গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি না দিলে হামাসকে ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে: ট্রাম্প
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি না দিলে হামাসকে 'চরম মূল্য' দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'ট্রুথ সোশ্যাল' এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প বলেন, '২০ জানুয়ারি আমি পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে যদি গাজায় জিম্মিদের মুক্তি না দেয়া হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে চরম পরিণতি ঘটবে এবং মানবতার বিরুদ্ধে এই অপরাধে জড়িতদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে'।
তিনি আরও বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কেউ এত বড় আঘাত পায়নি, যেটা দায়ীদের জন্য অপেক্ষা করছে। এখনই জিম্মিদের মুক্তি দিন!'
এটি ছিল ৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর যুদ্ধ বন্ধে তার সবচেয়ে আগ্রাসী বক্তব্য। একই সময়ে তার প্রশাসন যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে।
জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসনের ব্যর্থতাকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, 'কথা অনেক বলা হয়েছে, কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি'।
তবে ঠিক কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন তিনি, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি ট্রাম্প।
পোস্টে কেবল হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির কথা উল্লেখ করলেও, গাজার বেসামরিক জনগণের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জন্য দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানান ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, 'ধন্যবাদ এবং আশীর্বাদ আপনার প্রতি, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমরা সবাই প্রার্থনা করছি, আমাদের ভাই-বোনেরা নিরাপদে ঘরে ফিরে আসুক!'
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও হামাসের নেতাদের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য উভয় পক্ষকেই দায়ী করা হচ্ছে।
হামাস বারবার যুদ্ধ বন্ধের শর্তে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, হামাস পুরোপুরি পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।