আম্বানিকে পেছনে ফেলে আবার এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আদানি
ফের মুকেশ আম্বানিকে ছাপিয়ে গেলেন গৌতম আদানি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যানকে টেক্কা দিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে ধনীর মুকুট নিজের করে নিলেন তিনি।
ধনকুবের গৌতম আদানি তার গ্রুপে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর শেয়ারের দাম বৃদ্ধির জেরে রিলায়েন্স আবার ছাড়িয়ে গেছেন আম্বানিকে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির নিট সম্পত্তি-মূল্য ১১১ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের ১১তম ধনী হিসেবে স্থান পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ১০৯ বিলিয়ন ডলারের নিট মূল্য নিয়ে ১২তম স্থানে রয়েছেন আম্বানি।
শুক্রবার আদানি গ্রুপের সবগুলো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। শেয়ারের এই বড় মূল্যবৃদ্ধির সুবাদেই আম্বানিকে পেছনে ফেলেছেন আদানি।
শুক্রবার লেনদেন বন্ধের সময় বাজারমূল্যে ৮৪ হাজার ৬৪ কোটি রুপি যোগ হওয়ায় আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত ১০টি প্রতিষ্ঠানের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১৭.৫১ লাখ রুপিতে।
এর আগে ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির ধীর গতির প্রবৃদ্ধির সময় ব্যক্তিগত সম্পদ বাড়ার সুবাদে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়েছিলেন আদানি। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি প্রতিবেদনের পর তার বিশাল শিল্পগোষ্ঠী ধাক্কা খায়। পড়ে যায় আদানির শেয়ারমূল্য। এর জেরে এশিয়ার শীর্ষ ধনীর স্থান হারান তিনি।
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য জালিয়াতির মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ব্লুমবার্গ সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত আদানির মোট সম্পদ ২৬.৮ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে, আর আম্বানির সম্পদ বেড়েছে ১২.৭ বিলিয়ন ডলার।
৬১ বছর বয়সি ধনকুবের আদানি কর্মজীবন শুরু করেন হীরা শিল্পে। ১৯৮৮ সালে তিনি নিজের কোম্পানি গঠন করেন, যা পণ্য খাতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হিসেবে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে অন্যান্য খাতেও প্রসারিত হয়।
২০১৪ সালে আদানির সম্পদ ছিল প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে গত এক দশকে তার সম্পদ বেড়ে ২০২২ সালের শেষে ১২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে আদানি গ্রুপের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছিলেন গৌতম আদানি।