নূপুর শর্মা প্রতিবাদ: পুলিশের নৃশংসতার যে ভিডিওতে স্তম্ভিত ভারতের মানুষ!
ভারতীয় পুলিশ তাদের হেফাজতে থাকা একদল মুসলিমকে বেদম মারধর করছে, এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে। ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের একজন নির্বাচিত সদস্যই অনলাইন দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন সেই ভিডিও। পুলিশের এমন নিষ্ঠুর আচরণকে প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন, এই পিটুনি আসলে লোকগুলোর কৃতকর্মের 'উপহার'।
নৃশংস আচরণের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যাদের ওপর হামলা হয়েছে তাদের পরিবার বলছে তাদের স্বজনরা নির্দোষ; সুতরাং তাদের মুক্তি দেওয়া উচিত।
পুলিশের হেফাজতে থাকা সাইফকে বেদম প্রহার করছে পুলিশ। "এটা আমার ভাই, ওরা ওকে অনেক মারছে, ও চিৎকার করছে", মারের সেই ভিডিও ফোনে দেখতে দেখতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাইফের বোন জেবা।
"আমি এর (ভিডিও) দিকে তাকাতেও পারছি না, ওকে এত বাজেভাবে আঘাত করা হচ্ছে," বললেন তিনি। উত্তর ভারতের শহর সাহারানপুরে নিজের বাড়িতে জেবাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন আত্মীয় স্বজনরা।
নৃশংস ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, কয়েকজন মুসলিম পুরুষকে রড দিয়ে প্রচণ্ড আঘাত করছেন কয়েকজন পুলিশ অফিসার। প্রতিটি আঘাতের সঙ্গেই সঙ্গেই শোনা যাচ্ছে তীব্র আর্তনাদ।
"ব্যাথা করছে, প্রচণ্ড ব্যাথা করছে... আর মেরো না!" মার খেয়ে আতংকে-ভয়ে দেওয়ালের কোণায় পিঠ ঠেকিয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকা কয়েকজনকে বলতে শোনা যায় এ কথা। এরপরও থামেনি প্রহার।
সবুজ রঙের টি-শার্ট পরা এক যুবকে হাতজোড় করে আঘাত না করার জন্য প্রার্থনা করতে দেখা যায়। পাশেই সাদা পোশাক পরা সাইফকে দেখা যায় ওপরে হাত তুলে আত্মসমর্পণ করতে। কিন্তু তাতেও থামেনি পুলিশের নির্যাতন।
মহানবী (স.)-কে নিয়ে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সাইফসহ (২৪) কয়েক ডজন মুসলিম পুরুষকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নূপুর শর্মা মন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে যোগদান করেন হাজার হাজার মুসলিম।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মুসলিম দেশগুলোর প্রতিবাদের মুখে অভিযুক্ত মুখপাত্রকে দল থেকে পরে বহিষ্কার করা হয়। এরপরেও বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলতে থাকে। সাহারানপুরের এই প্রতিবাদও ছিল মোটামুটি শান্তিপূর্ণ, মসজিদ থেকে বেরিয়ে লোকজন শহরের দোকানপাটের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়।
তবে উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের মালিকানাধীন কিছু দোকানে হামলা হয়। এতে দুই ব্যবসায়ী সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ সময় বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে মিছিলে লাঠি চালায় পুলিশ। পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করা হয়, সাইফ সহ আরও ৩০ ব্যক্তি মিলে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করেছে, সহিংসতায় উস্কানি দিয়েছে, একজন সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দিতে তাকে ইচ্ছেকৃতভাবে আঘাত করেছে এবং বিপন্ন করেছে জনসাধারণের জীবন।
কার্ডবোর্ড বিক্রি করে কোনোরকমে জীবনযাপন করে সাইফের পরিবার । তারা বলছে, সাইফ নির্দোষ; এমনকি সে ওই বিক্ষোভেও ছিলনা।
সাইফের পরিবার জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫ টার দিকে এক বন্ধুর জন্য বাসের টিকিট কাটতে বাড়ি থেকে হয়েছিলেন সাইফ। এ সময়ই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং সাহারানপুরের কোথাওয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
ভাইকে থানায় দেখতে যান জেবা। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে জেবা বলেন, "বেদম মারের ব্যথায় ওর শরীর নীল হয়ে গিয়েছিল, ও ঠিকমত বসতে পর্যন্ত পারছিল না।"
পুলিশের নৃশংসতার ওই ভিডিও অনলাইনে শেয়ার করেন বিজেপির নির্বাচিত এক জনপ্রতিনিধি শালাভ ত্রিপাঠি। ভিডিওটির সঙ্গে তিনি ক্যাপশনে লিখেছিলেন, "বিদ্রোহীদের জন্য একটি ফিরতি উপহার।" অনলাইনে ভাইরাল হয় সেই ভিডিও।
শাভাল ত্রিপাঠি ভারতের অন্যতম ক্ষমতাধর রাজনীতিক এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাবেক মিডিয়া উপদেষ্টা। আর ঘটনাটি ঘটেছেও একই প্রদেশেই। বিজেপির কোনো কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই ভিডিওর ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়নি, এমনকি বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকেও নয়।
এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ২০১৪ সালে ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে সেখানকার পরিবেশ। দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিমদের টার্গেট করে ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ কথাবার্তা-মনোপভাব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে মুসলিমদের ওপর বাড়ছে টার্গেট করে হামলার ঘটনা।
শুক্রবারের এ ঘটনার পর ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি, ভুক্তভুগী অন্তত ৬ থেকে ৭টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছে।
সহিংসতার ওই ভিডিওতে তারা নিজেদের নিকটজনকে চিহ্নিতও করেছেন। অন্য একটি ফুটেজে দেখা যায়, লোকগুলোকে একটি ভ্যানে তুলে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই দৃশ্যে কোতোয়ালি থানার সাইনবোর্ড স্পষ্টভাবেই চোখে পড়ে।
এমনকি পুলিশের প্রতিবেদনেও উল্লেখ আছে কোতোয়ালি থানার কথা। কিন্তু এতসব প্রমাণের পরেও সপ্তাহের শুরুতে স্থানীয় পুলিশ সেখানে এরকম কিছু ঘটার কথা অস্বীকার করে।
"সাহারানপুরে এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই, তিনটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এরমধ্যে একটি ভিডিও স্লো মোশনে দেখলে সেখানে অন্য একটি জেলার নাম দেখতে পাবেন", বিবিসিকে এ কথা বলেন সিনিয়র পুলিশ অফিসার আকাশ টোমর।
তবে আকাশ টোমর ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছেন বলে পরবর্তীতে জানান। এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন। ভিডিওতে অন্য যাদেরকে দেখা যাচ্ছে, তাদের পরিবার জানায়, তাদের প্রিয়জনরা যখন আরও তথ্যের জন্য থানায় গিয়েছিলেন তখন তাদেরকে আটক করা হয়।
ফাহমিদার ১৯ বছর বয়সী ছেলে সুবহান থানায় গিয়েছিল তার গ্রেপ্তার হওয়া বন্ধু আসিফের খোঁজ নিতে। সেখানে যাওয়ার পর সুবহানকেও গ্রেপ্তার করে পেটানো হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, হালকা হলুদ রঙের পোশাক পরা সুবহান মাটিতে পড়ে আছে, আর পুলিশ তার ওপর লাঠি দিয়ে আঘাত করছে। তার পরিবারের ভাষ্য, গত শুক্রবার সুবহান প্রধান মসজিদে পর্যন্ত যায়নি, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তো অনেক দূরের কথা।
"আমার ছেলেকে নির্দয়ভাবে পেটানো হয়েছে," কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন ফাহমিদা।
শুক্রবারের বিক্ষোভের ঘটনায় সহিংসতার অভিযোগে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট রাজেশ কুমার বিবিসিকে জানান, কেবল অপরাধীদেরকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
"আমরা যখন কাউকে গ্রেফতার করি, তখন আমরা প্রথমে তারা যে সহিংস বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল এমন ফুটেজ তাদেরকে দেখাই, এরপরই কেবল তাদের গ্রাপ্তার করা হয়," বলেন তিনি।
তবে পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্টের কথার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছে এমন কিছু লোকের পরিবারের বক্তব্য একেবারেই মিলছে না।
থানায় যখন এসব তাণ্ডব চলছে, তখন শহরের অন্যদিকে অন্যভাবে চলছে আইনের জোর প্রদর্শন- বুলডোজার দিয়ে দুইজন মুসলিম লোকের বাড়ির অর্ধেক ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তারা সহিংসতায় উস্কানি দিয়েছিলেন।
ভারতে লাখ লাখ মানুষ প্রয়োজনীয় অনুমতি না নিয়েই এমন সব জোড়াতালি দেওয়া ঘরবাড়িতে থাকেন। কিন্তু বিজেপি এখন অহরহ এই বিষয়টিকে শাস্তি দেওয়ার একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক টুইটে জানান, তথাকথিত আইন-ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে বুলডোজারের কাজ চলবে।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তাদের প্রতি প্রচ্ছন্নভাবে ইঙ্গিত দিয়ে আদিত্যনাথের মিডিয়া উপদেষ্টা মৃত্যুঞ্জয় কুমার একটি বুলডোজারের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, "শুক্রবারের পর কিন্তু শনিবার আসে!"
এরপর দিনই, গেল শনিবার বিকেলে মুসকানের বাড়ির ওপর উঠে গেল বুলডোজার; ভেঙ্গে ফেলা হল বাড়ির সামনের দরজা।
পুলিশ সেখানে হাজির হল তার ভাইয়ের ছবি নিয়ে; জিজ্ঞেস করলো, এই বাড়িতেই সে থাকে কিনা। ১৭ বছর বয়সী ওই ছেলেকে আগের রাতেই আটক করেছে পুলিশ।
"আমার বাবা নিশ্চিত করলেন যে ছবিটি তার ছেলের এবং জিজ্ঞেস করলেন কিছু হয়েছে কিনা। তারা কোনো উত্তর দিল না, হঠাৎই তারা বুলডোজার চালানো শুরু করলো," যোগ করেন মুসকান।
সরকারের কর্মকর্তারা ওই তরুণের বিরুদ্ধে শুক্রবার সহিংসতায় উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ আনে। এক কর্মকর্তা বিবিসিকে একটি ভিডিও দেখিয়ে বলেন, জনতাকে উস্কানি দিতে দেখা যাচ্ছে ছেলেটিকে।
ছবিতে দেখা যায়, ছেলেটি জনতার উদ্দেশ্যে বলছে, "এই দেশের মুসলিমরা ঘুমিয়ে আছে। ইতিহাস সাক্ষী, যখনই মুসলিমরা জেগেছে, তারা ক্রোধ নিয়ে জেগেছে।"
মুসকান তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "এরকম ধ্বংসাত্মক কিছু করার মতো ছেলে নয় সে; কিছু ভাঙ্গার মতো ছেলে সে নয় ... এসব মিথ্যা।"
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, যাদেরকে ধরা হয়েছে, তাদের পরিবারকে এরকম নোটিশ দেওয়া হয়েছিল যে, তাদের বাড়িঘর যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে।
"আমরা যখন তদন্ত চালাই, তখন দেখলাম তার পরিবার এমন এক আত্মীয় বাড়িতে থাকছে, যেটি অনুমোদন ছাড়া নির্মাণ করা," সিনিয়র পুলিশ অফিসার রাজেশ কুমার বিবিসিকে এ কথা বলেন।
রাজেশ কুমার আরও বলেন, "পৌর কর্তৃপক্ষ কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এসব বাড়ি পরিদর্শন করে এবং এরপর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।" সেইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, গ্রেপ্তার হওয়া আরও লোকজনের ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
"যাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে, তাদের ব্যাপারে অবৈধ কোনোকিছু জানা গেলে বুলডোজার চালানো হবে," যোগ করেন তিনি।
যোগী আদিত্যনাথের উপদেষ্টাদের একজন নভনীত সেহগাল বলেন, বুলডোজার দিয়ে যা করা হচ্ছে তা আইন এবং সব নিয়মকানুন মেনেই করা হচ্ছে ... এখানে আইনের বিরুদ্ধে কিছুই হচ্ছে না।
তবে ভারতের একদল শীর্ষস্থানীয় আইন বিশেষজ্ঞ পুলিশের এসব মারধর এবং বুলডোজারের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন দাখিল করেন। তাদের চিঠিতে তারা অভিযোগ তুলেছেন, আদিত্যনাথ পুলিশকে 'নিষ্ঠুর এবং বেআইনিভাবে বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্যাতন চালাতে' লেলিয়ে দিয়েছে। তারা আরও বলেন, "সর্বশেষ এসব ঘটনা জাতির বিবেককে নাড়া দিচ্ছে।"
"শাসকশ্রেণির এমন নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়ন আইনের শাসনকে যেভাবে ধ্বংস করছে, তা কোনোভাবেই মানা যায় না। এটি সংবিধান এবং রাষ্ট্র যেসব মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে, তাকে পরিহাসে পরিণত করেছে," আবেদনে উল্লেখ করেন তারা।
এমনকি মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও অভিযোগ তুলেছে, যেকোনো ভিন্নমতকে দমন করতে চাইছে ভারত সরকার।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইন্ডিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আকার প্যাটেল এক বিবৃতিতে লিখেছেন, "বিক্ষোভকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা, বিনা বিচারে আটকে রাখা এবং শাস্তি হিসেবে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া- এসবই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং মানদণ্ড রক্ষা করে চলার যে অঙ্গীকার ভারত করেছে, তার সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।"
সাহারানপুরে ছেলে এবং স্বামীর খবরের অপেক্ষায় মুন্নি বেগমও দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন। তার অভিযোগ, দুজনকেও পুলিশ মারধর করেছে। তিনি জানেন না কখন তারা ফিরে আসবেন, এবং যখন তারা ফিরবেন তখন তাদের মাথা গোঁজার মতো কোনো ঠাঁই আর অবশিষ্ট থাকবে কিনা।
"আমার নির্দোষ ছেলে এবং স্বামী এখন জেলে, আমি আমার মেয়েদের নিয়ে এই নতুন তৈরি করা বাড়িতে একাকী থাকছি। যদি আমাদের বাড়ির ওপরেও বুলডোজার চালানো হয়, তখন কি হবে, তা নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি রাতে ঘুমাতে পারছি না," যোগ করেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি