরা জানায়, তারা আফগানিস্তানে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাদের আশঙ্কা, অতীতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীকে সমর্থন করার জন্য তাদের ওপর জুলুম, নির্যাতন করা হবে।
খলিল বলেন, "আমার ভাইকে হত্যা করার আগে তালেবানরা বহুবার হুমকিমূলক চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তারা তাকে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন।"
এদিকে বহু সময় পেরিয়ে গেলেও মারজাই নিজের আহত হওয়ার দিনের স্মৃতি যেন ভুলতেই পারছেন না। সেই 'বিভীষিকাময় রাত' দুঃস্বপ্ন হয়ে এখনও তাকে তাড়া দিচ্ছে। মানসিকভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি।
মারজাই বলেন, "আমি আলাদা ঘরে একা ঘুমাই। আমার রুমমেটরা আমার পাশে ঘুমাতে চায় না। কেননা আমি জানি না আমি ঘুমের মধ্যে কাকে আঘাত করব।"
নিজেদের অবসর সময়ে আসিল ও খলিল একে অপরের বাড়িতে যান। সেখানে আড্ডায় তারা আইএমএ-তে থাকা দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন।
আসিল বলেন, "আমরা সাধারণত তাস খেলি, গান শুনি; আফগানি ও বলিউডের। নেটফ্লিক্সে সিনেমা দেখি এবং মাঝে মাঝে রান্নাও করি। আমার প্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খান, অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।"
তবে উভয়েরই নিজের জন্মভূমি ও পরিবারের কথা খুব মনে পরে। খলিলের ভাগ্নির বিয়ে হয়েছে মার্চের শুরুতে। আর আসিলের ভাইয়ের বিয়ে হয়েছিল পাঁচ মাস আগে। মারজাইয়ের এক বড় ভাই ২০২২ সালে বিয়ে করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত কোনো অনুষ্ঠানেই অংশ নিতে পারেননি তারা।
খলিল বলেন, "আমার ভাই আর নেই বলে আমি ভাগ্নির বিয়েতে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যেতে পারিনি। আমি ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ে দেখেছি।"
খলিল ও আসিল যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে চান। তবে আফগান সেনাবাহিনীতে সক্রিয়ভাবে কাজ না করায় তারা এই সুবিধা পাচ্ছেন না।
খলিল বলেন, "আমরা তখন প্রশিক্ষণে ছিলাম। সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পেয়ে সেনাবাহিনীতে যোগদান করিনি। এমতাবস্থায় আফগানিস্তানে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্রয়ের দিচ্ছে না।"
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির তথ্যমতে, ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের সাথে প্রায় ৩ লাখ আফগান যুক্ত ছিল। এক্ষেত্রে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তথ্যমতে, প্রায় ৮৮,৫০০ জন আফগানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। যদিও আরও হাজার হাজার আফগান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন করেছে, আশ্রয় চাইছে।
আসিল অন্য দেশেও যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, "দেখা যাক সৃষ্টিকর্তা আমার জন্য কী রেখেছেন। আমার আফগানিস্তানে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি যে কোনো পশ্চিমা দেশে স্থায়ী হতে চাই এবং পরে আমার পরিবারকেও সেখানে নিয়ে আসতে চাই।"
মারজাই ইউরোপ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, "আমি আমার পরিবার নিয়ে চিন্তিত। আমি বাড়ি যেতে চাই। কিন্তু তালেবানদের ভয়ে আছি। আমি আশা করছি যে, একজন সৈনিক হিসাবে আমি পশ্চিমের কোনো একটা দেশে যেতে পারবো।"
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান