আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে গাজায় গণহত্যা মামলায় এবার যোগ দিল চিলি
গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এজন্য গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই মামলায় বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশ বাদী হয়েছে। যাদের সাথে এবার যোগ দিল দক্ষিণ আমেরিকার চিলি।
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক শনিবার (বাংলাদেশ সময় রোববার) তাঁর দেশের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখে তিনি মর্মাহত, বিশেষত নারী ও শিশুদের দূরবস্থা তাকে বিচলিত করেছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় যথেচ্ছ এবং অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বোরিক বলেন, "এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার দাবি উঠেছে।"
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত -আইসিজে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত। গত বছরে জাতিসংঘের এই আদালতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, এই অভিযোগ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অস্বীকার করেছে ইসরায়েল এবং আইনিভাবে বিবাদীপক্ষে মামলা লড়ছে। কিন্তু, তেল আবিবের নিযুক্ত আইনজীবীরা অনেক চেষ্টা করেও এই গণহত্যার অভিযোগের বিপক্ষে শক্ত যুক্তি বা প্রমাণ দিতে পারেননি।
মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় জনসংখ্যা রয়েছে চিলিতে, যা প্রায় পাঁচ লাখ। এদের বেশিরভাগই হলেন ফিলিস্তিনি খৃষ্টান, যারা ১৯ ও ২০ শতকে চিলিতে অভিবাসন করেছিলেন। শুরুতে খুচরা ব্যবসা করতেন এই সম্প্রদায়ের মানুষ, পরে অন্যান্য ব্যবসাসহ রাজনীতিতে তাঁদের প্রভাব বিস্তৃত হয়েছে।
চিলির অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফুটবল দলের নামও 'প্যালেস্তিনো' (ফিলিস্তিনি)- দলের সাদা, কালো, সবুজ ও লাল রঙের পোশাক যেন ফিলিস্তিনি পতাকারই প্রতীক।
এর আগে মেক্সিকো, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ার মতো উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় বাদীপক্ষে যোগ দেয়। চিলি সেখানে সর্বশেষ সংযোজন।
অনুবাদ: নূর মাজিদ