বিশ্ব আগুনে জ্বলছে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে: ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইহুদিবাদী রাষ্ট্রকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এতে করে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বিরাজ করছে থমথমে যুদ্ধ পরিস্থিতি।
এক্ষেত্রে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন পরিস্থিতির জন্য জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন। একইসাথে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে উক্ত অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রিপাবলিকান এই প্রার্থী।
চলমান পরিস্থিতিতে ট্রাম্প বলেন, "বিশ্ব আগুনে জ্বলছে; নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের কোনো নেতৃত্ব নেই, দেশ পরিচালনার কেউ নেই। জো বাইডেন আমাদের একজন অস্তিত্বহীন প্রেসিডেন্ট। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও এখানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।"
ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইরান আয়ত্তে ছিল। একইসাথে তিনি হোয়াইট হাউজের দায়িত্বে থাকলে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার ঘটনা ঘটতো না বলে দাবি করেন সাবেক মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট।
ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ শনাক্ত হওয়ার পরে এবিষয়ে ইসরায়েলি নাগরিকদের সতর্ক করেছে আইডিএফ। মিসাইল হামলার সাইরেন শোনা মাত্রই 'সুরক্ষিত স্থানে' নাগরিকদের দ্রুত আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কাউকে সুরক্ষিত স্থান (বাঙ্কার, এয়ার রেইড শেল্টার) ত্যাগ না করার অনুরোধও করা হয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশ করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। আইডিএফের বরাত দিয়ে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, বড় এক ঝাঁক মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এরমধ্যে ব্যালেস্টিক মিসাইলের সংখ্যাই শতাধিক হতে পারে।
আঘাত হানার আগেই ইরানের মিসাইল ধ্বংস করতে তৎপর হয়েছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ইন্টারসেপ্টর রকেট নিক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দ্য টাইমস।
ইরান বলছে, গাজা ও লেবাননে মারাত্মক হামলার পাশাপাশি হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) নেতাদের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের কর্মকর্তারাও ইরানের এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটি জানিয়েছে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও নিরাপত্তা স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে ইরান থেকে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এ সময় ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মোকাবিলায় সক্রিয় করা হয়। এছাড়া, মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ইসরায়েলে ইরানের ছোড়া কিছু ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দিতে সাহায্য করেছে বলে রয়টার্সকে জানান মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান