স্নায়ুযুদ্ধের পর বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা এত বড় হুমকির সম্মুখীন হয়নি: সিআইএ ও এমআই৬ প্রধান
স্নায়ুযুদ্ধের পর বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা এখন সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা। খবর বিবিসি'র।
যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস এবং যুক্তরাজ্যের এমআই৬ প্রধান রিচার্ড মুর সম্প্রতি দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন, তারা ইউক্রেনের যুদ্ধের পূর্বাভাস দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর অংশ হিসেবে কিছু গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল যা কিয়েভকে যুদ্ধে সাহায্য করেছে।
তারা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইউরোপে রাশিয়ার নাশকতামূলক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ, গাজা যুদ্ধ বন্ধে তৎপরতা এবং পুনরুত্থিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
ফাইনান্সিয়াল টাইমসের সম্পাদকীয়তে তারা লিখেছেন: 'এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আমাদের আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থা, যেটি কিনা শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভারসাম্য বজায় এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান, সুযোগ এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে— স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে এখন হুমকির মধ্যে রয়েছে'।
তারা আরও বলেন, এই ঝুঁকির বিরুদ্ধে সফলভাবে লড়াই করা যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্কের ভিত্তি। দুটি দেশই ইউক্রেন যুদ্ধের মতো নজিরবিহীন হুমকিসমূহের মোকাবিলা একসাথে করেছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের কেনউড হাউসে এফটি উইকেন্ড ফেস্টিভ্যালে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে বক্তব্য রাখেন দুই দেশের গোয়েন্দা প্রধানরা।
সিআইএ প্রধান বার্নস বলেছেন, ইউক্রেনের সাম্প্রতিক রাশিয়ার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার একটি 'গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিজয়', তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার কোনো লক্ষণ তিনি দেখেননি।ইউক্রেন পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের জন্য আরও আহ্বান জানিয়েছে এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে তাদের ব্যবহার সীমিত করার জন্য অনুরোধ করেছে।
রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করে বার্নস বলেন, কোনো কিছুই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।
অন্যদিকে এমআই৬ প্রধান স্যার রিচার্ড মুর বলেছেন, রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যখন অপরাধীদের ব্যবহার করে আক্রমণ চালায়, তখন তা তাদের চরম হতাশাকেই প্রকাশ করে।
দুই দেশের গোয়েন্দা প্রধানই গোয়েন্দাগিরি এবং ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীনের উত্থানকে একুশ শতকের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এবং তারা তাদের সংস্থাগুলোকে সে অনুযায়ী পুনর্গঠন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়েও কাজ করছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন