ফিলিস্তিনের পক্ষে র্যালি করায় সিঙ্গাপুরে ৩ নারী অভিযুক্ত
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার জন্য র্যালি বা লোক সমাবেশ করার অভিযোগ আনা হয়েছে সিঙ্গাপুরের তিন নারী অধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে। খবর বিবিসির।
সিঙ্গাপুরে যেকোনো ধরনের প্রতিবাদ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং দেশটিতে অন্য দেশের পক্ষে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ করার অনুমতি নেই।
ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে সিঙ্গাপুর। তবে, ক্ষুদ্র দেশটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠী থাকায়, তাদের কাছে গাজা ইস্যু অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, দেশটির প্রশাসন থেকে সিঙ্গাপুরবাসীকে এ ইস্যুতে বিক্ষোভ না করে, এর পরিবর্তে সংলাপ এবং অনুদান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে গাজা নিয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সিঙ্গাপুরে; বিশেষ করে অল্পবয়সীরা অনলাইনে তাদের মতামত প্রকাশে সোচ্চার হয়ে উঠেছে, নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করছে তারা।
এর আগে গেল ফেব্রুয়ারিতে, মানবাধিকার কর্মীরা সিঙ্গাপুরের প্রধান শপিং স্ট্রিট অর্চার্ড রোডের একটি মল থেকে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে প্রায় ৭০ জন লোক নিয়ে এক মিটার পথ পায়ে হেঁটে প্রতিবাদ জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীরা ছাতা মাথায় র্যালিতে অংশ নেন। তরমুজের মতো ছাতাগুলো ফিলিস্তিনের পতাকার রঙের প্রতিনিধিত্ব করে। এভাবেই তারা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিলেন।
র্যালিটি প্রেসিডেন্ট কম্পাউন্ডের কাছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে থামে এবং সেখানকার কর্মীদের হাতে ১৪০টি চিঠি তুলে দেন র্যালিতে অংশ নেওয়া অধিকার কর্মীরা।
কর্তৃপক্ষ জানায়— আন্নামালাই কোকিলা পার্বতী, সিতি আমিরাহ মোহাম্মদ আসরোরি এবং মোসাম্মাদ সোবিকুন নাহার— অনুমতি ছাড়াই ওই র্যালি বা সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। যদিও এই তিন অধিকার কর্মী এখনও জানাননি যে, তারা এ ব্যাপারে দোষ স্বীকার করবেন কিনা।
সিঙ্গাপুরে প্রকাশ্যে যেকোনো ধরনের বিক্ষোভের জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা অন্য কোনো দেশ বা ভিনদেশি জনগণের পক্ষে দেশের অভ্যন্তরে জনসভার কোনো অনুমতি দেবে না।
এই অভিযোগে উল্লিখিত তিন নারী কর্মীকে ১০,০০০ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার (৫,৮০০ পাউন্ড বা ৭,৩০০ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা কিংবা ছয় মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে।