‘মোদির উচিত পদত্যাগ করা’: প্রায় ৩০ আসনে এগিয়ে থাকার পর সংবাদ সম্মেলন করে বললেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গে ৩০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে থাকার পর মঙ্গলবার (৪ জুন) কালীঘাটে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা ব্যানার্জি। সেখানে তিনি বলেন, '[ভোটের] এসব ফলাফল দেখিয়েছে যে, মোদি তার সমস্ত বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন এবং তার অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।'
এখন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস তথা টিএমসি'র পাঁচজন প্রার্থী — মহুয়া মৈত্র, শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, রচনা ব্যানার্জি ও কল্যাণ ব্যানার্জিকে যথাক্রমে কৃষ্ণনগর, আসানসোল, বর্ধমান-দুর্গাপুর, হুগলি এবং শ্রীরামপুর থেকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের একজন প্রার্থীও জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের আধিপত্য বজায় রাখার আশা করছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, তৃণমূলের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি।
ইসি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ৪২টি আসনের মধ্যে টিএমসি ২৯ আসনে এগিয়ে রয়েছে। এরপরে রয়েছে বিজেপি; পশ্চিমবঙ্গে ১২টি আসনে জয়লাভ করেছে এটি। আর কংগ্রেস জিতেছে একটি আসনে।
তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ ও শত্রুঘ্ন সিনহা বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হারিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বহরমপুরে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী হেরেছেন ইউসুফ পাঠানের কাছে, বর্ধমান-দুর্গাপুরে বিজেপির দিলীপ ঘোষ হেরেছেন কীর্তি আজাদের কাছে, আর আসানসোলে বিজেপির পবন সিংহকে হারানোর মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় বার বিজেপিকে হারিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
৪২ জন সংসদ সদস্যকে নির্বাচনের জন্য পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় ভোট হয়েছে। সর্বশেষ ভোটগ্রহণ হয়েছিল ১ জুন। এ কারণে মমতা ইনডিয়া ব্লকের বৈঠক এড়িয়ে যান। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, সিপিআই-এম, সিপিআই, ডিএমকে, জেএমএম, এএপি, আরজেডি, শিব সেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি (শরদ পাওয়ার)-এর জ্যেষ্ঠ নেতারা ১ জুন বিকেলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বৈঠক করেন। টিএমসি ও পিডিপি (পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি) ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিল না।