কে এই লিন্ডা ম্যাকমাহন? যাকে নতুন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে বেছে নিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে লিন্ডা ম্যাকমাহনকে বেছে নিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লিন্ডা ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের (ডব্লিউডব্লিউই) সাবেক প্রধান নির্বাহী (সিইও)। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা সীমিত বললেই চলে।
শিক্ষাক্ষেত্রে সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা বলতে গেলে ২০০৯ সালে ম্যাকমাহন কানেক্টিকাট অঙ্গরাজ্যের স্টেট বোর্ড অব এডুকেশনে এক বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া উল্লেখ করার মতো আনুষ্ঠানিক কোনো অভিজ্ঞতা তার নেই।
তবে ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন যে ৭৬ বছর বয়সি লিন্ডা কানেক্টিকাট অঙ্গরাজ্যে স্টেট বোর্ড অব এডুকেশনে দুই বছর এবং স্যাকরেড হার্ট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে ১৬ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। লিন্ডাকে মনোনীত করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার দিকটিও উল্লেখ করেছেন।
লিন্ডা তার স্বামী ভিন্স ম্যাকমাহনকে সঙ্গে নিয়ে ডব্লিউডব্লিউই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার পরিবারের সঙ্গে ট্রাম্পের সখ্য নতুন নয়। লিন্ডার সাবেক কুস্তিগীর স্বামীর সঙ্গে ভালো বন্ধুত্বও রয়েছে ট্রাম্পের।
লিন্ডা ইস্ট ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটি থেকে ফরাসি ভাষায় স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। রাজনীতির খাতায় নাম লেখাতে ডব্লিউডব্লিউই-এর সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এরপর ২০১০ ও ২০১২ সালে দুবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট নির্বাচনের প্রার্থীও হন। কিন্তু দুবারই হেরে যান তিনি।
২০২১ সাল থেকে লিন্ডা ট্রাম্পের সমর্থিত আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর দি আমেরিকান ওয়ার্কার-এর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তার প্রশাসনের স্মল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান লিন্ডা। সেখানে তিনি ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে পরে নিয়োগ পান ট্রাম্পপন্থী আমেরিকা ফার্স্ট অ্যাকশন সুপারপিএসি বা পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক