২০২৬ সালের মধ্যেই দুবাইয়ে চালু হচ্ছে উড়ন্ত ট্যাক্সি, ৪৫ মিনিটের রাস্তা মাত্র ১২ মিনিটে!
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/04/ezgif.com-webp-to-jpg-converter_1.jpg)
শিগগিরই আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে দুবাই। ২০২৬ সালের মধ্যেই দেশটির আকাশে দেখা যাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি।
মিউজিয়াম অব দ্য ফিউচার-এর দ্বিতীয় তলায় দর্শনার্থীদের সামনে উন্মোচিত হয়েছে এই ট্যাক্সির পূর্ণাঙ্গ মডেল। দেখতে অনেকটা হেলিকপ্টারের মতো হলেও এটি আরও উন্নত প্রযুক্তির। ছয়টি রোটর ও তিনটি গোলাকার ল্যান্ডিং স্কিডসহ ডিজাইন করা এই ইলেকট্রিক এয়ার ট্যাক্সি চারজন যাত্রী বহন করতে পারবে।
দুবাইয়ের প্রথম জবি এস-৪ মডেলের উড়ন্ত ট্যাক্সি পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত এবং শূন্য কার্বন নির্গমন নিশ্চিত করবে। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩২২ কিলোমিটার এবং একবার চার্জে ১৬১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। এটি গাড়ির তুলনায় অনেক কম সময়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।
উদাহরণ হিসেবে, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাম জুমেইরাহ যেতে গাড়িতে যেখানে প্রায় ৪৫ মিনিট লাগে, সেখানে উড়ন্ত ট্যাক্সি মাত্র ১২ মিনিটে পৌঁছাতে পারবে।
উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দুবাইবাসীর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি শহরের যানজট কমাবে এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর কার্যকর উপায় হয়ে উঠবে।
দুবাইয়ের বাসিন্দা দীপ শাহ জানিয়েছেন, যদি আল গারহুদ থেকে মারিনায় মাত্র ১০ মিনিটে পৌঁছানো যায়, তাহলে তিনি এই যাত্রার জন্য ১৫০ দিরহাম পর্যন্ত ব্যয় করতে রাজি।
অনেকেই এই ট্যাক্সিকে শহরের যানজট এড়ানোর কার্যকর সমাধান হিসেবে দেখছেন। দুবাই-ভিত্তিক দম্পতি হাসান কাজেমখানি ও মারিয়াম হোসেইনি তাদের দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য এটির ব্যবহার নিয়ে আশাবাদী। হাসান বলেন, 'আমি জুমেইরাহ থেকে দেইরায় যেতে সর্বোচ্চ ৫০ দিরহাম পর্যন্ত খরচ করতে রাজি।'
তবে মারিয়াম মনে করেন, এই সার্ভিসের খরচ বেশি হলেও নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হতে পারে। তিনি বলেন, 'আমি শুনেছি এটি ব্যয়বহুল, তবে যদি জরুরি কোনো মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ কাজে সময়মতো পৌঁছানো প্রয়োজন হয়, তাহলে এটি ব্যবহারযোগ্য।'
তবে সবাই এ নিয়ে আশাবাদী নন। দুবাইয়ে ১১ বছর ধরে বসবাসরত গৃহিণী এলেন কোরতেজ জানান, উচ্চতার ভয় থাকায় তিনি এটি ব্যবহার করবেন না। যদিও এই ট্যাক্সি কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ড মেনে তৈরি, তবু তিনি আকাশপথে ভ্রমণ নিয়ে শঙ্কিত। তবে কৌতূহলের কারণে একবার চেষ্টা করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
দুবাই বিশ্বের প্রথম শহর হতে যাচ্ছে, যেখানে বাণিজ্যিকভাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি চালু হবে। এটি শহরের পরিবহন ব্যবস্থার বড় পরিবর্তন আনবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির ২৫ শতাংশ যানবাহন স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।