দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাপপ্রবাহে স্কুল বন্ধ, বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা
অব্যাহত তাপপ্রবাহের কারণে সরকারি স্কুলগুলোতে আগামী দুই দিন সশরীরে ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিপাইন সরকার।
অন্যদিকে থাইল্যান্ডে প্রচণ্ড গরমের ফলে বিদ্যুতের চাহিদাও রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। এ অবস্থায় জনগণকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় তাপমাত্রা ১৯১৫ সালের মে মাসের পর থেকে এ পর্যন্ত সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। দেশটির আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, এদিন শহরটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০১.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। তীব্র গরমের কারণে দেশটির শিক্ষা অধিদপ্তর আগামীকাল সোমবার ও পরদিন মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে থাইল্যান্ডের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। শনিবার রাতে রেকর্ড ৩৬ হাজার ৩৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে।
দেশটির উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গরম সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এসব অঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় রবিবার সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রচণ্ড গরমের কারণে গত সপ্তাহে চরম তাপ সতর্কতা জারি করে ব্যাংকক। এ বছর দেশটিতে তীব্র তাপমাত্রার কারণে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারত ও ভিয়েতনামসহ আশে-পাশের দেশগুলোতেও তীব্র গরম অনুভূত হয়েছে। এসব জায়গায় তাপমাত্রা উঠেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও উপরে।
অস্বাভাবিক উষ্ণ গ্রীষ্মের কারণে চলতি মাসের শুরুতে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল সতর্ক করেছিল যে পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৪৩ মিলিয়নেরও বেশি শিশু তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
অব্যাহত তাপপ্রবাহের কারণে এ মাসের শুরুতে ফিলিপাইনে বেশ কয়েকটি স্কুল বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে জনগণের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে সরকার।
দেশটির লুজন দ্বীপের এক প্রাদেশিক সরকার তীব্র গরমের কারণে আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত কর্মদিবস সপ্তাহে চার দিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আগামীকাল সোমবার ম্যানিলায় অনুভূত তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক