বাইডেন ও ট্রাম্প প্রশাসনের সহযোগীদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট টার্গেট করেছে ইরানি হ্যাকাররা: মেটা
ইরানের একটি হ্যাকার গ্রুপি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে মেটা।
গত শুক্রবার মেটা এক বিবৃতিতে জানায়, "এমন ক্ষতিকর কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ইরান। তারা ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কতিপয় ব্যক্তিকে টার্গেট করে এ কার্যকলাপ চালাচ্ছে।" তারা আরো জানিয়েছে, "রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তাসহ কিছু স্বনামধন্য ব্যক্তি যারা বাইডেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত তাদের টার্গেট করেছে গ্রুপটি।"
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেই হ্যাকাররা মূলত এ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মেটার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মাত্র গত সপ্তাহেই গুগল অভিযোগ করেছে, ইরান সমর্থিত হ্যাকিং গ্রুপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারাভিযানগুলোর বিরুদ্ধে অপারেশন চালাচ্ছে এবং তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। তারা আরো জানিয়েছে, হ্যাকাররা বাইডেন, ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ই-মেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করার চেষ্টা করেছে। তবে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
গত সোমবার, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রচারাভিযানকে লক্ষ্য করে ইরান হ্যাক এবং লিক অপারেশনের সাথে যুক্ত হিয়েছে। এর অংশ হিসেবে হ্যাকাররা ট্রাম্পের সহকারী রজার স্টোনের ই-মেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে অন্য একজন প্রচারাভিযান কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল।
মার্কিন গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের মতে, "ইরানিরা সামাজিক প্রকৌশল এবং অন্যান্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে উভয় রাজনৈতিক দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত ব্যক্তিদের অ্যাক্সেস পাওয়ার চেষ্টা করেছে।"
মেটা জানিয়েছে, "তাদের তদন্তে উঠে এসেছে, এপিটি৪২ নামে একটি গ্রুপ ফিশিং করার মাধ্যমে মানুষের অনলাইন অ্যাকাউন্টের পরিচয়পত্র চুরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মেটার নিরাপত্তা দল বিভিন্ন এপিটি৪২-এর সঙ্গে যুক্ত প্রযুক্তি কোম্পানির সাপোর্ট এজেন্ট হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করা একটি অ্যাকাউন্ট ক্লাস্টারকে ব্লক করেছে।
প্রযুক্তি কোম্পানিটি বলেছে, "টার্গেট করা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টগুলো হ্যাক করার প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি। তবে সতর্কতার স্বার্থে আমাদের তদন্ত ফলাফল সাধারণ মানুষের কাছে প্রকাশ করেছি। এছাড়া আমাদের এ ফলাফল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও পাঠিয়েছি।"