সরকারি চাকরিজীবীদের অফিসে ঢোকার সময় বেঁধে দিল ভারত সরকার; দেরি করলেই ‘শাস্তি’: রিপোর্ট
যেসব সরকারি চাকরিজীবী দেরি করে অফিসে আসেন এবং সময় শেষ হওয়ার আগেই অফিস থেকে বেরিয়ে যান, তাদের 'শায়েস্তা' করার জন্য অফিসে ঢোকার সময় বেঁধে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কর্মরত সব কর্মীকে নির্দিষ্ট সময় মেনে অফিসে প্রবেশ এবং বের হতে হবে। এ নির্দেশ অমান্য করলেই পেতে হবে 'শাস্তি'।
অনেক কর্মচারীই সময়মতো অফিসে এসে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি দেন না—এ বিষয় লক্ষ করার পর এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
টাইমস অভ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে প্রবেশ করতে হবে। ১৫ মিনিট দেওয়া হয়েছে 'গ্রেস টাইম' হিসেবে। অর্থাৎ অফিসে প্রবেশের সরকারি সময় সকাল ৯টা। এরপর সর্বোচ্চ পনেরো মিনিট দেরি করে, অর্থাৎ ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্যে তারা অফিসে ঢুকতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি দেরি করা যাবে না।
টাইমস অভ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সব কর্মীকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চার বছর আগে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এ পদ্ধতিতে উপস্থিতি দেওয়া এড়িয়ে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
কোনো কারণে কোনো কর্মীর অফিসে আসতে দেরি হলে তা আগেভাগেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাতে হবে এবং সেজন্য 'ক্যাজুয়াল লিভ' নিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয় টাইমস অভ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো কর্মী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অফিসে না পৌঁছলে তার জন্য বরাদ্দ ক্যাজুয়াল লিভ থেকে অর্ধদিবস কাটা যাবে। অর্থাৎ দুই দিন দেরি হলেই একটি ছুটির দিন কাটা যাবে ওই কর্মীর। আর তার ক্যাজুয়াল লিভ বাকি না থাকলে আর্নড লিভ থেকে সেই ছুটি কাটা যাবে বলে জানিয়েছে পিটিআই।
বায়োমেট্রিক মেশিন যেন সবসময় চালু থাকে, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে।
ভারতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সরকারি অফিসের সময়। অনেক জুনিয়র কর্মীই প্রায়ই দেরিতে অফিসে আসেন এবং সময়ের আগেই বেরিয়ে যান। সিনিয়র কর্মকর্তাদের দাবি, এজন্য তাদেরকে প্রায়ই অফিসের সময় শেষ হওয়ার পরও কাজ করতে হয়।
কিছু কর্মী প্রায়ই অফিস ফাঁকি দেন অথবা অফিসে কিছুক্ষণ কাটিয়েই বের হয়ে যান।
এ ধরনের কর্মীদের নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্যই নতুন এই নিয়ম চালু করেছে ভারত সরকার।