আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও একজনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া, হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাতজনকে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর বরাতে এ খবর জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য উইক।
পশ্চিম ত্রিপুরা পুলিশের এসপি কিরণ কুমার জানিয়েছেন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশের তিনজন উপ-পরিদর্শককে (সাব-ইন্সপেক্টর) বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, একজন ডেপুটি এসপিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এসপি কিরণ কুমার আরও জানান, এ ঘটনায় আগরতলার নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার পর আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে সিআরপিএফ ও ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গতকাল (২ ডিসেম্বর) 'হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি' নামক একটি ডানপন্থি সংগঠনের নেতৃত্বে একদল লোক আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে বিক্ষোভ ও হামলা করেন। এ সংগঠনটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা টেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়।
পরে এ ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কোনো অবস্থাতেই কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'প্রতিবাদ মিছিলের সময় কিছু যুবক বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের অফিসে ঢুকতে চেয়েছিল। আমি এই ঘটনার নিন্দা করি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা যায়, কিন্তু এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।'